মণিরামপুর থানার সাবেক ওসিসহ ১১ জনের বিরুদ্ধে মামলা
১৮ অক্টোবর ২০২৪ ১৭:৩২
যশোর : যশোরের মণিরামপুরে বিএনপির এক কর্মীকে তুলে নিয়ে মারধর করে মুক্তিপণ আদায়ের অভিযোগে নয় বছর পর থানার ওসিসহ ১১জনের বিরুদ্ধে আদালতে মামলা হয়েছে।
শুক্রবার (১৮ অক্টোবর) বিকালে অ্যাডভোকেট রুহিন বালুজ মামলার বিষয়টি নিশ্চিত করেছেন। এরআগে বৃহস্পতিবার মামলা দায়ের করেন ভুক্তোভুগী অনিক হোসেন জনি। তিনি যশোর শহরের রায়পাড়ার আজগর হোসেনের ছেলে।
অভিযোগ আমলে নিয়ে বিচারক সিনিয়র জুডিসিয়াল ম্যাজিস্ট্রেট ইমরান আহমেদ পিবিআইকে তদন্ত করে প্রতিবেদন দাখিলের জন্য নির্দেশ দিয়েছেন।
মামলায় আসামিরা হলেন মণিরামপুর থানার সাবেক অফিসার ইনচার্জ (ওসি) খবির উদ্দিন, খেদাপাড়া পুলিশ ক্যাম্প ইনচার্জ উপপরিদর্শক (এসআই) সোহরাব, উপজেলার শৈলী গ্রামের আতিয়ার রহমান, আশিকুর রহমান, আবুল কালাম আজাদ, ইসহাক, মাস্টার রবিউল ইসলাম, মদনপুরের শফি, ছোট ছালামতপুরের লাল্টু, মধুপুরের মনি ও বাগেরহাট জেলার চিতলমারী উপজেলার শুলেন তরফদার।
মামলার এজাহারে বাদি উল্লেখ করেছেন, তিনি বিএনপির সক্রিয় কর্মী, ঘটনার দিন রাত ১০টার দিকে খেদাপাড়া বাজারের একটি চায়ের দোকানে তিনি অবস্থান করছিলেন। এ সময় এসআই সোহরাবের নেতৃত্বে ছয়জন পুলিশ তাকে উঠিয়ে খেদাপাড়া পুলিশ ফাঁড়িতে নিয়ে যায়। সেখানে আগে থেকেই মণিরামপুর থানার ওসি ছিলেন। বিএনপি করায় তখন তাকে মারধর করে ক্রসফায়ারের ভয় দেখায়। দশ লাখ টাকা মুক্তিপণ দাবি করে। পরে ছয় লাখ টাকা মুক্তিপন আদায় করে। সেসময় অন্য আসামিরাও ছিলো। যাদের কেউ পুলিশের সোর্স, আবার কেউ আওয়ামী লীগের রাজনীতির সাথে জড়িত। টাকা নিয়ে পরের দিন দুপুরের মধ্যেই অনিক হোসেন জনি বাড়িতে পৌছে যাবে পরিবারের লোকজনকে এমন আশ্বাস দেয় পুলিশ। কিন্তু তাকে না ছেড়ে ডাকাতি প্রস্তুতি মামলায় আটক দেখানো হয়। পরে তাকে আদালতে সোপর্দ করে।
সারাবাংলা/এসআর