Sunday 20 Oct 2024
Sarabangla | Breaking News | Sports | Entertainment

গো-খাদ্য আমদানিতে শুল্কমুক্ত সুবিধা দাবি

সিনিয়র করেসপন্ডেন্ট
২০ অক্টোবর ২০২৪ ১৪:১৩

বিভিন্ন দাবি নিয়ে রোববার ডিআরইউতে সংবাদ সম্মেলন করে বাংলাদেশ ডেইরি অ্যান্ড ফ্যাটেনিং ফার্মারস অ্যাসোসিয়েশন। ছবি: সারাবাংলা

ঢাকা: বিদ্যুৎ বিল কমানো ও সরকারি সহায়তা বাড়ানোসহ খামারিদের জন্য গো-খাদ্য আমদানিতে শুল্কমুক্ত সুবিধার ব্যবস্থা ও বিনামূল্যে টিকা দেওয়ার দাবি জানিয়েছে বাংলাদেশ ডেইরি অ্যান্ড ফ্যাটেনিং ফার্মারস অ্যাসোসিয়েশন।

রোববার (২০ অক্টোবর) রাজধানীর ঢাকা রিপোর্টার্স ইউনিটিতে (ডিআরইউ) আয়োজিত এক সংবাদ সম্মেলনে সংগঠনটির পক্ষে এসব দাবি জানানো হয়। সংগঠনের সভাপতি মোহাম্মদ ইকবাল হোসাইন ও সাধারণ সম্পাদক মোস্তাফিজুর রহমান ভুট্টুসহ সংগঠনের অন্য নেতারা এ সময় উপস্থিত ছিলেন।

বিজ্ঞাপন

সংবাদ সম্মেলনে লিখিত বক্তব্যে বলা হয়, ডেইরি ও ফ্যাটেনিং খামারের বিদ্যুৎ ও পানির বিল কৃষির আওতায় আনতে হবে। কৃষি বিদ্যুৎ বিল প্রতি ইউনিট ৫ টাকা ৪০ পয়সা, যেখানে গরুর ফার্মে বিদ্যুতের প্রতি ইউনিটের দাম ১১ থেকে ১৪ টাকা।

অ্যাসোসিয়েশনের নেতারা বলেন, দেশে দুধ ও মাংসের বাজার স্থিতিশীল রাখতে এবং জনগণকে সাশ্রয়ী মূল্যে দুধ ও মাংস জোগান দিতে খামারিদের জন্য প্রয়োজনীয় সহায়তার ব্যবস্থা করতে হবে। আমাদের দেশের খামারিরা সম্পূর্ণ নিজের পকেটের টাকা দিয়ে দুধ ও মাংস উৎপাদন করেন। বিপরীতে জনগণকে সাশ্রয়ী মূল্যে দুধ ও মাংস খাওয়ানোর জন্য ইউরোপ, আমেরিকা বা ভারত সরকার খামারিদের ভর্তুকি দেয়। এতে খামারিরাও ক্ষতিগ্রস্ত হয় না, আবার জনগণও সাশ্রয়ী মূল্যে দুধ ও মাংস খেতে পারেন।

সংগঠনটির পক্ষে লিখিত বক্তব্যে বলা হয়, গুঁড়া দুধ আমদানিতে ট্যাক্স সমন্বয় অথবা খামারিদের ভর্তুকি প্রদানের মাধ্যমে অসম প্রতিযোগিতা থেকে তাদের পরিত্রাণ দেওয়া ছাড়া খামারিদের টিকিয়ে রাখা সম্ভব নয়। খামারিদের জন্য গো-খাদ্য আমদানিতে শুল্কমুক্ত সুবিধার ব্যবস্থা করতে হবে। দেশের ফিডমিলগুলো শুল্কমুক্তভাবে গো-খাদ্য উপাদান আমদানির সুযোগ পায়। কিন্তু বাণিজ্যিক আমদানিকারকরা শুল্কমুক্ত সুবিধায় আমদানি করতে পারেন না। তাদের প্রায় ২৫ শতাংশ বেশি শুল্ক দিতে হয়। অথচ খামারিরা মূলত গো-খাদ্য কেনেন বাণিজ্যিক আমদানিকারকদের কাছ থেকেই, সরাসরি অথবা খুচরা খাদ্যের দোকানের মাধ্যমে।

বিজ্ঞাপন

বক্তব্যে বলা হয়, ফিড মিলারা এই বাড়তি প্রায় ২৫ শতাংশ সুবিধা পাচ্ছে, যা মূলত খামারিদের জন্য। কিন্তু তারা খামারিদের না দিয়ে অর্থাৎ সাশ্রয়ী মূল্যে গো-খাদ্য বিক্রি না করে বাণিজ্যিক আমদানিকারকদের বাড়তি করের টাকা হিসাব করে তাদের উৎপাদন খরচ হিসাব করে বাড়তি দামে গো-খাদ্য বিক্রি করেন। এতে খামারিরা ক্ষতির মুখে পড়ছে।

সংগঠনটি জানায়, অতি দ্রুত খামারিদের জন্য উন্নত জাতের প্রুভেন, ক্রস ব্রিড ও ভালো মানের আমদানি করা দুধ, মাংস বা ডুয়েল পারপাস জাতের বুলের সিমেন সরবরাহ নিশ্চিত করা ছাড়া দুধ ও মাংস উৎপাদন বাড়ানো সম্ভব নয়। এফএমডিওএলএসডি রোগ নির্মূলে সরকারিভাবে প্রকল্পের মাধ্যমে মানসম্মত ভ্যাকসিন দেশে উৎদন না হওয়া পর্যন্ত খামারিদের আমদানি করে বিনামূল্যে সরবরাহ করতে হবে।

দুধের ন্যায্য মূল্য ও সাপ্লাই চেইন নিশ্চিত করাসহ ডেইরি ও ফ্যাটেনিং খামারিদের বিভিন্ন সমস্যা শুনে তা দ্রুত সমাধানের জন্য মৎস্য ও প্রাণিসম্পদ উপদেষ্টা এবং প্রধান উপদেষ্টার দৃষ্টি আকর্ষণ করে প্রতিকার চেয়েছে সংগঠনটি।

সারাবাংলা/ইএইচটি/টিআর

গো-খাদ্য ডেইরি অ্যান্ড ফ্যাটেনিং ফার্মার্স শুল্কমুক্ত সুবিধা দাবি

বিজ্ঞাপন
সর্বশেষ
সম্পর্কিত খবর