সামরিক মহড়ায় অংশ নিতে মিয়ানমারে রাশিয়ার যুদ্ধজাহাজ
২১ অক্টোবর ২০২৪ ১৬:১৫
সামরিক জান্তার নৌবাহিনীর সাথে সামুদ্রিক মহড়ায় যোগ দিতে রুশ নৌবাহিনীর একটি জাহাজ যুদ্ধবিধ্বস্ত মিয়ানমারে পৌঁছেছে। মিয়ানমারের রাষ্ট্রীয় গণমাধ্যমের উদ্ধৃতি দিয়ে ইয়াঙ্গুন থেকে এএফপি সোমবার এ খবর জানায়।
মিয়ানমারের গ্লোবাল নিউ লাইট পত্রিকা জানিয়েছে, ‘দ্বিতীয় মিয়ানমার-রাশিয়া যৌথ সামুদ্রিক নিরাপত্তা মহড়ায় যোগ দিতে’ রাশিয়ার প্রশান্ত মহাসাগরীয় নৌবহর থেকে চারটি করভেট এবং একটি লজিস্টিক জাহাজ রোববার (২০ অক্টোবর) ইয়াঙ্গুনের থিলাওয়া বন্দরে পৌঁছেছে।
রোববার জান্তা ঘোষণা করেছে, ‘আগামী ২০ থেকে ২৪ অক্টোবর পর্যন্ত উত্তর আন্দামান সাগরে একটি লাইভ-ফায়ার সামুদ্রিক নিরাপত্তা অনুশীলন করা হবে। এতে মাছ ধরার নৌকা এবং বিমানগুলোকে এলাকার আশেপাশে ভ্রমণ না করার জন্য সতর্ক করেছে। তবে কোনও রাশিয়ান জাহাজ বা কর্মী সেই মহড়ায় অংশ নিচ্ছে কিনা তা জানায়নি।
উভয় নৌবাহিনী গত বছরের নভেম্বরে আন্দামান সাগরে একটি সম্মিলিত মহড়া দিয়েছিল। চীনের পাশাপাশি, মস্কো মিয়ানমার জান্তার ঘনিষ্ঠ মিত্র। মিয়ানমারের সামরিক শাসনের বিরুদ্ধে সশস্ত্র বিরোধীতাকে দমন করার জন্য দেশটি অস্ত্র ও কূটনৈতিক সমর্থন প্রদান করে।
বিশ্লেষকরা বলছেন, তার স্থল সেনাদের চাপের মধ্যে দিয়ে, জান্তা ক্রমবর্ধমানভাবে তার বিমান বাহিনীর উপর নির্ভর করছে। রাশিয়ান সুখোই এসইউ-৩০, মিগ-২৯ এবং ইয়াক বিমান তাদের বহরে রয়েছে।
জান্তা প্রধান মিন অং হ্লাইং ২০২২ সালে প্রেসিডেন্ট ভ্লাদিমির পুতিনের সাথে বৈঠকসহ ২০২১ সালের অভ্যুত্থানের নেতৃত্ব দেওয়ার পর থেকে বেশ কয়েকবার রাশিয়া ভ্রমণ করেছেন।
রাশিয়া বলেছে যে তারা নতুন নির্বাচনের জন্য জেনারেলদের পরিকল্পনাকে সমর্থন করে এবং জান্তা ইউক্রেনে রাশিয়ার আক্রমণকে সমর্থন করেছে, এটিকে ‘ন্যায়সঙ্গত’ বলে বর্ণনা করেছে। তবে বিশ্লেষকরা বলেছেন, নির্বাচন সামরিক বিরোধীদের লক্ষ্যবস্তুতে পরিনত হবে এবং আরও রক্তপাত ঘটাবে।
মার্কিন যুক্তরাষ্ট্র বলেছে, ‘জান্তার অধীনে যেকোন নির্বাচন হবে একটি প্রতারণা।
সারাবাংলা/এইচআই