Friday 25 Oct 2024
Sarabangla | Breaking News | Sports | Entertainment

রাবির আইইআর পরিচালককে তালাবদ্ধ

রাবি করেসপন্ডেন্ট
২২ অক্টোবর ২০২৪ ১৫:৪১

রাজশাহী বিশ্ববিদ্যালয়: রাজশাহী বিশ্ববিদ্যালয়ের (রাবি) শিক্ষা ও গবেষণা ইন্সটিটিউটের আওতাধীন শেখ রাসেল মডেল স্কুল এন্ড কলেজের একাদশ শ্রেণীর শিক্ষার্থীরা আইইআর পরিচালক আখতার বানুকে তার দপ্তরে তালাবদ্ধ করে আন্দোলন করছে। গত তিনমাসে রেজিষ্ট্রেশন জটিলতা নিরসনে তারা দাবি জানিয়ে আসছে।

মঙ্গলবার (২২ অক্টোবর) বেলা সাড়ে ১১ টায় এ কারণে আইইআর পরিচালকে তালাবদ্ধ করে শিক্ষার্থীরা।

প্রত্যক্ষদর্শী ও কলেজ সূত্রে জানা যায়, শেখ রাসেল মডেল স্কুল এন্ড কলেজে শিক্ষক সংকট ও বিশ্ববিদ্যালয়ের অনুমোদনগত জটিলতা নিয়েই এ বছরে প্রথম ১০৪ জন শিক্ষার্থীকে ভর্তি নিয়েছিল। তাদের ভর্তি প্রক্রিয়া সম্পন্ন হলেও একাদশ শ্রেনীতে রেজিষ্ট্রেশন প্রক্রিয়া নিয়ে চুড়ান্ত সিদ্ধান্তে আসা যায়নি।

কলেজ সূত্র জানায়, আইইআরের নবনিযুক্ত পরিচালক আখতার বানু রেজিষ্ট্রেশন না দেওয়া বিষয়ে অনড়। এ দিকে শিক্ষার্থীরা গত তিন মাস ধরে শিক্ষার্থী রেজিষ্ট্রেশন প্রক্রিয়া চালু করার দাবি জানিয়ে আসছে। তবে তাদের দাবি মেনে না নেওয়া আজ সকাল ৯টা থেকে সাড়ে ১০ টা পর্যন্ত কলেজের ফটক তালাবদ্ধ করে আন্দোলন করেন। পরে বেলা সাড়ে ১১ টায় আইইআর পরিচালককে তালাবদ্ধ করে রাখেন। পরে বেলা সোয়া ১২ টার দিকে আইইআরের স্নাতক শিক্ষার্থীদের তোপের মুখে স্থান ত্যাগ করেন।

শেখ রাসেল মডেল স্কুলের একাদশ শ্রেণির শিক্ষার্থী ফাইসাল ইসলাম বলেন, আমরা অনলাইন আবেদন প্রক্রিয়াতেই কলেজে ভর্তি হয়েছি। আমাদের সেশনের অন্যান্য কলেজের প্রথম বর্ষের পরীক্ষা শুরু হয়ে যাবে। কিন্তু আমাদের এখনো ভর্তি নিয়ে অনিশ্চয়তায় ভুগছি। এ বিষয়ে আমরা গত তিনমাস বিভিন্ন দাবি তুলে ধরেছি কিন্তু কাজ হয়নি। যে কারণে আজকে আমরা এসেছি। যদি দাবি না মেনে নেওয়া হয় তাহলে ডিরেক্টরের পদত্যাগ চাই।

বিজ্ঞাপন

এ বিষয়ে আইইআর পরিচালক অধ্যাপক আখতার বানু বলেন, ‘শেখ রাসেল মডেল স্কুল এন্ড কলেজের শিক্ষা কার্যক্রমের অনুমতি ছিল অষ্টম শ্রেণী পর্যন্ত। পরে ওই প্রতিষ্ঠানের সাবেক অধ্যক্ষ ভুয়া ডকুমেন্ট বানিয়ে বোর্ডের অনুমোদন নিয়েছিল এবং শিক্ষার্থীদের ভর্তি নিয়েছিল। বোর্ডের অনুমতি নেওয়ার আগে প্রতিষ্ঠানের ম্যানেজিং কমিটি, আইইআর ও সিন্ডিকেটসহ ৪টি পর্যায় থেকে অনুমতি নিতে হয়। এসবের কোথাও থেকে অনুমতি নেওয়া হয়নি। এ ছাড়াও স্কুলের ম্যানেজিং কমিটি কলেজ শাখার বিষয়ে স্পষ্ট কোনো সিদ্ধান্তে আসেনি এমনই ডকুমেন্ট আমি পেয়েছি।’

তিনি আরও বলেন, প্রতিষ্ঠানটিতে এ সকল সংকট ছাড়াও শিক্ষক ও অবকাঠামোগত সংকট রয়েছে। এ সংকট সাথে নিয়ে শিক্ষার্থীদের রেজিষ্ট্রেশনের অনুমতি আমি দিতে পারি না। আমার দ্বারা শিক্ষার্থীদের ভবিষ্যৎ প্রতিপন্ন করা সম্ভব নয়। এ বিষয়ে আমি শিক্ষা মন্ত্রণালয়ের সিনিয়র সচিবের কাছে একটি চিঠিতে অনুরোধ করেছি যেন এ শিক্ষার্থীদের রাজশাহী নগরীর অন্যান্য কলেজে আসন ফাঁকা সাপেক্ষে পুনর্বাসন করা হয়।

একাদশ শ্রেণীর আরেক শিক্ষার্থী নাহিদ ইকবাল বলেন, আমাদের ভর্তি প্রক্রিয়া সম্পন্ন হয়েছে। কিন্তু রেজিস্ট্রেশন জটিলতায় ভুগছি। এ জটিলতা অবসানে আমাদের দ্রুত অন্য কলেজে ট্রান্সফার ব্যাবস্থা বা এ কলেজেই রেজিষ্ট্রেশন করার সুযোগ দেওয়া হোক। প্রশাসনিক জটিলতার কারণে আমাদের শিক্ষাজীবনে যেন কোনো বাধা না আসে।

এ সময় শিক্ষার্থীদের অভিভাবকরা বলেন, শিক্ষা বোর্ড আমাদের থেকে দুদিনের সময় নিয়েছিল। কিন্তু আমাদের সন্তানেরা এখানে রেজিষ্ট্রেশন করুক এটা আইইআর পরিচালক চাচ্ছেই না। এখানে আমাদের ছেলে মেয়েদের ভর্তি করে চরম অনিশ্চয়তায় পড়েছি। উনারা কোনো প্রকার দায়িত্ব নিতে চাচ্ছে না।

বিজ্ঞাপন

জানতে চাইলে রাজশাহী শিক্ষা বোর্ডের কলেজ পরিদর্শক এনামুল হক বলেন, কলেজটার রেজিষ্ট্রেশন নিয়ে গত কিছুদিন যাবত বেশ জটিলতায় ভুগতে হচ্ছে। এ মুহুর্তে ওই প্রতিষ্ঠানের শতাধিক শিক্ষার্থীকে নগরের অন্যান্য কলেজে পুনর্বাসন করা সম্ভব না। আমি ওইখানের সংশ্লিষ্টদের অনুরোধ করব তারা যেন এ শিক্ষার্থীদের শিক্ষাজীবনের কথা মাথায় রেখে তাদেরকে রেজিষ্ট্রেশনে অনুমতি দেয়।

সারাবাংলা/এমপি

রাজশাহী বিশ্ববিদ্যালয়

বিজ্ঞাপন
সর্বশেষ

দেশে ফিরলেন মির্জা ফখরুল
২৬ অক্টোবর ২০২৪ ০১:৩০

সম্পর্কিত খবর