ধর্মঘট স্থগিত: ৩২ ঘণ্টা পর কনটেইনার পরিবহন শুরু

চট্টগ্রাম ব্যুরো : কনটেইনার পরিবহনকারী গাড়ি চলাচল বন্ধ করে ডাকা ৪৮ ঘণ্টার ধর্মঘট স্থগিত করা হয়েছে। এর ফলে বেসরকারি ডিপো থেকে চট্টগ্রাম বন্দরে কনটেইনার আনা-নেওয়া আবারও শুরু হয়েছে।

মঙ্গলবার (২২ অক্টোবর) বিকেল ৪টার দিকে ধর্মঘট আহ্বানকারী সংগঠন চট্টগ্রাম জেলা প্রাইম মুভার ট্রেইলার, কংক্রিট মিক্সচার, ফ্ল্যাটবেড ও ডাম্প ট্রাক শ্রমিক ইউনিয়ন তাদের কর্মসূচি স্থগিতের ঘোষণা দেয়।

চাকরির নিয়োগপত্র, ছবিসহ পরিচয়পত্র এবং সরকার–ঘোষিত মজুরি প্রদানের দাবিতে সংগঠনটি সোমবার সকাল থেকে ৪৮ ঘণ্টার ধর্মঘট শুরু করেছিল।

সংগঠনের সভাপতি সেলিম খান জানিয়েছেন, আগামী বৃহস্পতিবারের মধ্যে দাবি মেনে নেওয়ার আশ্বাস পাবার পর ধর্মঘট স্থগিত করা হয়েছে।

এদিকে ধর্মঘটের কারণে সোমবার সকাল থেকে চট্টগ্রামে ২১টি বেসরকারি কনটেইনার ডিপোতে কার্যত অচলাবস্থা সৃষ্টি হয়। ডিপো থেকে চট্টগ্রাম বন্দরে কনটেইনার আনা-নেওয়া পুরোপুরি বন্ধ হয়ে যায়। প্রায় ৩২ ঘণ্টা ধরে রফতানি পণ্যবোঝাই কোনো কনটেইনার ডিপো থেকে চট্টগ্রাম বন্দরে জাহাজীকরণের জন্য নেওয়া যায়নি। একইভাবে আমদানি পণ্যবোঝাই কনটেইনারও চট্টগ্রাম বন্দর থেকে বের হয়নি।

উল্লেখ্য, দেশের আমদানি-রফতানি পণ্যের ৯৯ শতাংশ কনটেইনারের মাধ্যমে পরিবহন হয়। রফতানি পণ্য কারখানা থেকে প্রথমে বেসরকারি কনটেইনার ডিপো বা অফডকে নেওয়া হয়। সেখানে কাস্টমসসহ বিভিন্ন সংস্থার আইনি প্রক্রিয়া সম্পন্নের পর সেই পণ্য কনটেইনারে তোলা হয়।

এরপর প্রাইম মুভার ট্রেইলার গাড়িতে সেই কনটেইনার পাঠানো হয় বন্দরে। সেখান থেকে জাহাজে ওঠানোর পর রফতানি পণ্যবোঝাই কনটেইনার যায় নির্ধারিত গন্তব্যে। অফডক থেকে রফতানি ও আমদানি পণ্য মিলিয়ে চট্টগ্রাম বন্দরে প্রতিদিন গড়ে প্রায় দুই হাজার কনটেইনার পরিবহন হয়।

বাংলাদেশ ইনল্যান্ড কনটেইনার ডিপো অ্যাসোসিয়েশনের (বিকডা) মহাসচিব রুহুল আমিন সিকদার বিপ্লব সারাবাংলাকে বলেন, ‘ধর্মঘটের কারণে কনটেইনার পরিবহনে যে অচলাবস্থা ছিল সেটার নিরসন হয়েছে। আজ (মঙ্গলবার) বিকেল চারটা থেকে আবারও কনটেইনার বন্দরে যাচ্ছে।’

সারাবাংলা/আরডি/এমপি

ধর্মঘট