ট্রাম্প বললেন ঈশ্বর পথ দেখাচ্ছেন, কমলা বলছেন প্রতিপক্ষ জিতলে সর্বনাশ
২২ অক্টোবর ২০২৪ ২০:২৭
মার্কিন প্রেসিডেন্ট নির্বাচনের আর মাত্র দুই সপ্তাহ বাকি। শেষ মুহূর্তে ভোটারদের মন জয় করতে জোর প্রচার চালাচ্ছেন ডেমোক্রেটিক পার্টির প্রার্থী কমলা হ্যারিস ও রিপাবলিকান পার্টির প্রার্থী ডোনাল্ড ট্রাম্প। কেবল নিজেদের পক্ষে ইতিবাচক কথাবার্তা আর ভবিষ্যতের পরিকল্পনাই কেবল তুলে ধরছেন না, প্রতিপক্ষকে ঘায়েল করার মতো কথাবার্তাও তারা বলে যাচ্ছেন নির্বাচনি প্রচারে।
ডোনাল্ড ট্রাম্প যেমন সোমবার (২১ অক্টোবর) যাজকদের উপস্থিতিতে আয়োজিত অনুষ্ঠানে বলেন, ঈশ্বরই যেন তাকে সহায়তা করে এগিয়ে নিয়ে যাচ্ছেন। অন্যদিকে কমলা হ্যারিস আবার ট্রাম্পকে ঘায়েল করতে তার বয়সকে ব্যবহার করছেন। বলছেন, এই বয়স নিয়ে ট্রাম্প মার্কিন প্রেসিডেন্ট হওয়ার যোগ্যই নন। ট্রাম্প জিতলে যুক্তরাষ্ট্রের সর্বনাশ হবে বলে মন্তব্য করছেন তিনি।
নির্বাচনি প্রচারের শেষ ভাগে এসে ‘সুইং’ স্টেটগুলোর দিকে বেশি মনোযোগ দিচ্ছেন নির্বাচনের প্রধান দুই প্রার্থী কমলা হ্যারিস ও ডোনাল্ড ট্রাম্প। সোমবার মধ্যপশ্চিমের এমনটি রাজ্যে প্রচারে ব্যস্ত ছিলেন কমলা। অন্যদিকে ট্রাম্প সোমবার নির্বাচনি প্রচার চালান নর্থ ক্যারোলাইনায়।
ট্রাম্প খ্রিষ্টান ধর্মযাজকদের এক সমাবেশে অংশ নেন সোমবার। সেখানে ট্রাম্প বলেন, ‘আমি এখন বুঝতে পারি, আমি আজ যেখানে রয়েছি, ঈশ্বরই আমাকে সেখানে পথ দেখিয়ে নিয়ে এসেছেন।’
নিজের ওপর হামলার ঘটনা উল্লেখ করে ট্রাম্প বলেন, ‘ঈশ্বর অতিপ্রাকৃতিকভাবে আমাকে রক্ষা করেছেন। আমি এটাই মনে করি, ঈশ্বর নিশ্চয় কোনো উদ্দেশ্যে আমাকে বাঁচিয়েছেন। আর সেটি হলো— আমাদের দেশকে অতীতের যেকোনো সময়ের তুলনায় আরও বেশি মহান করে গড়ে তুলতে হবে। আমি সেই কাজ করে যাব।’
এদিকে ডেমোক্রেটিক পার্টির প্রার্থী কমলা হ্যারিস প্রতিপক্ষ ট্রাম্পের বয়সকে হাতিয়ার হিসেবে ব্যবহার করছেন। ৭৮ বছর বয়সী ট্রাম্প মার্কিন ইতিহাসে সবচেয়ে বয়স্ক প্রার্থী হিসেবে এই নির্বাচনে লড়ছেন। এটি নিয়ে বেশ কয়েকবার আক্রমণাত্মক কথা বলেছেন কমলা। এই বয়সে এসে ট্রাম্প প্রেসিডেন্টের দায়িত্ব পালনের মতো সুস্থ ও সক্ষম কি না— তা নিয়েও সংশয় প্রকাশ করেন তিনি।
সবশেষ সোমবার ট্রাম্পকে আক্রমণ করে কমলা বলেন, সাবেক এই মার্কিন প্রেসিডেন্ট ‘গণতন্ত্রের জন্য হুমকি’। পেনসিলভানিয়ায় এক সমাবেশে তিনি বলেন, ‘অনেকভাবেই ডোনাল্ড ট্রাম্প একজন গুরুত্বহীন ব্যক্তি। তিনি যুক্তরাষ্ট্রের প্রেসিডেন্ট হলে এর পরিণতি ভয়াবহ হবে।’
মার্কিন যুক্তরাষ্ট্রের প্রেসিডেন্ট নির্বাচন আগামী ৫ নভেম্বর। নির্বাচনে প্রধান দুই প্রার্থী ট্রাম্প ও হ্যারিসের মধ্যে হাড্ডাহাড্ডি লড়াইয়ের আভাস মিলছে। তবে এই নির্বাচনের মজার বিষয় হলো— যে প্রার্থী সবচেয়ে বেশি ভোট পাবেন তিনিই যে প্রেসিডেন্ট হিসেবে নির্বাচিত হবেন, তার নিশ্চয়তা নেই। চূড়ান্তভাবে নির্বাচনে জয় নির্ভর করবে ইলেকটোরাল কলেজ ভোটের মাধ্যমে।
যুক্তরাষ্ট্রের রাজ্যগুলোর মোট ইলেকটোরাল কলেজের সংখ্যা ৫৩৮। একেকটি রাজ্যে ভোটার সংখ্যার ওপর নির্ভর করে ইলেকটোরাল কলেজ কমবেশি হয়ে থাকে। সাধারণত কোনো রাজ্যে যে প্রার্থী ভোট বেশি পান, ওই রাজ্যের সব ইলেকটোরাল কলেজই ওই প্রার্থী পেয়ে যান। এভাবে যে প্রার্থী ২৭০ বা তার বেশি ইলেকটোরাল কলেজ পাবেন, তিনিই হবেন নতুন মার্কিন প্রেসিডেন্ট।
সারাবাংলা/এইচআই/টিআর