মাদরাসা সুপারের অপসারণ চায় শিক্ষার্থী-অভিভাবকরা
২২ অক্টোবর ২০২৪ ২২:৩৪
বাগেরহাট: সরকারি বাজেট আত্মসাৎ ও শিক্ষক নিয়োগ দেওয়ার কথা বলে অর্থ আদায় , প্রতিষ্ঠানের জায়গা দখলসহ বিভিন্ন অনিয়ম দূর্নীতির অভিযোগ উঠেছে মোংলায় চৌরিডাঙ্গা আহমাদিয়া দাখিল মাদরাসার সুপারের বিরুদ্ধে ।
মাদরাসাটির সুপার মাওলানা শেখ জালাল উদ্দীনের বিরুদ্ধে ওঠা এসব অনিয়ম ও দুর্নীতির বিরুদ্ধে আইনগত ব্যবস্থা নিতে ফুঁসে উঠেছে ওই মাদরাসার শিক্ষার্থী ও অভিভাবকরা। প্রতিবাদে তারা মঙ্গলবার (২২ অক্টোবর) বেলা ১১টায় বাগেরহাটের মোংলা উপজেলার মিঠাখালী ইউনিয়নে মাদরাসার মাঠে মানববন্ধন করেন।
তবে এ সময় মাদরাসায় সুপার উপস্থিত ছিলেন না। যদিও গত ৫ আগষ্টের পর থেকেই রহস্যজনক কারণে নিয়ম করে মাদরাসায় আসেন না ।
তার বিরুদ্ধে উপজেলা প্রশাসনের কাছে এ পর্যন্ত অন্তত ১৫টি অভিযোগ দিয়েছেন এলাকাবাসী, শিক্ষার্থী ও ভুক্তভোগিরা। সে সব অভিযোগে উল্লেখ করা হয়, মাদরাসা সুপার জালাল উদ্দীন মাদরাসায় সরকারি বাজেটের পাঁচ লাখ টাকা, মাদরাসার জমি লিজ দেওয়ার টাকা, শিক্ষার্থীদের দাখিল পরীক্ষার রেজিষ্ট্রেশনের টাকা, শিক্ষক নিয়োগ দেওয়ার কথা বলে টাকা আত্মসাৎ করেছেন। এ ছাড়া মাদরাসার জালনা- দরজা, পানির ট্যাংক, গাছ বিক্রি করা, কুরের মাছ বিক্রি এবং মাদরাসার পুরাতন ভবনের ইট নিয়ে নিজের বাড়িতে নিয়ে রাখার অভিযোগ আছে তার বিরুদ্ধে।
মঙ্গলবার তার বিরুদ্ধে এসব অভিযোগসহ সুনির্দিষ্ট আরও কিছু অভিযোগের বিষয়ে তদন্ত এসে মাদরাসায় সুপারকে খুঁজে পায়নি উপজেলা মাধ্যমিক শিক্ষা অফিসার। অভিযুক্ত সুপার জালাল উদ্দীনের ব্যবহৃত ফোন বন্ধ পাওয়ায় তার বক্তব্যও নিতে পারেননি তিনি।
মাদরাসা প্রাঙ্গণে মানববন্ধন চলাকালে অভিভাবকরা অভিযোগ করে বলেন, মাদরাসার সুপার জালাল উদ্দীন একজন দূর্নীতিবাজ শিক্ষক। তার অনিয়ম ও স্বেচ্ছাচারিতার কারণে প্রাচীনতম এই মাদরাসায় শিক্ষার্থী মাত্র ৩৭ জন। বছরের পর বছর ধরে তার অনিয়ম আর দূর্নীতির বিরুদ্ধে ব্যবস্থা না হওয়ায় তিনি যা ইচ্ছা তা করে যাচ্ছেন।
সরকারি টাকাও আত্মসাৎ করেছেন উল্লেখ করে মোংলা উপজেলা মাধ্যমিক শিক্ষা অফিসার মো. মনিরুজ্জামান বলেন, তাকে বেশ কিছু দিন ধরে তলব করেও তাকে খুঁজে পাওয়া যাচ্ছে না। তার বিরুদ্ধে যথাযথ ব্যবস্থা নেওয়া হবে বলেও জানান তিনি।
সারাবাংলা/এইচআই