Wednesday 23 Oct 2024
Sarabangla | Breaking News | Sports | Entertainment

মোংলা থেকে ৬৯৫ কিলোমিটার দূরে ‘দানা’

স্পেশাল করেসপন্ডেন্ট
২৩ অক্টোবর ২০২৪ ১৪:৪৯

ঢাকা: আবহাওয়া অধিদফতরের সবশেষ বিশেষ বিজ্ঞপ্তির তথ্যানুযায়ী বঙ্গোপসাগরে সৃষ্ট ঘূর্ণিঝড় ‘দানা’ খুলনা সমুদ্রবন্দর থেকে ৬৯৫ কিলোমিটার দূরে অবস্থান করছে। যদিও কক্সবাজার থেকে ৬২০ কিলোমিটার দূরত্বে অবস্থান ডানা’র। এদিকে দানা মোকাবিলায় উপকূলীয় বিভাগ খুলনায় ৬০৪টি সাইক্লোন সেন্টার প্রস্তুত রেখেছে স্থানীয় প্রশাসন। এসব সেন্টারে তিন লাখের বেশি মানুষ আশ্রয় নিতে পারবেন। এদের সেবা দিতে পাঁচ হাজারের বেশি স্বেচ্ছাসেবককে প্রস্তুত থাকতে বলা হয়েছে।

বিজ্ঞাপন

বুধবার (২৩ অক্টোবর) আবহাওয়ার বিশেষ বিজ্ঞপ্তিতে বলা হয়েছে, পূর্বমধ্য বঙ্গোপসাগর ও তৎসংলগ্ন এলাকায় অবস্থানরত গভীর নিম্নচাপটি আরও পশ্চিম-উত্তরপশ্চিম দিকে অগ্রসর হয়ে একই এলাকায় (১৫.৯০ উত্তর অক্ষাংশ এবং ৯০.১০ পূর্ব দ্রাঘিমাংশ) অবস্থান করছে। এটি মঙ্গলবার মধ্যরাতে চট্টগ্রাম সমুদ্রবন্দর থেকে ৭২৫ কিমি দক্ষিণ-দক্ষিণপশ্চিমে, কক্সবাজার সমুদ্রবন্দর থেকে ৬৫০ কিমি দক্ষিণ-দক্ষিণপশ্চিমে, মোংলা সমুদ্রবন্দর থেকে ৭৩০ কিমি দক্ষিণ-দক্ষিণপূর্বে এবং পায়রা সমুদ্রবন্দর থেকে ৬৮০ কিমি দক্ষিণ-দক্ষিণপূর্বে অবস্থান করছিল। এটি আরও পশ্চিম-উত্তরপশ্চিম দিকে অগ্রসর ও ঘনীভূত হয়ে ঘূর্ণিঝড়ে পরিণত হতে পারে।

বিজ্ঞাপন

ঘূর্ণিঝড় কেন্দ্রের ৫৪ কিলোমিটারের মধ্যে বাতাসের একটানা সর্বোচ্চ গতিবেগ ঘণ্টায় ৬২ কিমি যা দমকা অথবা ঝড়ো হাওয়ার আকারে ঘণ্টায় ৮৮ কিলোমিটার পর্যন্ত বৃদ্ধি পাচ্ছে। ঘূর্ণিঝড় কেন্দ্রের নিকটবর্তী এলাকায় সাগর খুবই উত্তাল রয়েছে।

আবহাওয়াবিদ মোহাম্মদ আবদুর রহমান খান জানিয়েছেন, চট্টগ্রাম, কক্সবাজার, মোংলা ও পায়রা সমুদ্র বন্দরগুলোকে ১ নম্বর দূরবর্তী সতর্ক সংকেত নামিয়ে ২ নম্বর দূরবর্তী হুশিয়ারি সংকেত দেখাতে বলা হয়েছে। এ সময় উত্তর বঙ্গোপসাগর ও গভীর সাগরে অবস্থানরত সকল মাছ ধরার নৌকা ও ট্রলারকে পরবর্তী নির্দেশ না দেওয়া পর্যন্ত উপকূলের কাছাকাছি থেকে সাবধানে চলাচল করতে বলা হয়েছে, যেন স্বল্প সময়ের নোটিশে নিরাপদ আশ্রয় যেতে পারে।

এদিকে ঘূর্ণিঝড় দানা মোকাবিলায় খুলনায় প্রস্তুত রাখা হয়েছে ৬০৪টি সাইক্লোন সেন্টার। সরকারি কর্মকর্তা-কর্মচারীদের নিজ নিজ কর্মস্থলে থাকার জন্য বলা হয়েছে। প্রস্তুত রাখা হয়েছে শুকনো খাবার ও ওষুধ। স্বাস্থ্য বিভাগ, ফায়ার সার্ভিস, পুলিশ, নৌবাহিনী ও কোস্টগার্ড প্রস্তুত রয়েছে।

খুলনা জেলা প্রশাসক মো. সাইফুল ইসলাম গনমাধ্যমকে বলেন, বুধবার দুপুরের পর দুর্যোগ ব্যবস্থাপনা কমিটির সভা হবে। ঘূর্ণিঝড় মোকাবিলার জন্য ৬০৪টি সাইক্লোন সেন্টার প্রস্তুত রাখা হয়েছে। যেন পরিস্থিতি অনুযায়ী ঝুঁকিপূর্ণ এলাকার লোকজন আশ্রয় নিতে পারেন। এসব সেন্টারে মোট তিন লাখ ১৫ হাজার ১৮০ মানুষ আশ্রয় নিতে পারবে। এছাড়া তিনটি মুজিব কিল্লায় ৪৩০ মানুষ আশ্রয় ও ৫৬০টি গবাদিপশু রাখ যাবে।

তিনি জানান, খুলনার দুর্বল বেড়িবাঁধগুলোর জন্য প্রস্তুতিও নেওয়া হয়েছে। এই আবহাওয়ায় বাঁধগুলো এখন মেরামত করা সম্ভব নয়। এজন্য পানি উন্নয়ন বোর্ডের কর্মকর্তাদের সতর্ক নজর রাখার নির্দেশনা দেওয়া হয়। এছাড়া কয়রা, দাকোপ ও পাইকগাছা উপজেলায় পাঁচ হাজার ২৮০ স্বেচ্ছাসেবককে প্রস্তুত থাকতে নির্দেশনা দেওয়া হয়েছে। উপজেলা পর্যায়ের কর্মকর্তাদের সতর্ক করা হয়েছে। এছাড়া কর্মকর্তা-কর্মচারীদের নিজ নিজ কর্মস্থলে থাকার জন্য বলা হয়েছে বলে জানান তিনি।

সারাবাংলা/জেআর/ইআ

বিজ্ঞাপন
সর্বশেষ
সম্পর্কিত খবর