মার্কিন নির্বাচনে যুক্তরাজ্যের লেবার পার্টির হস্তক্ষেপের অভিযোগ
২৩ অক্টোবর ২০২৪ ১৬:৫৮
মার্কিন প্রেসিডেন্ট নির্বাচনে যুক্তরাজ্যের লেবার পার্টির হস্তক্ষেপের অভিযোগ তুলেছেন রিপাবলিকান প্রার্থী ও সাবেক প্রেসিডেন্ট ডোনাল্ড ট্রাম্প। ফেডারেল নির্বাচন কমিশনের (এফইসি) কাছে দায়ের করা অভিযোগে তিনি বলেছেন, নির্বাচনে ডেমোক্র্যাট প্রার্থী কমলা হ্যারিসকে লেবার পার্টির সমর্থন দেওয়া ‘স্পষ্টতই বিদেশি হস্তক্ষেপ’।
এ সপ্তাহের শুরুতে অভিযোগপত্র জমা দিয়েছিলেন ট্রাম্প। তাতে কমলা হ্যারিসের প্রচারাভিযানে লেবার পার্টি ও ডেমোক্র্যাট পার্টির মধ্যে অন্যায্য যোগাযোগের গণমাধ্যম প্রতিবেদন ও সামাজিক যোগাযোগমাধ্যমের বিভিন্ন কার্যক্রমের কথা উল্লেখ করা হয়েছে।
অভিযোগ অনুযায়ী, লেবার পার্টির সিনিয়র সদস্যরা হ্যারিসের প্রচার দলের সদস্যদের সঙ্গে দেখা করেছিলেন।
লেবার পার্টির একজন সদস্য সামাজিক মাধ্যমে পোস্ট করেছেন, বর্তমান ও সাবেক মিলিয়ে প্রায় ১০০ লেবার সদস্য হ্যারিসের পক্ষে প্রচার চালাতে মার্কিন যুক্তরাষ্ট্রের গুরুত্বপূর্ণ অঙ্গরাজ্যগুলোতে ভ্রমণ করার পরিকল্পনা করেছেন।
ট্রাম্প অত্যন্ত সরব হলেও অভিযোগটি খুব একটা পাত্তা পাবে না বলে মনে করছেন বিশ্লেষকরা। কারণ মার্কিন প্রেসিডেন্ট নির্বাচনে প্রচারাভিযানের অর্থ আইনে স্বেচ্ছাসেবক হিসেবে অংশগ্রহণের অনুমতি দেওয়া আছে সবার জন্যই। তবে বিদেশি নাগরিকরা প্রচারাভিযানে অর্থ দিতে পারবেন না। রাজনৈতিক প্রচারে তাই বিদেশি নাগরিকদের যুক্ত হওয়ার ঘটনাও নতুন কিছু নয়। কমলা হ্যারিসের পক্ষে লেবার পার্টির সদস্যরাও এমন প্রচার কার্যক্রমে যুক্ত থাকলে তা আইনি সীমা লঙ্ঘন হিসেবে প্রমাণ করা কঠিন।
ধারণা করা হচ্ছে, ২০১৬ সালের নির্বাচনে ট্রাম্পের বিরুদ্ধে রুশ সংযোগের যে অভিযোগটি আনা হয়েছিল, সেখান থেকে দৃষ্টি সরানো সম্ভব হবে। ট্রাম্পের প্রথম প্রেসিডেন্ট নির্বাচনের ওই প্রচারে রাশিয়ান হস্তক্ষেপের অভিযোগ আনা হয়েছিল। তবে তদন্তে কোনো যোগসাজশের প্রমাণ পাওয়া যায়নি।
এদিকে চলতি নির্বাচনে টেক বিলিয়নেয়ার ইলন মাস্কের বিরুদ্ধে ট্রাম্পের প্রচারে অনৈতিকভাবে অর্থ দেওয়ার অভিযোগ উঠেছে।
ট্রাম্পের প্রচরণায় মাস্ক বলেছিলেন, ‘ট্রাম্পপন্থি তার সংগঠন আমেরিকা পিএসি’তে স্বাক্ষরকারীদের মধ্যে যেকোনো একজনকে দৈনিক এক মিলিয়ন ডলার উপহার দেওয়া হবে। তবে শর্ত হচ্ছে, সেই ব্যক্তিকে অবশ্যই তার ট্রাম্পপন্থি আমেরিকা পিএসি পিটিশনে সই করতে হবে এবং নির্বাচনের দিন পর্যন্ত এর মুখপাত্র হতে হবে।’ স্বাক্ষককারীদের মধ্যে একজনকে লটারির মাধ্যমে বেছে নেওয়া হবে।
সারাবাংলা/এইচআই/টিআর
কমলা হ্যারিস ডোনাল্ড ট্রাম্প মার্কিন নির্বাচন যুক্তরাজ্যের লেবার পার্টি