Thursday 21 Nov 2024
Sarabangla | Breaking News | Sports | Entertainment

সিগারেট কোম্পানির বেপরোয়া প্রচারণার শাস্তি দাবি

সিনিয়র করেসপন্ডেন্ট
২৩ অক্টোবর ২০২৪ ২১:১৯

ঢাকা: দেশে সিগারেট কোম্পানিগুলো বেপরোয়াভাবে ক্ষতিকর এই দ্রব্যের প্রচার-প্রচারণায় নেমেছে। জনকল্যাণ নয় বরং কিশোর ও তরুণদের সিগারেটে ও ই-সিগারেটে আসক্ত করে মৃত্যুর দিকে ঠেলে দিয়ে নিজেদের ব্যবসা সম্প্রসারণ ও মুনাফা অর্জনই তাদের প্রধান উদ্দেশ্য।

অন্যদিকে, সিগারেট কোম্পানিগুলোকে বারবার সর্তক করার পরও তারা আইনের তোয়াক্কা না করে ক্রমাগত আইন লঙ্ঘন করে চলেছে। আগামী প্রজন্মের স্বাস্থ্য সুরক্ষায় আইন লঙ্ঘনকারী, বেপরোয়া সিগারেট কোম্পানিগুলোকে কঠোর শাস্তির আওতায় আনা প্রয়োজন।

বিজ্ঞাপন

বুধবার (২৩ অক্টোবর) রাজধানীর শাহবাগ জাতীয় জাদুঘরের সামনে বাংলাদেশ তামাক বিরোধী জোট আয়োজিত ‘তরুণদের আসক্ত করতে সিগারেটের বেপোরোয়া প্রচারণা , কোম্পানিগুলোকে শাস্তির আওতায় আনা হোক’ শীর্ষক অবস্থান কর্মসূচিতে বক্তারা এসব কথা বলেন।

বাংলাদেশ তামাক বিরোধী জোট এর ভারপ্রাপ্ত সমন্বয়কারী হেলাল আহমেদ এর সভাপতিত্বে অনুষ্ঠানটি সঞ্চালনা করেন ডাস এর কর্মসূচি সমন্বয়কারী মোয়াজ্জেম হোসেন টিপু।

এতে বক্তব্য রাখেন এইড ফাউন্ডেশন এর প্রকল্প পরিচালক শাগুফতা সুলতানা, বাটা’র সচিবালয়ের দপ্তর সম্পাদক এবং ডাব্লিউবিবি ট্রাস্ট এর হেড অব প্রোগ্রাম সৈয়দা অনন্যা রহমান, ঢাকা ইন্টারন্যাশনাল ইউনিভার্সিটি (টিসিআরসি) এর প্রজেক্ট ম্যানেজার ফারহানা জামান লিজা, এইড ফাউন্ডেশনের সিনিয়র প্রোগ্রাম অফিসার আবু নাসের অনীক, ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ের অর্থনৈতিক গবেষণা ব্যুরোর প্রজেক্ট অফিসার ইব্রাহীম খলিল, মানস এর সিনিয়র প্রকল্প কর্মকর্তা আবু রায়হান, প্রকল্প কর্মকর্তা মিঠুন বৈদ্য, টিসিআরসি এর প্রকল্প কর্মকর্তা বিভূতিভূষণ মাহাতো।

বিজ্ঞাপন

বক্তারা বলেন, তামাক নিয়ন্ত্রণ আইন অনুসারে তামাকজাত দ্রব্যের সব ধরনের বিজ্ঞাপন ও প্রচারণা নিষিদ্ধ। কিন্তু ধূর্ত তামাক কোম্পানিগুলো তামাকজাত দ্রব্যের বিক্রয়স্থানে তামাকজাত দ্রব্যের বিজ্ঞাপন প্রচার করে আসছে। মিথ্যা প্রচারণার মাধ্যমে তামাক কোম্পানিগুলো তরুণদেরকে ই-সিগারেটে আসক্ত করছে।

উল্লেখ্য, ই-সিগারেট নেশা সৃষ্টি করে এবং ক্ষতিকর বিধায় ভারতসহ ইতোমধ্যে বিশ্বের ৪৭টি দেশ ই-সিগারেট বিক্রি নিষিদ্ধ করেছে।

আগামী প্রজন্মের সুরক্ষায় দেশে ই-সিগারেট নিষিদ্ধ এবং আইন লঙ্ঘনকারী বেপরোয়া সিগারেট কোম্পানিগুলোকে কঠোর শাস্তির আওতায় আনা প্রয়োজনের কথা বলেন বক্তারা।

অবস্থান কর্মসূচিতে সংগঠনটি ৮টি দাবি তুলে ধরেন। দাবিগুলো হলো— আইন লঙ্ঘনকারী তামাক কোম্পানিগুলোর বিরুদ্ধে শাস্তিমূলক ব্যবস্থা গ্রহণ, আইন অমান্যকারী দোকানগুলোর লাইসেন্স বাতিল, নিয়মিত মোবাইল কোর্টের মাধ্যমে আর্থিক জরিমানার পাশাপাশি জেল প্রদান, দ্রুত তামাক নিয়ন্ত্রণ আইন সংশোধন, তামাক কোম্পানির প্রভাব থেকে নীতি সুরক্ষায় পদক্ষেপ গ্রহণ, জাতীয় তামাক নিয়ন্ত্রণ কর্মসূচি দ্রুত চূড়ান্ত করা এবং দেশব্যাপী কার্যক্রম গ্রহণ, টাস্কফোর্স কমিটিগুলো সক্রিয় এবং সভা নিয়মিতকরণ ও তামাক নিয়ন্ত্রণ আইন বাস্তবায়ন মনিটরিং কার্যক্রমের সাথে বেসরকারী সংস্থাগুলোকে সম্পৃক্ত করা।

সারাবাংলা/ইএইচটি/এইচআই

প্রচারণা শাস্তি দাবি সিগারেট কোম্পানি

বিজ্ঞাপন

আরো

সম্পর্কিত খবর