রাহিবের মৃত্যুতে ডা. স্বপ্নীল ও ল্যাবএইডের বিরুদ্ধে অবহেলার প্রমাণ মিলেছে
২৩ অক্টোবর ২০২৪ ২২:০৫
ঢাকা: রাজধানীর ল্যাবএইড হাসপাতালে চিকিৎসায় অবহেলায় জাহাঙ্গীরনগর বিশ্ববিদ্যালয় শিক্ষার্থী রাহিব রেজার মৃত্যু হয়েছে। এর মূল দায় অস্ত্রোপচার দলের প্রধান অধ্যাপক ডা. মামুন আল মাহতাব স্বপ্নীলের। হাইকোর্টে দাখিল করা স্বাস্থ্য অধিদফতরের প্রতিবেদনে এ তথ্য উঠে এসেছে।
প্রতিবেদনে বলা হয়, যথাযথ প্রক্রিয়া মেনে রোগীকে এনেস্থেশিয়া দেওয়া হয়নি। এনডোস্কোপি করা হয়েছে অদক্ষ লোক দিয়ে। এমনকি জটিলতা দেখা দিলেও রোগীকে নিবিড় পরিচর্যা কেন্দ্রে (আইসিইউ) নিতে ৮৫ মিনিট সময় ক্ষেপণ করা হয়। এতে তার অবস্থা খারাপ হয় এবং এক পর্যায়ে রাহিব রেজা মারা যান।
এজন্য অভিযুক্ত চিকিৎসক ডা. মামুন আল মাহতাব স্বপ্নীলের বিরুদ্ধে ব্যবস্থা নিতে বাংলাদেশ মেডিকেল অ্যান্ড ডেন্টাল কাউন্সিল (বিএমডিসি) ও বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিব মেডিক্যাল বিশ্ববিদ্যালয় (বিএসএমএমইউ) কর্তৃপক্ষকে চিঠি দেয় স্বাস্থ্য অধিদফতর। তবে দীর্ঘ সময় পেরিয়ে গেলেও এখনো কোনো ব্যবস্থা নেয়নি দুই প্রতিষ্ঠান।
অভিযুক্ত চিকিৎসক অধ্যাপক ডা. মামুন আল মাহতাব স্বপ্নীল বিএসএমএমইউয়ের ইন্টারভেনশনাল হেপাটোলজি বিভাগের সাবেক চেয়ারম্যান। তার নিবন্ধন বাতিল ও ল্যাবএইডের কাছে ক্ষতিপূরণ চেয়েছে ভুক্তভোগী রাহিব রেজার পরিবার।
স্বাস্থ্য অধিদফতরের প্রতিবেদনের বরাত দিয়ে বুধবার (২৩ অক্টোবর) হাইকোর্টে এক সংবাদ সম্মেলনে এসব তথ্য জানান রাহিব রেজার পরিবারের আইনজীবী ব্যারিস্টার রাশনা ইমাম। এসময় রাহিবের স্ত্রী ও তার পরিবারের অন্য সদস্যরা উপস্থিত ছিলেন।
সংবাদ সম্মেলনে ব্যারিস্টার রাশনা ইমাম বলেন, চিকিৎসায় অবহেলার ঘটনা এখন স্বাভাবিক হয়ে দাঁড়িয়েছে। এর প্রতিবাদে আমরা হাইকোর্টে একটি রিট পিটিশন দাখিল করেছিলাম। একই সঙ্গে বেশকিছু নির্দেশনা চেয়েছিলাম।
তিনি বলেন, আমাদের দাবি ছিল, চিকিৎসায় অবহেলা হয়েছে কি না সে বিষয়ে একটা তদন্ত কমিটি গঠন করা। সে আলোকে স্বাস্থ্য অধিদফতর তদন্ত করেছে। প্রতিবেদনের সঙ্গে একটি স্পষ্টীকরণ (ক্লারিফিকেশন) চিঠিও দিয়েছে অধিদফতর। যেখানে স্পষ্ট করে ডা. স্বপ্নীলের বিরুদ্ধে গুরুতর অবহেলার প্রমাণ পাওয়া গেছে।
প্রতিবেদনের সূত্র উল্লেখ করে তিনি বলেন, এন্ডোসকপির প্রক্রিয়া, এন্ডোসকপিকালীন এবং পরবর্তী স্টেজেও চিকিৎসায় চরম অবহেলা করা হয়েছে। রাহিব রেজা সর্বোচ্চ ঝুঁকির রোগী ছিলেন। অতিরিক্ত ওজন, কার্ডিয়াক ইস্যুও ছিল। অস্ত্রোপচারের আগে যেসব পরীক্ষা-নিরীক্ষা করা হয়েছে সেখানেই এসব শনাক্ত হয়। কিন্তু দুঃখজনক হলেও সত্য, ওনারা কোনো রিপোর্টই দেখেননি। ফলে কোনো ঝুঁকি আছে কি না তা না জেনে কোনো ব্যবস্থাই নেননি। এর মধ্যেই অ্যানেস্থেসিয়া দিয়ে অস্ত্রোপচার করা হয়। এখন প্রশ্ন এসেছে, কে অ্যানেস্থেসিয়া দিয়েছিল।
তিনি বলেন, তদন্ত প্রতিবেদন বলছে সেখানে দক্ষ কোনো অ্যানেস্থেসিস্ট ছিলেন না। এটা অবাক করে দিচ্ছে। এত বড় হাসপাতালে, এত বড় একজন চিকিৎসক তার টিমে কোনো দক্ষ অ্যানেস্থেসিস্ট নেই! কোনো ঝুঁকি যাচাই ছাড়াই এন্ডোসকপি করা হয়েছে। শুধু তাই নয়, এন্ডোসকপিতে সম্পৃক্ত আটজনের সাতজনেরই অভিজ্ঞতার কোনো কাগজ তদন্ত কমিটি পায়নি। অর্থাৎ অদক্ষ লোক দিয়ে এন্ডোসকপি করা হয়েছে।
তিনি আরও বলেন, এখানে স্বপ্নীল ও হাসপাতাল উভয় সমান অপরাধী। সবচেয়ে আশ্চর্যের বিষয়, একই দিনে একই ডাক্তার আরও ৬৬টি এন্ডোসকপি ও কলোনসকপি করেছেন। এ ঘটনার পর সাবেক স্বাস্থ্যমন্ত্রী ডা. সামন্ত লাল সেন পরিদর্শনে গিয়ে একদিনে ৭১টি এন্ডোসকপি করার প্রমাণ পান। এগুলো যদি এখনই চিহ্নিত ও ব্যবস্থা না নেওয়া হয়, সামনে আমরাও ভুল চিকিৎসার শিকার হয়ে অকালে মারা যাবো।
রাশনা ইমাম বলেন, এখনও ক্লিয়ার না, রিএজেন্ট কী ব্যবহার করা হয়েছিল? এমনকি ল্যাবএইডের এন্ডোসকপি সেটআপে ত্রুটি পাওয়া গেছে। প্রতিবেদনে মন্তব্য করা হয়েছে, এন্ডোসকপির পর রোগীর শ্বাসকষ্টসহ অন্যান্য জটিলতা দেখা দিয়েছিল, সেখান থেকে ৮৫ মিনিট ধরে সময় নষ্ট করা হয়েছে। ফলে রোগীকে পরে আইসিইউতে নিলেও বাঁচানো যায়নি।
শাস্তি ও ক্ষতিপূরণের বিষয়ে তিনি বলেন, তদন্তের পর অধিদফতর বিএমডিসিতে চিঠি দেয় ব্যবস্থা নিতে। কিন্তু এখনো কোনো ব্যবস্থা নেয়নি। এজন্য আমরা আদালতের কাছে ব্যবস্থা গ্রহণের নির্দেশনা দেওয়ার আবেদন জানাবো। একইভাবে বিএসএমএমইউ কেও তার বিরুদ্ধে বিভাগীয় ব্যবস্থা নিতে বলা হয়েছিল। তারাও কোনো ব্যবস্থা নেয়নি। এখন আমরা ডা. স্বপ্নীলের নিবন্ধন বাতিল, ল্যাবএইডের বিরুদ্ধেও ব্যবস্থা এবং ক্ষতিপূরণের দাবিতে হাইকোর্টে আবেদন করবো।
অধ্যাপক স্বপ্নীলের বিরুদ্ধে চিকিৎসায় অবহেলা প্রমাণিত হয়েছে জানিয়ে তিনি বলেন, আমাদের চাওয়া ছিল, দোষী প্রমাণিত হলে তার নিবন্ধন বাতিল চাইবো। ইতিমধ্যে রাহিব রেজার সন্তান, স্ত্রী ও বাবার জন্য ল্যাবএইড হাসপাতাল থেকে ক্ষতিপূরণ চাওয়া হয়েছে—যারা তার উপর নির্ভরশীল। কারণ এটাই ল্যাবএইডের প্রথম চিকিৎসা অবহেলা না। অবহেলা প্রমাণিত হওয়ায় আমাদের ক্ষতিপূরণ দাবিটা আরও জোরালো হয়েছে।
এই মামলায় অধ্যাপক ডা. মামুন আল মাহতাব স্বপ্নীলের শাস্তি নিশ্চিত হলে একটি দৃষ্টান্ত স্থাপিত হবে বলে মনে করেন ব্যারিস্টার রাশনা ইমাম।
প্রসঙ্গত, চলতি বছরের ১৫ ফেব্রুয়ারি পেটে গ্যাসজনিত সমস্যা নিয়ে ডা. স্বপ্নীলের কাছে গেলে তিনি রাহিবকে এন্ডোসকপি করার পরামর্শ দেন। পরে ওইদিন সন্ধ্যায় রাহিব ধানমন্ডির ল্যাবএইড হাসপাতালের বহির্বিভাগে অপেক্ষা করেন। রাত আনুমানিক ১১টার দিকে তার পরীক্ষা শুরু হয়। প্রায় দেড় ঘণ্টা পর রোগীকে মুমূর্ষু অবস্থায় দেখতে পান রাহিবের পরিবারের সদস্যরা। শারীরিক অবস্থার অবনতি হলে তাকে ল্যাবএইডের আইসিইউতে নেওয়া হয়। তিনদিন চিকিৎসাধীন থাকার পর ১৯ ফেব্রুয়ারি সকালে রাহিবকে মৃত ঘোষণা করেন চিকিৎসকরা।
এ ঘটনায় চিকিৎসায় অবহেলার অভিযোগ করে রাহিবের পরিবার। তাদের অভিযোগ, দায়িত্বরত চিকিৎসক ও টিমের গাফিলতির কারণে সাধারণ একটা অস্ত্রোপচার করতে গিয়ে প্রাণ হারাতে হয়েছে রাহিবকে।
তারা বলেন, এ ঘটনায় ডা. মামুন আল মাহতাব স্বপ্নীল কোনোভাবেই দায় এড়াতে পারেন না। রিপোর্ট না দেখেই অ্যানেস্থেসিয়া দেওয়ার কারণে এমনটা হয়েছে বলে সে সময় অভিযোগ ছিল রাহিবের পরিবারের।
পরে সাবেক স্বাস্থ্য ও পরিবার কল্যাণমন্ত্রী ডা. সামন্ত লাল সেন ঘটনাস্থল পরিদর্শন করেন। এ সময় তিনিও বেশকিছু ত্রুটি দেখতে পান। পরে এ ঘটনায় দ্রুত কমিটি গঠন করে তদন্তের নির্দেশ দেন।
পরবর্তীতে আদালতে যায় রাহিবের পরিবার। রিটের শুনানি নিয়ে গত ১২ মার্চ ল্যাবএইড হাসপাতালে এন্ডোস্কোপি করাতে গিয়ে কার্ডিয়াক অ্যারেস্টে রাহিব রেজার মৃত্যুর ঘটনায় স্বাস্থ্য মন্ত্রণালয়ের একজন অতিরিক্ত সচিবের নেতৃত্বে কমিটি গঠনের নির্দেশ দেন হাইকোর্ট। কমিটিতে একজন আইনজীবীকে রাখতে বলা হয়। এই কমিটিকে তিন মাসের মধ্যে তদন্ত প্রতিবেদন দাখিল করতে বলা হয়।
একইসঙ্গে চিকিৎসকদের অবহেলায় রোগীর মৃত্যুর ঘটনায় মেডিকেল বোর্ড গঠনের কেন নির্দেশ দেওয়া হবে না, তা জানতে চেয়ে রুল জারি করেন আদালত। রুলে রাজধানীর ধানমন্ডির ল্যাবএইড হাসপাতালে রাহিব রেজার মৃত্যুর ঘটনায় কেন ১০ কোটি টাকা ক্ষতিপূরণ দেওয়া হবে না, তাও জানতে চাওয়া হয়। বিচারপতি কে এম কামরুল কাদের ও বিচারপতি খিজির হায়াতের সমন্বয়ে গঠিত তৎকালীন হাইকোর্ট বেঞ্চ এই আদেশ দেন।
হাইকোর্টের নির্দেশের পর গঠিত তদন্ত কমিটি গত ১৭ এপ্রিল ৩২৩ পৃষ্ঠার প্রমাণক ডকুমেন্ট, ১৩ পৃষ্ঠার তদন্ত রিপোর্টে রাহিব রেজার চিকিৎসা সংক্রান্ত ২০ দফা সংক্ষিপ্ত পর্যবেক্ষণ এবং ১০ দফা মূল বক্তব্যসহ বিস্তারিত রিপোর্ট জমা দেয়।
যা বলা হয়েছে প্রতিবেদনে
ওই রিপোর্টে রাহিব রেজার চিকিৎসার বিষয়ে ল্যাবএইড হাসপাতাল ও অধ্যাপক মামুন আল মাহতাবের (স্বপ্নীল) নেওয়া পদক্ষেপ বিস্তারিত উল্লেখ করা হয়। রিপোর্টের স্পষ্টিকরণ পত্রে কয়েকটি বিষয় উল্লেখ করেছে তদন্ত কমিটি।
সেগুলো হলো––
১. অধ্যাপক মামুন আল মাহতাবের (স্বপ্নীল) নেতৃত্বে ডা. সুনান বিন ইসলাম ও ডা. মো. নাসিফ শাহরিয়ার ইসলামের অংশগ্রহণে আট সদস্যের এন্ডোস্কোপি টিম গত ১৫ ফেব্রুয়ারি রাহিব রেজার এন্ডোস্কোপি করেন। এর চার দিন পর এন্ডোস্কোপি পরবর্তী জটিলতায় ১৯ ফেব্রুয়ারি মৃত্যুবরণ করেন রাহিব রেজা।
২. চেতনানাশক প্রয়োগ করে এন্ডোস্কোকপি করার জন্য রাহিব রেজা (৩২) একজন উচ্চ-ঝুঁকিপূর্ণ ব্যক্তি ছিলেন। তার ওজন বেশি ছিল (১২২ কেজি), তার অস্বাভাবিক ইসিজি ও হৃদরোগ ছিল। (ইস্কেমিক হার্ট ডিজিজ, ডাইলেটেড কার্ডিওমায়োপ্যাথি, লেস্ট ভেন্ট্রিকুলার ওয়াল গ্লোবাল হাইপোকাইনেসিয়া, রিডিউসড এলডি সিস্টোলিক ফাংশন বা ইএফ-৪৩ শতাংশ এবং পালমোনারি হাইপারটেনশন)।
৩. উপরোক্ত আনুসাঙ্গিক অসুস্থতা আক্রান্ত রোগীর এন্ডোস্কোপি পরীক্ষার আগে প্রাক-পরীক্ষা মূল্যায়ন এবং সতর্কতা পর্যাপ্ত ছিল না। (এন্ডোস্কোপি এবং সিডেশনের আগে ঝুঁকি স্তরবিন্যাস কার্ডিয়াক, পালমোনারি এবং এয়ারওয়ে মূল্যায়ন)।
৪. রোগীর নিজের বা তার আইনি অভিভাবকের কাছ থেকে একটি বৈধ সম্মতিপত্র নেওয়া প্রয়োজন ছিল। (এর পরিবর্তে, ল্যাবএইড এন্ডোস্কোপি টিম রোগীর বন্ধুর স্বাক্ষরিত সম্মতিপত্র নিয়েছে)।
৫. এন্ডোস্কোপি পরীক্ষার দিন তালিকায় অতিরিক্ত সংখ্যক (৬৭ জন) এন্ডোস্কোপি ছিল যা একটি সেশনে একজন এন্ডোস্কোপিস্ট দ্বারা সম্পন্ন হওয়ার জন্য অনেক বেশি ছিল। ফলে প্রতি রোগীর জন্য বরাদ্দকৃত সময় অল্প হওয়ার কারণে অকার্যকর ও বিরূপ ফলাফল হওয়ার ঝুঁকি থাকে।
৬. একজন ঝুঁকিপূর্ণ রোগীর চেতনানাশক ওষুধ প্রয়োগের মাধ্যমে এন্ডোস্কোপি পরীক্ষার জন্য (পরীক্ষাকালীন ও পরীক্ষা পরবর্তী মনিটরিংসহ প্রয়োজনীয় ব্যবস্থা গ্রহণের জন্য) প্রশিক্ষিত এবং দক্ষ চিকিৎসক (এনেসথেসিওলজিস্ট) নিশ্চিত করা হয়নি।
৭. আপার জিআই এন্ডোস্কোপি স্বাভাবিকভাবে সম্পন্ন হয়। পরীক্ষা পরবর্তী জটিলতায় রোগীকে আইসিইউ স্থানান্তরকরণ পর্যন্ত পুরো সময় এন্ডোস্কোপি টিম সক্রিয়ভাবে যুক্ত ছিল। বর্ণনামতে, রোগীকে হৃদযন্ত্রের ক্রিয়া বন্ধ হওয়া শনাক্তের পরপরই সিপিআর দেওয়া হয়েছে এবং ফেস মাস্ক এ অক্সিজেন দিয়ে রোগীকে আইসিইউ-তে স্থানান্তর করা হয়।
৮. আইসিইউ-তে প্রায় ২০ মিনিট রিসাসিয়েশন করা এবং রোগীকে শিরা পথে এডরেনালিয়েন এবং কৃত্রিম শ্বাস-প্রশ্বাস সাপোর্ট দেওয়ার পর রোগীর হৃদযন্ত্রের ক্রিয়া, ব্লাড পেশার সঠিক পাওয়া যায়। আইসিইউ টিম রোগীর পরিস্থিতি ‘সংকটাপন্ন’ বর্ণনা করেন।
৯. দীর্ঘসময় (প্রায় ৮৫ মিনিট) অনিয়মিত হৃদযন্ত্রের ক্রিয়া ও শ্বাস-প্রশ্বাসের কারণে আইসিইউ রেকর্ডে রোগীর হাইপক্সিক অর্গান ডেমেজ এর লক্ষণ ও প্রমাণ (নিউরোলজিকেল সাইন এবং মেটাবলিক এসিডসিস) পাওয়া যায়।
১০. আইসিইউতে বাবস্থাপনা মানসম্মত ছিল। প্রফেসর মামুন আল মাহাতাবসহ (স্বপ্নীল) মাল্টি ডিসিপ্লিনারি টিম চিকিৎসা ব্যবস্থাপনায় সংযুক্ত ছিলেন।
১১. প্রাথমিক হাইপোক্সিক ইনসাল্টের পর সর্বশেষে রোগীর অ্যাসপিরেশন নিউমোনিয়া, সেন্টিসেমিয়া এবং মাল্টিঅগান ফেইলিউর পরিস্থিতি সৃষ্টি হয়।
১২. আইসিইউতে ব্যবস্থাপনার সময় রোগীর আত্মীয়দের তার অবস্থা সম্পর্কে নিয়মিত অবহিত করা হয়।
১৩. রোগীর মৃত্যু কারণ হিসেবে ‘Hypoxic encephalopathy, aspiration pneumonia, septic shock. multiorgan failure, cardiac arrest survivor following an upper GI endoscopy’ উল্লেখ করা হয়েছে।
সারাবাংলা/এসবি/এসআর