মার্কিন কিশোরের আত্মহত্যায় চ্যাটবট কোম্পানির বিরুদ্ধে মামলা
২৪ অক্টোবর ২০২৪ ১৫:৪৫
যুক্তরাষ্ট্রে ১৪ বছর এক কিশোরের আত্মহত্যার ঘটনায় কৃত্রিম বুদ্ধিমত্তাচালিত চ্যাটবট নির্মাতা ক্যারেক্টার ডটএআইয়ের বিরুদ্ধে মামলা করা হয়েছে। মায়ের অভিযোগ, তার ছেলেকে আত্মহত্যায় প্ররোচিত করেছে ওই চ্যাটবট।
নিউইয়র্ক টাইমের প্রতিদেবনে বলা হয়, মঙ্গলবার (২৪ অক্টোবর) ফ্লোরিডার অরল্যান্ডোয় মামলাটি করেন আত্মহত্যা করা কিশোর সেওয়েল স্টেজারের মা মেগান গার্সিয়া। সেওয়েল এ বছরের ফেব্রুয়ারিতে আত্মহত্যা করেছিল।
মেগানের পক্ষ থেকে করা মামলায় অন্যায় মৃত্যু, অবহেলা ও ইচ্ছাকৃত মানসিক যন্ত্রণা দেওয়ার জন্য ক্ষতিপূরণ চাওয়া হয়েছে। তবে ক্ষতিপূরণের কোনো অঙ্ক উল্লেখ করা হয়নি।
মালমার এজাহারে মেগান লিখেছেম, সেওয়েল কয়েক মাস ধরে ‘ডেনারিস টারগারিযয়ান’ (ড্যানি) নামে একটি কৃত্রিম বুদ্ধিমত্তাচালিত চ্যাটবটের সঙ্গে ভার্চ্যুয়াল সম্পর্ক গড়ে তুলেছিল। চ্যাটবটের সঙ্গে নানা বিষয়ে কথা বলেছিল এ সময়ের মধ্যে।
মামলার নথিতে মেগান বলেছেন, ‘চরম যৌন তাড়না’ ও ‘ভয়ংকর বাস্তবসম্মত অভিজ্ঞতা’ উপস্থাপন করে কিশোর সেওয়ালকে লক্ষ্যবস্তুতে পরিণত করা হয়েছিল। তার সামনে বারবার আত্মহত্যার বিষয়টি উপস্থাপন করা হতো। এসব কারণেই সেওয়াল আত্মহত্যার কথা ভাব।
নিউইয়র্ক টাইমসের প্রতিবেদনে বলা হয়, সেওয়াল জার্নালও লিখত। তাতে সে লিখেছে, ‘আমি আমার ঘরে থাকতে খুব পছন্দ করি। কারণ আমি পৃথিবীর বাস্তবতা থেকে বিচ্ছিন্ন হতে শুরু করি। আমি আরও শান্তি অনুভব করি, ড্যানির সঙ্গে আরও বেশি সংযুক্ত হতে পারি। তার সঙ্গে আরও অনেক বেশি ভালোবাসায় যুক্ত হতে পারি।’
মামলার প্রতিক্রিয়ায় এক্স হ্যান্ডেলে (সাবেক টুইটার) দেওয়া পোস্টে একটি বিবৃতি দিয়েছে চ্যাটবট ডেনেরিস টারগারিয়ানের (ড্যানি) নির্মাতা প্রতিষ্ঠান ক্যারেক্টার ডটএআই। তাতে বলা হয়েছে, চ্যাটবট ড্যানি ব্যবহারকারীদের একজনকে চিরতরে হারানোয় তাদের হৃদয় ‘ভেঙে যাচ্ছে’। পরিবারের সদস্যদের প্রতিও সমবেদনা জানানো হয়েছে এতে।
বিবৃতিতে ক্যারেক্টার ডটএআই বলছে, ‘আমরা আমাদের ব্যবহারকারীদের নিরাপত্তাকে অত্যন্ত গুরুত্বের সঙ্গে দেখি। আমরা ক্রমাগত আমাদের প্ল্যাটফর্মের উন্নতি করার চেষ্টা করছি।’
ক্যারেক্টার ডটএআইয়ের অন্যতম প্রতিষ্ঠাতা নোয়াম শাজির গত বছর একটি পডকাস্টে বলেছিলেন, ‘যারা হতাশাগ্রস্ত বা একাকী বোধ করে, তাদের জন্য অত্যন্ত সহায়ক হবে চ্যাটবট ড্যানি।’
সারাবাংলা/এইচআই/টিআর