‘ছাত্রলীগকে নিষিদ্ধ করেছে খুশি হয়েছি, বিএনপিকে করলে কী করব?’
২৪ অক্টোবর ২০২৪ ১৭:০০
ঢাকা: বিএনপির স্থায়ী কমিটির সদস্য গয়েশ্বর চন্দ্র রায় বলেছেন, ‘অন্তর্র্বতী সরকার ছাত্রলীগকে নিষিদ্ধ করেছে, এটা খুবই দুঃসাহসিক কাজ। এতে আমরা আপত্তি করছি না, আমরা খুশি হয়েছি। কিন্তু যদি বিএনপিকে নিষিদ্ধ করে, তখন আমরা কী করব?’
বৃহস্পতিবার (২৪ অক্টোবর) জাতীয় প্রেস ক্লাবের মওলানা মোহাম্মদ আকরম খাঁ হলে আয়োজিত এক আলোচনা সভায় প্রধান অতিথির বক্তব্যে তিনি এসব কথা বলেন।
‘দেশের বর্তমান প্রেক্ষাপটে অন্তর্বর্তীকালীন সরকার ও রাজনৈতিক দলের করণীয়’— শীর্ষক আলোচনা সভা আয়োজন করে ‘জাগ্রত বাংলাদেশ’ নামের একটি সংগঠন।
গয়েশ্বর চন্দ্র রায় বলেন, ‘যারা বিভিন্ন সংগঠনের নামে মানুষকে হত্যা, ঘুম, নির্যাতন করেছে তারা তো আরামে আছে। তাদের ধরে ধরে বিচার করেন। অন্যায় করলে তার পরিণাম কী হয়, সেটির দৃষ্টান্ত স্থাপন করেন।’
তিনি বলেন, ‘এতগুলো লোক সীমান্ত অতিক্রম করল? বিদেশে চলে গেল? হারুনের মতো লোক আমেরিকা চলে গেল কার সাহায্যে? কে তাদের পালিয়ে যেতে সাহায্য করেছে? এর জবাব কার কাছে চাইব? কে দেবে এই জবাব? যারা ক্যান্টনমেন্টে আশ্রয় নিয়েছে, তারা সেখানে গেল কীভাবে? অপরাধীদের বিচারের কাঠগড়ায় না দাঁড় করিয়ে বিদেশে যাওয়ার সুযোগ কারা করে দিল— এর জবাব কী সরকার দেবে?’
‘জনগণ তো তাদের (অন্তর্বর্তী সরকার) আল্লাহ-ভগবানের মতো বিশ্বাস করে দায়িত্ব দিয়েছে। তিনি যদি অনন্তকাল ক্ষমতায় থাকতে চান তাহলে তখন আমরা অবিশ্বাস করব কীভাবে। আমরা কিছুদিন দেখি, এরপর অতীতে যা করেছি ভবিষ্যতেও তা করব। আমরা যেহেতু মৃত্যুর জন্য প্রস্তুত আছি, তাহলে আমাদের মারতে আর পারবে না। এ সরকার আমাদের বিশ্বাস ও জনগণের আস্থা ভঙ্গ করুক সেটা চাই না’— বলেন গয়েশ্বর চন্দ্র রায়।
তিনি বলেন, ‘নির্বাচন করার জন্য যতটুকু সময় দেওয়া দরকার আমরা ততটুকু সময় দেব। সে সময়টা অতিক্রম হয়ে গেলে জনগণের মালিকানা ফিরিয়ে দেওয়ার জন্য বিএনপি তারেক রহমানের নেতৃত্বে ঘরে বসে থাকবে না। অতীতে রাজপথে থেকে যেমনভাবে সংগ্রাম করেছি, ভবিষ্যতেও করব। আমরা শুধু একটি অবাধ সুষ্ঠু নিরপেক্ষ নির্বাচনে জনগণের ভোটের মাধ্যমে সরকার গঠন করতে চাই।’
জাগ্রত বাংলাদেশের সভাপতি ও দৈনিক খোলা কাগজ পত্রিকার সম্পাদক ও প্রকাশক মো. জহিরুল ইসলাম কলিমের সভাপতিত্বে আলোচনা সভায় অন্যদের মধ্যে বক্তব্য দেন বিএনপি চেয়ারপারসনের উপদেষ্টা আব্দুস সালাম ও হাবিবুর রহমান হাবিব প্রমুখ।
সারাবাংলা/এজেড/এসআর