২৪ দিনে ডেঙ্গুতে ১০৫ মৃত্যু, ঢাকায় ৭৩ জন
২৪ অক্টোবর ২০২৪ ১৯:০৩
ঢাকা: অক্টোবর মাসের ২৪ দিনে দেশে ডেঙ্গু আক্রান্ত হয়ে মারা গেছে ১০৫ জন। এর মাঝে ঢাকা বিভাগের বিভিন্ন হাসপাতালেই ৭৩ জন ডেঙ্গু আক্রান্ত রোগী মারা গেছেন। শুধুমাত্র ঢাকার দুই সিটি করপোরেশনের বিভিন্ন হাসপাতালে মারা গেছে ৬৯ জন।
সর্বশেষ বুধবার (২৩ অক্টোবর) থেকে বৃহস্পতিবার (২৪ অক্টোবর) পর্যন্ত ২৪ ঘণ্টা সময়ে দেশে ডেঙ্গু আক্রান্ত হয়ে আরও চার জনের মৃত্যু হয়েছে। চলতি বছর এখন পর্যন্ত ডেঙ্গুতে মোট মৃত্যুবরণ করেছেন ২৬৮ জন। বিগত ২৪ ঘণ্টায় দেশের বিভিন্ন হাসপাতালে আরও এক হাজার ২৯ জন ডেঙ্গু আক্রান্ত রোগী ভর্তি হয়েছেন। এ নিয়ে দেশে চলতি বছরের ২৪ অক্টোবর পর্যন্ত মোট ডেঙ্গু আক্রান্ত হয়ে দেশের বিভিন্ন হাসপাতালে ভর্তি হয়েছেন ৫৪ হাজার ২২৫ জন। এর মাঝে ৫০ হাজার ১২৪ জন সুস্থ হয়ে হাসপাতাল থেকে ছাড়পত্র পেয়েছেন।
বৃহস্পতিবার (২৪ অক্টোবর) স্বাস্থ্য অধিদফতরের হেলথ ইমার্জেন্সি অপারেশনস সেন্টার এন্ড কন্ট্রোল রুম থেকে এই তথ্য জানানো হয়েছে।
এতে বলা হয়, বিগত ২৪ ঘণ্টায় আক্রান্তদের মাঝে পুরুষ ৬৩৯ জন ও নারী ৩৯০ জন। এর মাঝে ঢাকার দুই সিটি করপোরেশনের বিভিন্ন সরকারি ও বেসরকারি হাসপাতালে ৩৯৯ জন ডেঙ্গু আক্রান্ত হয়ে ভর্তি হয়েছেন। দুই সিটি করপোরেশনের বাইরে ঢাকা বিভাগের অন্যান্য এলাকায় বিগত ২৪ ঘণ্টায় ১৯৭ জন রোগী নতুনভাবে হাসপাতালে ভর্তি হয়েছেন ডেঙ্গু আক্রান্ত হয়ে।
বিগত ২৪ ঘণ্টায় ময়মনসিংহ বিভাগে ২৫ জন, চট্টগ্রাম বিভাগে ১৪৩ জন, খুলনা বিভাগে ১৩২ জন রোগী ডেঙ্গু আক্রান্ত হয়ে বিভিন্ন হাসপাতালে ভর্তি হয়েছেন। রাজশাহী বিভাগে ২১ জন, বরিশাল বিভাগে ৮৮ জন রোগী ডেঙ্গু আক্রান্ত হয়ে বিগত ২৪ ঘন্টায় হাসপাতালে ভর্তি হয়েছেন। রংপুর বিভাগে গত ২৪ ঘণ্টায় ১৯ জন ডেঙ্গু রোগী হাসপাতালে ভর্তি হওয়ার তথ্য জানিয়েছে স্বাস্থ্য অধিদফতর। সিলেট বিভাগে বিগত ২৪ ঘণ্টায় পাঁচজন ডেঙ্গু আক্রান্ত হয়ে হাসপাতালে ভর্তি হয়েছে বলেও জানায় প্রতিষ্ঠানটি।
স্বাস্থ্য অধিদফতরের কন্ট্রোল রুমের তথ্য অনুযায়ী, চলতি বছরের ২৪ অক্টোবর পর্যন্ত মোট ডেঙ্গু আক্রান্ত হয়েছে ৫৪ হাজার ২২৫ জনের মাঝে ৬৩.৩ শতাংশ পুরুষ এবং ৩৬.৭ শতাংশ নারী রয়েছেন।
চলতি বছর এখন পর্যন্ত ডেঙ্গুতে মোট মৃত্যুবরণ করেছেন ২৬৪ জন। এর মাঝে ৫৩.৪ শতাংশ নারী ও ৪৬.৬ শতাংশ পুরুষ।
বর্তমানে সারাদেশের বিভিন্ন হাসপাতালে তিন হাজার ৮৩৩ জন ডেঙ্গু আক্রান্ত রোগী চিকিৎসাধীন আছেন।
সারাবাংলা/এসবি/এসআর