ঢাকা: মহিষের উৎপাদন বাড়ানো আহ্বান জানিয়ে মৎস্য ও প্রাণিসম্পদ উপদেষ্টা ফরিদা আখতার বলেছেন, ‘একসময় কৃষিকাজে প্রাণী হিসাবে মহিষকে বিবেচনা করা হতো আর এখন মহিষ মাংস ও দুধ দিয়ে আমাদের আমিষ ও প্রোটিনের চাহিদা পূরণ করে যাচ্ছে।
শুক্রবার (২৫ অক্টোবর) সাভারের বিসিডিএম এ ১১তম এশিয়ান বাফেলো কংগ্রেস-২০২৪ এর উদ্বোধনী অনুষ্ঠানে প্রধান অতিথির বক্তব্যে তিনি এসব কথা বলেছেন।
মহিষের গুরুত্ব উল্লেখ করে উপদেষ্টা আরও বলেছেন, ‘বাংলাদেশ একটি ছোট দেশ হলেও এর জীববৈচিত্র্য অত্যন্ত সমৃদ্ধ ও বৈচিত্র্যময়। মহিষের পালন গ্রামীণ অর্থনীতির জন্য গুরুত্বপূর্ণ এবং দুধ ও মাংস উৎপাদনে মহিলারা সহায়ক ভূমিকা পালন করতে পারে। ভোলার চরে হাজার হাজার মহিষ পালন করে মহিষের দুধের দই তৈরি হচ্ছে।’
বক্তারা দক্ষিণ-পূর্ব এশিয়া বিশেষ করে বাংলাদেশে মহিষের উৎপাদন বৃদ্ধিতে প্রয়োজনীয় ব্যবস্থা গ্রহণের আহ্বান জানালে উপদেষ্টা বলেন, ‘ইতিপূর্বে পলিসি লেভেলে মহিষ উৎপাদনের ক্ষেত্রে কম গুরুত্ব দেয়া হয়েছে। এবিষয়ে কিভাবে মহিষের উৎপাদন বাড়ানো যায় মৎস্য ও প্রাণিসম্পদ মন্ত্রণালয় সে লক্ষ্যে বিভিন্ন পদক্ষেপ গ্রহণ করবে।’
বক্তারা বলেন, উন্নত বিশ্ব মহিষের উৎপাদনশীলতাকে সরাসরি প্রভাবিত করে তাদের প্রজনন কর্মক্ষমতা এবং দুধ উৎপাদনকেও প্রভাবিত করে। ইতালিতে মহিষ ফার্মিং অত্যন্ত সফল এবং লাভজনক একটি খাত উল্লেখ করে উপদেষ্টা বলেছেন বাংলাদেশেও মহিষ ফার্মিং করার যথেষ্ট সম্ভাবনা রয়েছে। ইতালির মহিষ ফার্মিং মডেল অনুসরণ করে বাংলাদেশেও মহিষ পালনের মাধ্যমে লাভবান হওয়া সম্ভব।
প্রফেসর ওমর ফারুকি’র সভাপতিত্বে অনুষ্ঠানে বিশেষ অতিথি হিসেবে বক্তব্য রাখেন মৎস্য ও প্রাণী সম্পদ মন্ত্রণালয়ের সচিব সাঈদ মাহমুদ বেলাল হায়দর, প্রাণিসম্পদ অধিদফতরের মহাপরিচালক ডা. মোহাম্মদ রেয়াজুল হক, বাংলাদেশ প্রাণিসম্পদ গবেষণা ইনস্টিটিউটের মহাপরিচালক ড. এস এম জাহাঙ্গীর হোসেন, ইন্টারন্যাশনাল বাফেলো ফেডারেশনের মহাসচিব অ্যান্তনিও বর্গোসি, এশিয়ান বাফেলো এ্যাসোসিয়েশনের সেক্রেটারি ড.অশোক কুমার বালহারা, ড.যাদব ও ড.হিরন্ময় বিশ্বাস।