টাঙ্গাইল প্রেস ক্লাব: আ.লীগ নেতাসহ ৯ জনের সদস্যপদ বাতিল
২৫ অক্টোবর ২০২৪ ২০:০৯
টাঙ্গাইল: টাঙ্গাইল প্রেস ক্লাবের গঠনতন্ত্র সংশোধন করে জেলা আওয়ামী লীগের শীর্ষ ছয় নেতাসহ নয় জনের সদস্যপদ বাতিল করা হয়েছে।
শুক্রবার (২৫ অক্টোবর) দুপুরে প্রেস ক্লাব মিলনায়তনে সাধারণ সভায় সর্বসম্মতিক্রমে গঠনতন্ত্রের বেশ কিছু গুরুত্বপূর্ণ ধারায় সংশোধন করা হয়। ওই সভায় নয় জনের সদস্য পদ বাতিল করা হয়।
যাদের সদস্যপদ বাতিল হয়েছে তারা হলেন- জেলা আওয়ামী লীগের সভাপতি সদ্যপ্রয়াত ফজলুর রহমান খান ফারুক, সাধারণ সম্পাদক ও সাবেক এমপি জোয়াহেরুল ইসলাম জোয়াহের, সহ-সভাপতি ও সাবেক এমপি ছানোয়ার হোসেন, সাংগঠনিক সম্পাদক ও সাবেক এমপি খান আহমেদ শুভ ও কার্যকরী সদস্য সুজয় দেব ও শহর আওয়ামী লীগের সহ-সভাপতি গোলাম কিবরিয়া বড় মনি।
এছাড়াও দৈনিক দেশবাসী পত্রিকার কোটায় সদস্যপদ পাওয়া নিলুফা ইয়াসমিন স্নিগ্ধা, দৈনিক টাঙ্গাইল সময় পত্রিকার মোজাম্মেল হক ও সাপ্তাহিক মৌ বাজার পত্রিকার আশিকুর রহমান পলাশ।
জানা গেছে, আওয়ামী সরকারের গত ১৬ বছর টাঙ্গাইল প্রেস ক্লাবকে জেলা আওয়ামী লীগের বিকল্প কার্যালয় হিসেবে ব্যবহার করা হয়। ওই সময়ে জেলা আওয়ামী লীগের সভাপতি, সাধারণ সম্পাদক ও তিন এমপিসহ শীর্ষ ছয় নেতা সদস্যপদ লাভ করেন।
সে সময় জেলার সকল টেন্ডারবাজি, নিয়োগ বাণিজ্য, মনোনয়ন বাণিজ্য, পদ বাণিজ্যসহ সকল অপকর্মের আস্তানায় পরিণত হয় টাঙ্গাইল প্রেস ক্লাব।
গত ৫ আগস্ট আওয়ামী লীগ সরকারের পতনের দিন এসব অপকর্মের প্রতিবাদে প্রেস ক্লাবের নির্যাতিত ও বঞ্চিত সাংবাদিকসহ জেলায় কর্মরত বিক্ষুদ্ধ সাংবাদিকরা বিক্ষোভ করেন। গঠনতন্ত্র পরিবর্তন ও রাজনৈতিক প্রভাবমুক্ত করে সাংবাদিক বান্ধব প্রেস ক্লাব গঠন করতে কর্মসূচি পালন ও হুঁশিয়ারি দেন।
এরই প্রেক্ষিতে প্রেস ক্লাবের জৈষ্ঠ্য সাংবাদিকরা গঠনতন্ত্র সংস্কারসহ নানা উদ্যোগ গ্রহণ করেন। বিশেষ সাধারণ সভা ডাকেন। সভায় গঠনতন্ত্র সংশোধন ও আওয়ামী লীগ নেতাসহ নয় জনের সদস্যপদ বাতিলের সিন্ধান্ত হয়। এর আগে প্রেসক্লাবের সাবেক সভাপতি আতাউর রহমান খান আজাদকে আহবায়ক করে পাঁচ সদস্য বিশিষ্ট গঠনতন্ত্র সংশোধন কমিটি গঠন করা হয়।
সাধারণ সভায় সভাপতিত্ব করেন টাঙ্গাইল প্রেস ক্লাবের সভাপতি জাফর আহমেদ। বক্তব্য দেন সাংবাদিক বিমান বিহরী দাস, খান মোহাম্মদ খালেদ, আতাউর রহমান আজাদ, শামসাদুল আখতার শামীম, মাহমুদ কামাল, আবু রায়হান খান, কামনাশীষ শেখর, মির্জা শাকিল ও মহব্বত হোসেন প্রমুখ।
সারাবাংলা/এসআর