কানাডায় ইতিহাস গড়লেন মৌলভীবাজারের মেয়ে ডলি
৮ জুন ২০১৮ ১৯:৪০
।। ডিস্ট্রিক্ট করেসপন্ডেন্ট।।
মৌলভীবাজার: কানাডায় প্রথম বাংলাদেশি মেয়ে ডলি বেগম অন্টারিও প্রাদেশিক সংসদের মেম্বার অব প্রভিন্সিয়াল পার্লামেন্ট (এমপিপি) নির্বাচিত হয়ে ইতিহাস সৃষ্টি করলেন। তার ঐতিহাসিক বিজয়ে প্রবাসী বাঙালিদের মধ্যে আনন্দোৎসবের বন্যার জোয়ার বয়ে যাচ্ছে।
স্থানীয় সময় বৃহস্পতিবার (৭ জুন) প্রাদেশিক নির্বাচনে প্রাজ্ঞ প্রতিদ্বন্দ্বিদের হারিয়ে তারুণের প্রতীক হিসেবে ১২৩জনের সঙ্গে সংসদের আসনে বসতে যাচ্ছেন।
ডলির পারিবারিক সূত্র জানায়, মৌলভীবাজারের মেয়ে ডলি ১১ বছর বয়সে মা-বাবার সঙ্গে কানাডায় যান। ২০১৫ সালে টরন্টো ইউনিভার্সিটি কলেজ লন্ডন থেকে উন্নয়ন প্রশাসনে মাস্টার্স করেন। পরে সিটি অফ টরন্টোতে কর্মরত ছিলেন ১০মাস। গত এপ্রিল পর্যন্ত রিচার্স এনালিস্ট হিসেবে কাজ করেছেন দ্য সোসাইটি অব এনার্জি প্রফেশনালসে।
তিনি এবার নিউ ডেমোক্রেটিক পার্টি (এনডিপি) থেকে অন্টারিও এর স্কারবোরো সাউথওয়েস্ট আসন থেকে এমপিপির মনোনয়ন পান এবং নিউ ডেমোক্রেটিক পার্টি (এনডিপি) থেকে নির্বাচিত ডলি বেগম প্রগ্রেসিভ কনসারভেটিভ পার্টির গ্রে এলিসকে ৬ হাজারেরও বেশি ভোটের ব্যবধানে হারান। ডলির প্রাপ্ত ভোট ১৯ হাজার ৭৫১। গ্রে এলিস পেয়েছেন ১৩ হাজার ৫৫২ ভোট, লিবারেল পার্টির লরেঞ্জো বেরারদিনেত্তি (সাবেক এমপিপি) পেয়েছেন ৮ হাজার ২১৫ ভোট।
ডলি বলেন, নির্বাচনে আমি অভিভূত হয়েছি মতভেদ ভুলে বাঙালিদের ঐক্যবদ্ধতা দেখে। এ বিজয় আমার নয়; সকল বাংলাদেশির বিজয়। তাই ঐক্যের কোন বিকল্প নেই। ঐক্যের জয় অনিবার্য। তিনি সকল ভোটাদের কাছে কৃতজ্ঞতা প্রকাশ করেন।
ডলি বেগমের মামা মো. সয়ফুল আলম সারাবাংলাকে জানান, পরিবারের একমাত্র উপার্জনক্ষম ব্যক্তি বাবা রাজা মিয়া রোড এক্সিডেন্ট করে দীর্ঘদিন বিচানায় থাকার কারণে পারিবারিকভাবে অনেক কঠিন সময় অতিক্রম করতে হয়েছে ডলি বেগমের। সে সময় একমাত্র ছোট ভাই মহসিনকে পরিবার সামলয়েছেন ডলি বেগম। ডলি বেগম নির্বাচিত হওয়ায় তিনি গর্বিত।
মনুরমুখ ইউনিয়নের চেয়ারম্যান মো. আব্দুল হক শেফুল সারাবাংলাকে জানিয়েছেন,আমার ইউনিয়নের একটি মেয়ে কানাডা জয় করেছে তা আমাদের মৌলভীবাজার তথা সারাবাংলার জন্য গর্বের বিষয়। আমরা ইউনিয়নবাসী আনন্দিত।
সারাবাংলা/এমএইচ