‘আ.লীগ ১৫ বছরে রাষ্ট্রকে ধ্বংস করেছে’
২৬ অক্টোবর ২০২৪ ১৯:৩২
রাজশাহী: জামায়াতের সহকারী সেক্রেটারি জেনারেল এএইচএম হামিদুর রহমান আজাদ বলেছেন, ‘আওয়ামী লীগ সরকারের সাড়ে ১৫ বছরে সবচেয়ে নির্যাতিত দল ছিল জামায়াত। তারা শুধু জামায়াতকে নির্যাতিত করেনি রাষ্ট্রকেও ধ্বংস করেছে।’
শনিবার (২৬ অক্টোবর) বিকেলে রাজশাহী নগরীর ভুবন মহন পার্কে ‘২৮ অক্টোবর আওয়ামী লীগ কর্তৃক লগি বৈঠা তাণ্ডব ও পল্টন হত্যা দিবস’ উপলক্ষে আলোচনা সভায় প্রধান অতিথির বক্তব্যে তিনি এসব কথা বলেন।
তিনি বলেনর, ‘তারা আমাদের রেজিস্ট্রেশন বাতিল ও প্রতীক কেড়ে নিয়েছে। কেন্দ্রীয় থেকে শুরু করে সারাদেশের অফিস বন্ধ করে দিয়েছে। তাদের ভয়ে মিছিল করা যেত না, কথা বলা যেত না। সাড়ে ১৫ বছরে বিএনপি, জামায়াত, আলেম-ওলামা সুধিসমাজ, বুদ্ধিজীবী, সাংবাদিক কেউ তাদের নির্যাতন থেকে রেহায় পায়নি।’
জামায়াতের সাবেক এই এমপি বলেন, ‘আওয়ামীলীগ বিচার ব্যবস্থা ধ্বংস করেছে, নির্বাচন ব্যবস্থা ধ্বংস করেছে, গণতন্ত্র হত্যা করেছে, অর্থনীতি ধ্বংস করেছে। ভোটাধিকার কেড়ে নিয়েছে। আইনের শাসনের পরিবর্তনে দুঃশাসন আর ব্যাংক লুটপাট ও শেয়ার বাজার কেলেঙ্কারির অপশাসন তারা জাতির উপরে চাপিয়ে দিয়েছিলেন। তারা তো নির্বাচিত ছিল না।’
জামায়াতের এই নেতা বলেন, ‘পল্টনের ঘটনা নয়, তার (শেখ হাসিনা) শাসনকালে অংসখ্য ঘটনা সংগঠতি হয়েছে। কোনটার বিচার হয়নি। আওয়ামী লীগের শাসনকালে চারটি গণহত্যা হয়েছে। প্রথম গণহত্যা হয়েছিল কথিত বিডিআর বিদ্রোহের নামে সেনা অফিসারদের পরিকল্পিতভাবে হত্যা। এটি আওয়ামী আমলের জঘন্য গণহত্যা। শাপলা চত্বরে শতশত আলেমকে হত্যা করা। আওয়ামী আমলের আরেকটি জঘন্য গণহত্যা ছিল আল্লামা দেলোয়ার হোসেন সাইদীকে মিথ্যা মামলায় সাজানো রায় দেওয়া। এছাড়া মতিউর রহমান নিজামীসহ জামায়াতের নেতাদের ফাঁসিতে ঝুঁলিয়েছে।’
তিনি বলেন, ‘তিনটি নির্বাচন হয়েছে। মানুষ ভোট কেন্দ্রে যায়নি। রসিক লোকেরা বলে গরু-ছাগল মার্কা নির্বাচন। ২০১৮ সালের নির্বাচনে দিনের ভোট রাতে। ২০২৪ সালে ভাগাভাগির ডামি নির্বাচন। তারা জনগণকে বিশ্বাস করে না। জনমতকে ভয় পায় বলেই তারা সবসময় নির্বাচনের ভোটাধিকার কেড়ে নিয়েছিল। ছাত্ররা কোটা আন্দোলনে রাস্তায় নেমে ছিল। আবু সাঈদ রংপুরে গুলির সামনে বুক পেতে দিয়েছিল। তখন আন্দোলনের মোড় ঘুরে গিয়েছিল।’
তিনি বলেন, ‘শেখ হাসিনা বলতেন, শেখের মেয়ে নত স্বীকার করে না, শেখের মেয়ে পালিয়ে যায় না। এদেশের জনগণ দেখেছে, ৫ তারিখে কী হয়েছে। শেখ হাসিনা পালিয়ে গিয়েছিল। নত স্বীকার করে নাই, তিনি পালিয়ে দেশে তাদের নেতাকর্মীদের অসহায় অবস্থায় ফেলে রেখে গিয়েছেন।’
রাজশাহী মহানগরী জামায়াতের সেক্রেটারী ইমাজ উদ্দিন মণ্ডল ও সহকারী সেক্রেটারী অধ্যাক্ষ শাহাদৎ হোসাইনের সঞ্চালনায় সভাপতিত্ব করেন কেন্দ্রীয় কর্মপরিষদ সদস্য ও রাজশাহী নগর আমীর ড. মাওলানা কেরামত আলী। অনুষ্ঠানে বিশেষ অতিথির বক্তব্য দেন নগর জামায়াতের নায়েবে আমীর অ্যাড. আবু ইউসুফ সেলিম, সহকারী সেক্রেটারী অধ্যাক্ষ মাহবুবুল আহসান বুলবুল।
সারাবাংলা/এইচআই