সাম্প্রদায়িক ইস্যুতে দায়িত্বশীল সাংবাদিকতার তাগিদ
২৬ অক্টোবর ২০২৪ ২০:২৬
চট্টগ্রাম ব্যুরো: সাম্প্রদায়িক ইস্যুতে দায়িত্বশীল সাংবাদিকতার তাগিদ এসেছে চট্টগ্রামে এক নাগরিক সংলাপ থেকে। এতে বক্তারা বলেছেন, প্রতিটি ধর্মই শান্তির বার্তা দেয়। তবে ধর্মকে কখনো, কখনো সাম্প্রদায়িক হাতিয়ার হিসেবে ব্যবহারের অপচেষ্টা সংঘাত ও সহিংসতাকে উসকে দেয়। এক্ষেত্রে সমাজে শান্তি ও সম্প্রীতি বিনির্মাণে সংবাদ মাধ্যমের ভূমিকা অপরিহার্য। সাম্প্রদায়িক ইস্যুতে দায়িত্বশীল সাংবাদিকতা রুখে দিতে পারে শান্তি ও সম্প্রীতি বিনষ্টের অপচেষ্টা।
শনিবার (২৬ অক্টোবর) দুপুরে নগরীর সিনিয়র’স ক্লাবে ‘জার্নালিজম ফর পিস ইন কমিউনাল ইস্যুজ’ শীর্ষক সংলাপে বক্তারা এসব কথা বলেছেন। রিলিজিয়নস ফর পিস (আরএফপি) বাংলাদেশ চ্যাপ্টারের উদ্যোগে এ সংলাপের আয়োজন করা হয়।
সংলাপে বাংলাদেশের প্রেক্ষাপটে বিভিন্ন ঘটনা উল্লেখ করে কবি ও সাংবাদিক ওমর কায়সার বলেন, ‘সাম্প্রদায়িকতা নেতিবাচক কোনো শব্দ নয়। কিন্তু দুঃখজনক হচ্ছে, উপমহাদেশের প্রেক্ষাপটে সাম্প্রদায়িকতা নেতিবাচক কর্মকাণ্ডের উদাহরণ হয়ে গেছে। নিজের সম্প্রদায়ের জন্য ভালো চিন্তা করা, ভালো কিছু করা সেই সাম্প্রদায়িকতা তো খারাপ কিছু নয়। কিন্তু নিজের সম্প্রদায়ের ভালো চিন্তা করে অন্য সম্প্রদায়ের জন্য মন্দ চিন্তা করা হয়, তখন সাম্প্রদায়িকতা নেতিবাচক হয়ে যায়।’
‘এদেশ সম্প্রীতির দেশ, যুগ যুগ ধরে আমরা দেখে এসেছি। কিন্তু ইদানিংকালে মানুষে-মানুষে বিভেদ ও ধর্মীয় উন্মাদনার কারণে এদেশের মানুষের সম্প্রীতির বন্ধন ও বিশ্বাসে চিড় ধরেছে। মূলত রাজনৈতিক কারণে দলীয় স্বার্থান্বেষী চিন্তা-চেতনার কারণে সমাজে বিভেদের বিস্তার লাভ করছে।’
স্বাধীন সাংবাদিকতার পরিবেশ নিয়ে প্রশ্ন তুলে তিনি বলেন, ‘সাংবাদিকতা এবং সংবাদ পরিবেশনের ক্ষেত্রে, বিশেষ করে সাম্প্রদায়িক ইস্যুতে আমাদের হয়তো শতভাগ স্বাধীন থাকার পরিবেশ নেই। কিন্তু সত্য ঘটনা সত্যই, তা ধর্মীয় ইস্যু হোক আর রাজনৈতিক ইস্যু হোক। যেটা সত্য, সেটা সত্য হিসেবেই প্রকাশ পাবে। কারণ সত্য কখনোই চাপা থাকে না, থাকতে পারে না।’
আরএফপি বাংলাদেশ চ্যাপ্টারের সভাপতি অধ্যাপক ড. সুকান্ত ভট্টাচার্যের সভাপতিত্বে ও সেক্রেটারি জেনারেল অধ্যাপক ড. মাছুম আহমেদের সঞ্চালনায় সংলাপে অংশ নেন, আরএফপি কার্যকরী কমিটির সদস্য অধ্যাপক রণজিৎ কুমার দে, অধ্যাপক ড. রাশেদা খানম, কোষাধ্যক্ষ বিশ্বজিৎ বড়ুয়া, যুগ্ন সম্পাদক তপু চৌধুরী, সাংবাদিক ও আবৃত্তিশিল্পী ফারুক তাহের, সাংবাদিক শেখ গোলামুন্নবী যায়েদ ও আল রাহমান।
অনুষ্ঠানে সংগীত পরিবেশন করেন সংগঠনের কার্যকরী কমিটির সদস্য চট্টগ্রাম বিশ্ববিদ্যালয়ের শিক্ষক মিশকাতুল মমতাজ মুমু। ধর্মীয় গ্রন্থ থেকে পাঠ করেন ফারুক তাহের, মুক্তা চক্রবর্তী, বিশ্বজিৎ বড়ুয়া ও তেরেসা আইরিন।
সারাবাংলা/আরডি/এসআর