ইরানের নোবেলজয়ী নার্গিস মোহাম্মদিকে আরও ৬ মাসের কারাদণ্ড
২৭ অক্টোবর ২০২৪ ০০:১২
শান্তিতে নোবেল পুরস্কার বিজয়ী ইরানের মানবাধিকার কর্মী নার্গিস মোহাম্মদিকে আরও ছয় মাসের কারাদণ্ড দিয়েছেন দেশটির একটি আদালত। নার্গিসের মুক্তির জন্য আন্দোলন চালিয়ে যাওয়া ফ্রি নার্গিস কোয়ালিশন এ খবর জানিয়েছে।
ব্রিটেনের দ্য ইন্ডিপেন্ডেন্টের খবরে বলা হয়েছে, গত ১৯ অক্টোবর নতুন করে ছয় মাসের কারাদণ্ড দেওয়া হয়েছে নার্গিসকে। এর আগেই তাকে ৩০ মাসের কারাদণ্ড দেওয়া হয়েছিল। এর মধ্যে ১৫ মাসের কারাদণ্ড দেওয়া হয় এ বছরের জানুয়ারিতে।
ফ্রি নার্গিস কোয়ালিশন এক বিবৃতিতে বলেছে, ‘আদেশ অমান্য ও আদেশ অগ্রাহ্য করা’র অভিযোগে নার্গিসকে নতুন করে ছয় মাসের কারাদণ্ড দেওয়া হয়েছে। গত ৬ আগস্ট এভিন কারাগারের নারী ওয়ার্ডে আরেক রাজনৈতিক বন্দির মৃত্যুদণ্ড কার্যকরের প্রতিবাদ জানিয়ে নার্গিস বিক্ষোভ করলে তার বিরুদ্ধে এ অভিযোগ আনা হয়েছিল।
বিবৃতিতে ফ্রি নার্গিস কোয়ালিশনের পক্ষ থেকে নার্গিসের মুক্তির দাবি জানানো হয়েছে। বলা হয়েছে, দীর্ঘদিন কারাগারে থাকাকালীন নার্গিসের স্বাস্থ্যের মারাত্মক অবনতি হয়েছে। তিনি হৃদরোগে ভুগছেন। তাকে অবিলম্বে মুক্তি দেওয়া প্রয়োজন।
ইরানে নারী নির্যাতন এবং মানবাধিকার ও সবার মুক্তির পক্ষে নিরলস লড়াইয়ের স্বীকৃতি হিসেবে গত বছর শান্তিতে নোবেল পুরস্কারে ভূষিত করা হয় নার্গিস মোহাম্মদিকে। শান্তিতে নোবেলজয়ী ১৯তম নারী তিনি। ২০০৩ সালে দেশটির আরেক মানবাধিকার কর্মী শিরিন এবাদি প্রথম ইরানি হিসেবে শান্তিতে নোবেল পুরস্কার পেয়েছিলেন। তারপর নার্গিসই প্রথম ইরানি নারী, যিনি নোবেল পুরস্কার পেয়েছেন শান্তিতে।
৫২ বছর বয়সী নার্গিস নারী অধিকার ও মানবাধিকারের পক্ষে লড়াইয়ের জন্য তার দেশে বারবার গ্রেফতার ও কারাবন্দির শিকার হয়েছেন। মৃত্যুদণ্ড সাজা বাতিলের দাবিতে আন্দোলনের জন্য ২০১৬ সালে তাকে গ্রেফতার করে ১৬ বছরের কারাদণ্ড সাজা দেওয়া হয়। ২০২০ সালে তারা মুক্তি দেওয়া হয়েছিল। তবে ২০২১ সালে ফের তাকে কারাগারে পাঠানো হয়।
নার্গিসকে বর্তমানে ইরানের কুখ্যাত এভিন কারাগারে বন্দি রাখা হয়েছে। বারবার গ্রেফতার ও কারাবন্দি করা হলেও নার্গিস মানবাধিকারের পক্ষে আন্দোলন ও সক্রিয়তা থামিয়ে দেননি।
ভয়েস অব আমেরিকার খবরে বলা হয়, ২০২২ সালে ইরানে পুলিশি হেফাজতে ২২ বছর বয়সী মাশা আমিনির মৃত্যুর পর দেশব্যাপী বিক্ষোভ ছড়িয়ে পড়ে। ওই বিক্ষোভেও সবাইকে অনুপ্রাণিত করেছিলেন নার্গিস।
সারাবাংলা/টিআর