সংস্কারের পর খুলে দেওয়া হলো কালুরঘাট সেতু
২৭ অক্টোবর ২০২৪ ১৫:৪৮
চট্টগ্রাম ব্যুরো: সংস্কারকাজ শেষ হওয়ার প্রায় ১৫ মাস পর যান চলাচলের জন্য খুলে দেওয়া হয়েছে চট্টগ্রামের কালুরঘাট সেতু।
রোববার (২৭ অক্টোবর) সকাল ১০টা থেকে যান চলাচলের জন্য সেতুটি খুলে দেওয়া হয়।
রেলওয়ে পূর্বাঞ্চলের মহাব্যবস্থাপক নাজমুল ইসলাম সারাবাংলাকে জানান, শনিবার রাত থেকেই কালুরঘাট সেতু খুলে দেওয়া হয়েছিল। তবে যান চলাচল শুরু হয় রোববার সকাল ১০টা থেকে। ভারী যানবাহন যাতে চলাচল করতে না পারে তাই সেতুর প্রবেশমুখে উঁচু প্রতিবন্ধকতা দেওয়া হয়েছে। আপাতত ৮ ফুট উচ্চতার বেশি যানবাহন সেতু দিয়ে চলাচল করতে পারবে না।
সেতুর এক পাশে হেঁটে চলাচলের জন্য ওয়াকওয়ে নির্মাণ করা হয়েছে। এটি দিয়ে পথচারীরা সেতু পার হতে পারবেন এবং টোল ছাড়াই আপাতত যানবাহন চলাচলের জন্য কালুরঘাট সেতু খুলে দেওয়া হয়েছে। শিগগিরই টোল আদায়ে উন্মুক্ত দরপত্রের আহ্বান করা হবে।
কর্ণফুলী নদীর ওপর নির্মিত প্রায় শত বছরের পুরনো কালুরঘাট সেতু দিয়ে চট্টগ্রামের বোয়ালখালী এবং পটিয়া ও রাঙ্গুনিয়ার একটি অংশের মানুষ চট্টগ্রাম নগরীতে আসা-যাওয়া করে থাকেন। সংস্কার কাজের জন্য সেতু দিয়ে যান চলাচল বন্ধ থাকায় এ অঞ্চলের সাধারণ মানুষদের পোহাতে হয়েছে নানা দুর্ভোগ।
চট্টগ্রাম নগরীতে যাতায়াতের সুবিধার জন্য প্রায় ১৪ মাস ফেরি ব্যবহার করতে হয়েছে এ অঞ্চলের মানুষের। এতে অনেক দুর্ঘটনা ঘটে। প্রাণ হারান অনেকেই।
২০২৩ সালের ১ আগস্ট কর্ণফুলী নদীর ওপর নির্মিত ৯৩ বছরের পুরোনো কালুরঘাট সেতুর সংস্কারকাজ শুরু করে রেলওয়ে। ঠিকাদারি প্রতিষ্ঠান ম্যাক্স ইনফ্রাস্ট্রাকচার লিমিটেডকে ৪৩ কোটি টাকার সংস্কারকাজের জন্য কার্যাদেশ দেওয়া হয়। কাজের জন্য সময় বেঁধে দেওয়া হয়েছিল ছয় মাস। কিন্তু এ সময়ের মধ্যে কাজ শেষ করতে ব্যর্থ হয় ঠিকাদারি প্রতিষ্ঠান।
গত ২৪ সেপ্টেম্বর কালুরঘাট সেতুর সংস্কার কাজ পরিদর্শন করেন বুয়েটের তিন সদস্যের বিশেষজ্ঞ দল। তারা সংস্কার কাজের অগ্রগতি ও গুণগত মান পরীক্ষা শেষে দ্রুততম সময়ের মধ্যে যান চলাচলের জন্য সেতু চালু করে দেওয়ার পরামর্শ দিয়েছিলেন।
মূলত দোহাজারী-কক্সবাজার নতুন রেলপথ নির্মাণকাজ শেষ পর্যায়ে আসার পরও নতুন সেতু নির্মাণ না হওয়ায় পুরাতন কালুরঘাট সেতু সংস্কারের উদ্যোগ নেয় রেলওয়ে কর্তৃপক্ষ। কালুরঘাট সেতু দিয়ে বর্তমানে কক্সবাজার পর্যন্ত দৈনিক তিন জোড়া ট্রেন ও দোহাজারী পাওয়ার প্ল্যান্টের জ্বালানীবাহী ট্রেন চলাচল করে।
সারাবাংলা/আইসি/এসডব্লিউআর