‘সরকার কী করতে পারবে না সেটা সংবিধানে থাকতে হবে’
২৭ অক্টোবর ২০২৪ ২৩:০৭
চট্টগ্রাম ব্যুরো: সরকার কী কী করতে পারবে না সে বিষয়ে সংবিধানে আইন প্রণয়ন করতে হবে বলে মত দিয়েছেন সংবিধান বিশেষজ্ঞ ও সুপ্রিম কোর্টের আইনজীবী হাসনাত কাইয়ুম।
রোববার (২৭ অক্টোবর) বিকেলে চট্টগ্রাম বিশ্ববিদ্যালয়ে ‘রাষ্ট্রচিন্তা’ আয়োজিত আলোচনা সভায় তিনি একথা বলেন। বিশ্ববিদ্যালয়ের সমাজবিজ্ঞান অনুষদ মিলনায়তনে ‘নির্বাচন ও সংবিধান সংস্কার’ শীর্ষক এ আলোচনা সভা অনুষ্ঠিত হয়।
হাসনাত কাইয়ুম বলেন, ‘সংবিধানে বাংলাদেশের প্রধানমন্ত্রীকে সবচেয়ে ক্ষমতাধর করা হয়েছে। এজন্য তাদের সরাতে বার বার অভ্যুত্থান করতে হয়। সংবিধানে এই ক্ষমতাধর ব্যক্তিকে একমাত্র নির্বাচনের মাধ্যমে ক্ষমতাচ্যুত করার নিয়ম থাকতে হবে। একইসঙ্গে সরকার কী কী করতে পারবে না, সংবিধানে এসব নিয়ম থাকতে হবে। কারণ রাষ্ট্রের কাছে অস্ত্র থাকে, জনগনের কাছে না। সংসদ সদস্যদের চুরি করার সকল আইন বন্ধ করে দিতে হবে। তাহলে সে অন্যদেরও চুরি করতে দেবে না। ফ্যাসিজম চর্চাকারী নিজে খুন করে এবং অন্যকেও খুন করতে প্ররোচিত করে, তার উদাহরণ আমরা গত ১৫ বছরে দেখেছি।’
আলোচনা সভায় আরও বক্তব্য রাখেন চট্টগ্রাম বিশ্ববিদ্যালয়ের উপাচার্য অধ্যাপক ড. মুহাম্মদ ইয়াহ্ইয়া আখতার, উপ-উপাচার্য (প্রশাসন) অধ্যাপক ড. মো. কামাল উদ্দিন এবং দারুল উলুম আলিয়া মাদরাসা চন্দনপুরার শিক্ষক মুহাম্মদ মুনির উদ্দিন।
উপাচার্য অধ্যাপক ড. মুহাম্মদ ইয়াহ্ইয়া আখতার বলেন, ‘এখন ছাত্র রাজনীতি হলো ছাত্র ব্যবসা। যুক্তরাষ্ট্র ও যুক্তরাজ্য দলীয় লেজুড়ভিত্তিক রাজনীতি ছাড়া যোগ্য নেতা বানাতে পারলে, আমরা কেন পারবো না?’
নির্বাচন প্রসঙ্গে তিনি বলেন, ‘আমার মতে দেশে পঞ্চম, সপ্তম ও অষ্টম ছাড়া আর কোনো নির্বাচনে নির্বাচন কমিশন স্বাধীনভাবে কাজ করেনি। সবশেষ তিন নির্বাচন তো আমাদের বিশ্ব দরবারে বেশ নেতিবাচক পরিচিতি দিয়েছে। অদৃশ্য কারচুপি, রাতে ভোট হয়ে যাওয়া, ডামি ভোটসহ বিভিন্ন ধরনের কৌশল আমাদের থেকে শিখেছে বিশ্বের ক্রিটিকরা। আশা রাখছি, আমাদের আগামী নির্বাচনগুলো এসব বিষয় থেকে বের হয়ে আসতে পারবে।’
এসময় আরও উপস্থিত ছিলেন চট্টগ্রাম বিশ্ববিদ্যালয়ের যোগাযোগ ও সাংবাদিকতা বিভাগের শিক্ষক সহকারী অধ্যাপক খ. আলী আর রাজী ও সহযোগী অধ্যাপক সায়মা আলম। এছাড়া বিশ্ববিদ্যালয়ের বিভিন্ন বিভাগের শিক্ষক-শিক্ষার্থীরা ছিলেন।
সারাবাংলা/আরডি/এইচআই