আগাম শিমের ভালো দামে কৃষকদের মুখে হাসি
২৮ অক্টোবর ২০২৪ ০৮:৩২
সুনামগঞ্জ: সুনামগঞ্জের জামালগঞ্জে বাজারে উঠেছে আগাম জাতের শিম। বিক্রিও হচ্ছে চড়া দামে। বাজারে প্রতি কেজি শিমের দাম ২২০ টাকা থেকে ২৪০ টাকা। ভালো দাম পাওয়ায় খুশি শিম চাষিরা।
কৃষকরা জানান, দুই বছর ধরে জামালগঞ্জে আগাম জাতের শিমের আবাদ হচ্ছে। শিম চাষে অর্থ ও পরিশ্রম দুটোই কম লাগে। বেশি পোকার আক্রমণ, অতি বৃষ্টি ও খরার কারণে এবার শিমের ফলন কিছুটা কম। তবে দামে পুষিয়ে নিচ্ছেন চাষিরা।
উপজেলা কৃষি অফিসের তথ্য বলছে, এ উপজেলায় গত বছর শিমের আবাদ করেছিলেন অল্প কয়েকজন চাষি। এ বছর তাদের সঙ্গে যুক্ত হয়েছেন আরও অনেকেই। বিশেষ করে জামালগঞ্জ সদর ফেনারবাঁক ইউনিয়নে শিম চাষ বেশি হয়েছে।
সরেজমিনে দেখা যায়, আগাম শিম গাছ এরই মধ্যে মাচায় উঠে ফুলে ফুলে ভরে গেছে। থোকায় থোকায় ধরেছে শিম। গাছের পরিচর্যা আর শিম তুলতে ব্যস্ত সময় পার করছেন চাষিরা। অনেকে কিছু কিছু শিম বাজারে বিক্রিও করেছেন।
কালাগুজা গ্রামের শিম চাষি আব্দুর রহিম জানালেন, গত বছর দুই শতক জমিতে শিম চাষ করেছিলেন। ২৫ হাজার টাকা খরচের বিপরীতে লাভ হয়েছিল ৬০ হাজার টাকা। এবার তিন শতক জমিতে শিম লাগিয়েছেন তিনি।
আব্দুর রহিম বলেন, এখন শিম গাছ ফুলে ফলে ভরে গেছে। আশা করি এক সপ্তাহের মধ্যেই শিম বাজারে বিক্রি করতে পারব। আগাম জাতের শিম চাষ করে দুই বছর ধরে লাভবান হচ্ছি। আমার মতো অনেকেই আগাম জাতের শিমের চাষ করে লাভবান হচ্ছে।
রামপুর গ্রামের শিম চাষি লুৎফুর রহমান বলেন, প্রতি শতক জমিতে আগাম শিমের খরচ হয় ২৫ হাজার টাকা। তবে খরচ হলেও লাভের পরিমাণও বেশি। আবহাওয়া ভালো থাকলে ফলন ভালো পাব।
উপসহকারী কৃষি কর্মকর্তা মো. ইসহাক মিয়া সারাবাংলাকে বলেন, রুপবান, কাঞ্চন ও রুসা নামে আগাম জাতের শিম এই উপজেলায় বেশি চাষ হচ্ছে। লাভ বেশি হওয়ায় দিন দিন শিম চাষে আগ্রহী চাষির সংখ্যাও বাড়ছে।
উপজেলা কৃষি কর্মকর্তা মোহাম্মদ আলাউদ্দিন বলেন, উপজেলায় দুই বছর ধরে শিমের চাষ শুরু করেছেন চাষিরা। কিছু দিনের মধ্যেই চাষিরা শিম বিক্রি করতে পারবেন। সার ও কীটনাশক কম ব্যবহার করে কীভাবে আগাম শিম উৎপাদন করা যায়, সে বিষয়ে কৃষকদের পরামর্শ দেওয়া হচ্ছে।
সারাবাংলা/টিআর