রানা প্লাজার সোহেল রানার জামিন স্থগিতই থাকবে
২৮ অক্টোবর ২০২৪ ১৩:২১
ঢাকা: রানা প্লাজা ধসে সহস্রাধিক মানুষের মৃত্যুর ঘটনায় দায়ের করা হত্যা মামলায় ভবনটির মালিক সোহেল রানাকে হাইকোর্টের দেওয়া জামিন স্থগিতই থাকবে বলে জানিয়েছেনআপিল বিভাগ। তবে ভবনটির মালিক সোহেল রানার জামিন প্রশ্নে জারি করা রুল দুই মাসের মধ্যে হাইকোর্ট বিভাগকে নিষ্পত্তির নির্দেশ দিয়েছেন আদালত।
সোমবার (২৮ অক্টোবর) আপিল বিভাগের জ্যেষ্ঠ বিচারপতি মো. আশফাকুল ইসলামের নেতৃত্বে তিন বিচারপতির বেঞ্চ এ আদেশ দেন।
আদালতে সোহেল রানার পক্ষে শুনানি করেন অ্যাডভোকেট মোহাম্মদ শিশির মনির। রাষ্ট্রপক্ষে শুনানি করেন অতিরিক্ত অ্যাটর্নি জেনারেল আরশাদুর রউফ।
এর আগে, ২ অক্টোবর রানা প্লাজা ধসে পড়ে সহস্রাধিক মানুষের মৃত্যুর ঘটনায় দায়ের করা হত্যা মামলায় ভবনটির মালিক সোহেল রানাকে হাইকোর্টের দেওয়া জামিন স্থগিত করে আপিল বিভাগে পাঠিয়ে দেন চেম্বার আদালত।
রাষ্ট্রপক্ষের আবেদনের শুনানি নিয়ে চেম্বার বিচারপতি মো. রেজাউল হক এই আদেশ দেন।
আদালতে রাষ্ট্রপক্ষে শুনানি করেন অতিরিক্ত অ্যাটর্নি জেনারেল ব্যারিস্টার অনীক আর হক।
তারও আগে গত ১ অক্টোবর রানা প্লাজা ধসে পড়ে সহস্রাধিক মানুষের মৃত্যুর ঘটনায় দায়ের করা হত্যা মামলায় ভবনটির মালিক সোহেল রানারকে ছয় মাসের জামিন দেন হাইকোর্ট।
বিচারপতি মো. আতাউর রহমান খান ও বিচারপতি কে এম হাফিজুল আলমের হাইকোর্ট বেঞ্চ তাকে জামিন দেন।
আদালতে সোহেল রানার পক্ষে শুনানি করেন অ্যাডভোকেট সাজ্জাতুল হায়দার চৌধুরী। রাষ্ট্রপক্ষে শুনানি করেন ডেপুটি অ্যাটর্নি জেনারেল মো. মাসুদ রানা। পরে হাইকোর্টের জামিন স্থগিত চেয়ে আবেদন করে রাষ্ট্রপক্ষ।
২০২৩ সালের ৬ এপ্রিল এ মামলায় সোহেল রানাকে জামিন দিয়েছিলেন হাইকোর্ট। পরে ৯ এপ্রিল হাইকোর্টের দেওয়া জামিন স্থগিত করে আপিল করেন আপিল বিভাগ।
তারও আগে ২০২২ সালের মার্চে রানাকে কেন জামিন দেওয়া হবে না তা জানতে চেয়ে রুল জারি করেছিলেন হাইকোর্ট। ওই রুলকে যথাযথ ঘোষণা করেই গত ৬ এপ্রিল তাকে জামিন দেওয়া হয়েছিল।
২০১৩ সালের ২৪ এপ্রিল দেশের ইতিহাসে সবচেয়ে বড় দুর্ঘটনা রানা প্লাজা ধসের মর্মান্তিক ঘটনা ঘটে। এ ঘটনায় ১৩শ মানুষের মৃত্যু হয়। যাদের প্রায় সবাই ছিলেন পোশাক কারখানার শ্রমিক।
এ ঘটনায় ভবনের মালিক সোহেল রানাকে প্রধান আসামি করে হত্যা মামলা দায়ের করা হয়।
ভারতে পালিয়ে যাওয়ার সময় ২০১৩ সালের ২৯ এপ্রিল বেনাপোল থেকে সোহেল রানাকে গ্রেফতার করে র্যাব। এর পর থেকে তিনি কারাগারে আছেন।
সারাবাংলা/কেআইএফ/ইআ