খুলনায় জাহিদ হত্যা মামলায় ৫ জনের মৃত্যুদণ্ড
২৮ অক্টোবর ২০২৪ ১৭:১৩
খুলনা: জেলার খালিশপুর এলাকার আলোচিত জাহিদ হত্যা মামলায় পাঁচজনকে মৃত্যুদণ্ডাদেশ এবং প্রত্যেককে এক লাখ টাকা করে অর্থদণ্ড সাজা দিয়েছেন আদালত।
সোমবার (২৮ অক্টোবর) খুলনার জননিরাপত্তা বিঘ্নকারী অপরাধ দমন ট্রাইব্যুনালের বিচারক মো. জুয়েল রানা এ রায় ঘোষণা করেন। মৃত্যুদণ্ডপ্রাপ্ত আসামিরা হলেন— মো. আব্বাস আনসারী, মো. নশু ফরাজী, মো. রিয়াজ, মো. নাদিম ও মো. জব্বার।
আদালতের উচ্চমান বেঞ্চ সহকারী মোহাম্মদ ছায়েদুল হক শাহিন জানান, একই আসামিদের বিরুদ্ধে মামলার আরেক ভুক্তভোগী নিহত জাহিদের বড় ভাই জাবেদকে ধারালো অস্ত্রের আঘাতে হত্যাচেষ্টা ও আহত করার অভিযোগে দণ্ডন্ডবিধি ৩২৪ ও ৩০৭ ধারায় তিন বছর ও সাত বছরের সশ্রম কারাদণ্ড ও প্রত্যেককে আলাদাভাবে পাঁচ হাজার টাকা অর্থদণ্ড, অনাদায়ে আরও ঠয় মাসের বিনাশ্রম কারাদণ্ড সাজা দিয়েছেন।
এ মামলায় সাত আসামিকে খালাস দিয়েছেন আদালত। তারা হলেন— মো. ইব্রা আর আলাম আসিফ, মো. রানা হোসেন, সুলতান ওরফে গব্বার, মো.ওমর ফারুক ওরফে আরিফ, মো. মেহেদী হাসান ওরফে প্যাকেট মেহেদী ও মো. জাহিদুল ইসলাম জাহিদ।
মামলার এজাহার থেকে জানা যায়, খালিশপুর হাউজিং এস্টেট এলাকার বাসিন্দা সাব্বির হোসেনের বড় ছেলে জাবেদের সঙ্গে স্থানীয় কিছু দুষ্কৃতিকারীর পূর্ব বিরোধ ছিল। ২০১৬ সালের ১৩ ডিসেম্বর তিনি বাসা থেকে চিত্রালী বাজারের উদ্দেশে বের হন। পথে বঙ্গবাসী মোড় জাহাঙ্গীরের চালের দোকানের সামনে পৌঁছালে আগে থেকে অপেক্ষারত সন্ত্রাসীরা ধারালো অস্ত্র নিয়ে তার ওপর আক্রমণ করে। এ ঘটনায় তিনি গুরুতর আহত হন।
জাবেদের আক্রমণের শিকার হওয়ার ঘটনা জানতে পেরে জাবেদের দুই ভাই মো. সুমন ও জাহিদ ঘটনাস্থলে পৌঁছান। এ সময় এ মামলার আসামি আব্বাস আনছারি ও জব্বার জাবেদের ছোট ভাই মো. সুমনকে জাপটে রাখে এবং সন্ত্রাসীরা তার মেজো ভাই জাহিদকে এলোপাতাড়িভাবে কোপাতে থাকে। পরে জাহিদ চিৎকার করতে থাকলে ঘটনাস্থলে এলাকাবাসী সেখানে পৌঁছালে সন্ত্রাসীরা পালিয়ে যায়। পরে স্থানীয়রা তাদের উদ্ধার করে চিকিৎসার জন্য খুলনা মেডিকেল কলেজ হাসপাতালে নিলে সেখানকার চিকিৎসক জাহিদকে মৃত ঘোষণা করেন।
ঘটনার পরদিন নিহতের ছোট ভাই মো. সুমন ১২ জনের নাম উল্লেখসহ অজ্ঞাতনামা আরও চার-পাঁচজনের নাম উল্লেখ করে খালিশপুর থানায় মামলা দায়ের করেন।
২০১৮ সালের ২৬ আগস্ট পিবিআই পুলিশ পরিদর্শক মো. বাবলুর রহমান খান ১২ জন আসামির নাম উল্লেখ করে আদালতে অভিযোগপত্র দাখিল করেন। এ ঘটনার প্রায় সাত বছর ১০ মাস পর আজ সোমবার রায় ঘোষণা করা হয়েছে।
সারাবাংলা/এনজে