পুয়ের্তোরিকো ‘আবর্জনার দ্বীপ’ মন্তব্য ঘিরে ট্রাম্পের ক্ষমা প্রার্থনা দাবি
২৯ অক্টোবর ২০২৪ ১৪:০৬
মার্কিন প্রেসিডেন্ট নির্বাচনে রিপাবলিকান প্রার্থী ডোনাল্ড ট্রাম্পের নির্বাচনি সমাবেশে পুয়ের্তোরিকোকে ‘আবর্জনার দ্বীপ’ হিসেবে উল্লেখ করার ঘটনায় তীব্র সমালোচনা চলছে। এই বক্তব্যের জন্য ট্রাম্পকে ক্ষমা চাইতে হবে— এমন দাবি উঠেছে।
পুয়ের্তোরিকোর আর্চবিশপও একই দাবি জানিয়েছেন। এমনকি রিপাবলিকান নেতারাও বলেছেন, ট্রাম্পের সমাবেশ থেকে এমন ‘নোংরা’ মন্তব্য হওয়ার কারণে তার ক্ষমা চাওয়া উচিত। তা না হলে নির্বাচনে ট্রাম্পের ওপর থেকে সমর্থন তুলে নেওয়ার হুমকিও দিয়েছেন তারা।
রোববার (২৭ অক্টোবর) নিউইয়র্কের ম্যাডিসন স্কয়ারে ট্রাম্পের নির্বাচনি সমাবেশে বক্তৃতা দেওয়ার সময় আমেরিকান কৌতুক অভিনেতা টনি হিঞ্চক্লিফ যুক্তরাষ্ট্রের এই অঞ্চলটিকে ‘ভাসমান আবর্জনার দ্বীপ’ হিসেবে উল্লেখ করেছিলেন।
পুয়ের্তোরিকো মূলক ক্যারিবিয়ান দ্বীপপুঞ্জের একটি দ্বীপ, যা মার্কিন অঞ্চল হিসেবে শাসিত। এই দ্বীপের অধিবাসীরা মার্কিন প্রেসিডেন্ট নির্বাচনে ভোট দিতে পারেন না। তবে মার্কিন বিভিন্ন রাজ্যেই পুয়ের্তোরিকানরা ছড়িয়ে-ছিটিয়ে আছেন, যারা এই নির্বাচনে ভোট দিতে পারেন।
পুয়ের্তোরিকো নিয়ে হিঞ্চক্লিফের এমন বক্তব্যের ক্ষুব্ধ প্রতিক্রিয়া জানিয়েছেন পুয়ের্তোরিকোর রিপাবলিকান পার্টির সভাপতি। তিনি বলেন, যদি ট্রাম্প ক্ষমা না চান, তবে তারা ট্রাম্পকে দেওয়া সমর্থন প্রত্যাহার করবেন।
এ মন্তব্যকে ‘জঘন্য’ ও ‘বর্ণবাদী’ অভিহিত করেছেন মার্কিন কংগ্রেস সদস্য মারিয়া এলভিরা সালজার। মার্কিন সিনেটর রিক স্কট বলেন, কৌতুক করে বলা হলেও বিষয়টি মজার নয় কিংবা সত্যও নয়। পুয়ের্তোরিকানরা খুব চমৎকার মানুষ এবং চমৎকার আমেরিকানও।
এদিকে ট্রাম্পের নির্বাচনি শিবিরের দাবি, হিঞ্চফ্লিকের এমন মন্তব্য তার ব্যক্তিগত। এটি সাবেক প্রেসিডেন্ট ও নির্বাচনে রিপাবলিকান প্রার্থী ট্রাম্পের দৃষ্টিভঙ্গিকে প্রতিনিধিত্ব করে না। তবে ট্রাম্প এখন পর্যন্ত প্রকাশ্যে হিঞ্চফ্লিকের ওই বক্তব্যে নিন্দা জানাননি।
পেনসিলভ্যানিয়ায় অবস্থানরত পুয়ের্তোরিকানরা বলছেন, ট্রাম্পের সমাবেশে করা এই মন্তব্য ভুলে যাওয়া সম্ভব নয়। শেষ সপ্তাহে পৌঁছানো হোয়াইট হাউজের লড়াইয়ে সমাবেশের এ মন্তব্য নিয়ে ট্রাম্পকে সমালোচনায় পড়তে হচ্ছে।
ঘনিয়ে আসা মার্কিন নির্বাচনে প্রধান দুই প্রার্থী রিপাবলিকান পার্টির ট্রাম্প ও ডেমোক্র্যাট পার্টির কমলা হ্যারিসের মধ্যে হাড্ডাহাড্ডি লড়াই আশা করা হচ্ছে। নির্বাচনের এক সপ্তাহ আগে ইপসসের এক জরিপে উঠে এসেছে, ৫১ শতাংশ সমর্থন নিয়ে ট্রাম্পের চেয়ে সামান্য এগিয়ে রয়েছেন কমলা হ্যারিস। ট্রাম্পের পক্ষে সমর্থন জানিয়েছেন ৪৭ শতাংশ ভোটার। ৫ নভেম্বরের ভোটের ফলাফল বলবে কমলা এই সমর্থন ধরে রাখতে পারবেন কি না।
সারাবাংলা/এনজে/টিআর
ক্ষমা প্রার্থনা ডোনাল্ড ট্রাম্প নির্বাচনি সমাবেশ পুয়ের্তোরিকো