গ্যাস লাইন বিস্ফোরণে ২ জনের মৃত্যু, দগ্ধ পুরো পরিবার
২৯ অক্টোবর ২০২৪ ১৪:২৯
ঢাকা: নারায়ণগঞ্জের রূপগঞ্জে গ্যাস লাইন লিকেজ থেকে বিস্ফোরণে শিশুসহ একই পরিবারের ছয়জন দগ্ধ হয়েছেন এবং তাদের মধ্যে দুইজনের মৃত্যু হয়েছে। বাকি চারজন জাতীয় বার্ন ও প্লাস্টিক সার্জারি ইনস্টিটিউটে চিকিৎসাধীন। তাদের সবার অবস্থা আশঙ্কাজনক বলে জানিয়েছেন চিকিৎসক।
মঙ্গলবার (২৯ অক্টোবর) ভোর পৌনে ৬টার দিকে ইসমাইল (১১) ও সকাল ৯টায় সোহেল মিয়া (২০) চিকিৎসাধীন অবস্থায় বার্ন ইনস্টিটিউটের নিবিড় পরিচর্যা কেন্দ্রে মারা যান।
জাতীয় বার্ন ইনস্টিটিউটের আবাসিক সার্জন ডা. তরিকুল ইসলাম এই দুই ভাইয়ের মৃত্যুর বিষয়টি নিশ্চিত করেন।
তিনি বলেন, ‘রুপগঞ্জ থেকে আসা একই পরিবারের ছয়জনের মধ্যে দুইজন মারা গেছেন। এদের মধ্যে সোহেলের ৭০ শতাংশ ও ইসমাইলের ৫৫ শতাংশ দগ্ধ হয়েছিল। বর্তমানে বাবুল ৬৬ শতাংশ, তাসলিমা ৬৩ শতাংশ, সেলি বেগম ৩০ শতাংশ ও মুন্নি ২০ শতাংশ দগ্ধ নিয়ে ভর্তি আছে। তবে তাদের সবার অবস্থাই আশঙ্কাজনক।’
এর আগে শুক্রবার (২৫ অক্টোবর) রাত পৌনে ১১টার দিকে রুপগঞ্জ ডহরগাঁও গ্রামে ঘটনাটি ঘটে। এতে দগ্ধ হন মো. বাবুল মিয়া (৪০), স্ত্রী সেলি বেগম (৩৫) ছেলে মো. সোহেল মিয়া (২০), মো. ইসমাইল হোসেন (১১), মেয়ে তাসলিমা আক্তার (৯) ও সোহেলের স্ত্রী মুন্নি খাতুন (১৮)।
দগ্ধ বাবুলের চাচাতো ভাই এনামুল হক জানান, তাদের গ্রামের বাড়ি হবিগঞ্জ জেলার নবীগঞ্জ থানার সুজাপুর গ্রামে। বর্তমানে নারায়ণগঞ্জ রূপগঞ্জ থানার ডহরগাঁও এলাকার ওই বাসায় নিচ তলায় ভাড়া থাকতেন তারা। বাবুল রাজ মিস্ত্রীর কাজ করে। স্ত্রী সেলি এনজেড নামে পোশাক কারখানায় কাজ করেন।
মৃত সোহেল ফকির ফ্যাশন নামে একটি পোশাক কারখানায় কাজ করতেন। সোহেলের স্ত্রী মুন্নি গৃহিণী এবং ইসমাইল ও তাসলিমা তার বাসাতেই থাকতেন।
এনামুল হক বলেন, ‘তারা ওই বাসায় পাশাপাশি রুমে ছিলেন। তাদের ঘরে গ্যাস থাকলেও চাচা বাবুলের ঘরে গ্যাস টেনে আনার জন্য একটি কম্প্রেশার মেশিন ছিল। রাতে তারা খাওয়া দাওয়া করে ঘুমিয়ে পরেন। হঠাৎ কম্প্রেসার মেশিনের বিকট শব্দে বিস্ফোরণ ঘটে। এতে তারা ছয়জন দগ্ধ হন। পরে প্রতিবেশীরা তাদেরকে বার্ন ইনস্টিটিউটে নিয়ে যায়। তবে কী কারণে বিস্ফোরণ ঘটেছে সে বিষয়ে বিস্তারিত জানা যায়নি।’
সারাবাংলা/এসএসআর/এসডব্লিউআর