পরিবর্তন আসছে রেলের ই- টিকেটিং পদ্ধতিতে
২৯ অক্টোবর ২০২৪ ১৬:১৫
ঢাকা: কালোবাজারি থামাতে ট্রেনের অনলাইন টিকেটিং (ই-টিকেটিং) পদ্ধতিতে কিছু পরিবর্তন আনা হবে বলে জানিয়েছেন রেলপথ মন্ত্রণালয়ের উপদেষ্টা ড. ফাওজুল কবির খান। একইসঙ্গে রেলওয়ের রুট রেশনালাইজেশন করা হবে বলেও উল্লেখ করেন তিনি।
মঙ্গলবার (২৯ অক্টোবর) রেল ভবনে এ সংক্রান্ত সংবাদ সম্মেলনে এসব তথ্য জানান তিনি।
উপদেষ্টা ড. ফাওজুল কবির বলেন, ‘আজ একটা প্রেজেন্টেশন হয়েছে। সেখানে চালডালের নির্বাহী কর্মকর্তা ওয়াসিম আলী, ড্যাফোডিল বিশ্ববিদ্যালয়ের শিক্ষক ড. ফিজার আহমেদ ও আনিকা জারা উপস্থিত ছিলেন। তারা বিভিন্ন বিষয় জানিয়েছেন। তারা সবাই ভালো কম্পিউটার এক্সপার্ট। সেখান থেকে আমরা অনেক কিছু পেয়েছি। আমরা আসলে তরুনদের মেধার ব্যবহার করতে চাই।’
অনলাইনে টিকিট কাটার জটিলতা প্রসঙ্গে উপদেষ্টা বলেন, রেলের টিকেটিং পদ্ধতি নিয়ে কিছু সমস্যা চিহ্নিত করা হয়েছে। অনেকসময় কমলাপুর থেকে টিকিট চাইলেন, সেখানে নেই কিন্তু তেজগাঁও থেকে আছে। আবার ৭টার ট্রেনে টিকিট নাই, কিন্তু ১০টার ট্রেনে আছে। তবে সেটির কী অবস্থা তা জানা যাচ্ছে না। বিষয়টি ঠিক করতে রেলওয়ের অনলাইন টিকেটিং পদ্ধতির সহযোগী সহজ ডট কমকে নির্দেশ দেওয়া হয়েছে।
সহজ ডট কম বলছে, যাত্রী যেন এখন থেকে টিকিটের অবস্থা দেখতে পান কখন, কোথায় কোন স্টেশন থেকে টিকেট আছে সেটি আগামী দুই-তিন দিনের মধ্যে ঠিক করা হবে। না হলে আপনারা অভিযোগ করবেন।’
মৌখিক বা টেলিফোনে কারও অনুরোধে টিকিট কেটে দেওয়ার চর্চা বন্ধ করা হবে উল্লেখ করে উপদেষ্টা আরও বলেন, রেলে অনেক কর্মকর্তা আছেন, এখানে কাজ করেন। কিন্তু এটা কারও ব্যক্তিগত সম্পত্তি না, এটা জনগণের সম্পত্তি। রেলের সচিব, মন্ত্রীর জরুরি কাজ আছে বলে অন্যদের নাই এমন তো না।
উপদেষ্টা বলেন, আমরা দেশটাকে সাধারণ মানুষের কাছে ফিরিয়ে দিতে চাই। মৌখিক বা টেলিফোনে টিকিট বিতরণ বন্ধ হয়ে যাবে এখন থেকে। আবার বিভিন্ন স্টেশন থেকেও পাওয়া যাবে। সেটাও সহজকে বলা হয়েছে। আমরা এসব বিষয়ে সিদ্ধান্ত নিয়েছি।
কালোবাজারি টিকিট নিয়ে তিনি বলেন, দেখা গেল অনলাইনে টিকিট পাওয়া যায় না। কিন্তু কালোবাজারে ২০০ বা ৩০০ টাকায় টিকিট পাওয়া যায়। এ বিষয়টি নিয়ে আলোচনা করা হয়েছে। এখন থেকে এসব বিষয়ে ছাড় দেওয়া হবে না।
যারা কালোবাজারি করে, তাদের বিরুদ্ধে কঠিন ব্যবস্থা নেওয়া হবে জানিয়ে তিনি বলেন, ‘যারা রেলের লোক, তাদের বিরুদ্ধে কঠিন ব্যবস্থা নেব। আমরা সমস্যার গোড়ায় যেতে চাই। সবাই বলে, এই সরকার কিছু করে না। কিন্তু এটা সময় লাগবে। আমরা গত এক মাসে সমস্যার গভীরে যাওয়ার চেষ্টা করেছি।
রেলের রুট রেশনালাইজেশন প্রসঙ্গে রেলপথ উপদেষ্টা বলেন, যেখানে যাত্রী নাই সেখানে ট্রেন যাচ্ছে। আবার যেখানে যাত্রী আছে সেখানে ট্রেন নাই। প্রবাসীরা যেসব জায়গায় যায় যেমন ঢাকা-সিলেট, ঢাকা-চট্টগ্রাম-এসব পথে রেলের রুট রেশনালাইজেশন করা হবে।
রেলের প্রকল্পগুলো নিয়ে রিভিউ চলছে উল্লেখ করে উপদেষ্টা বলেন, ‘অনেক প্রকল্প আগে হয়েছে যেগুলোর তেমন গুরুত্ব নেই। সামনে রেলের প্রকল্প নিয়ে আমরা আরও বেশি সতর্ক থাকবো। কোন প্রকল্প কেন বাদ দেওয়া হয়েছে, সেটা আমরা জানাব।’
সারাবাংলা/জেআর/এমপি