Thursday 21 Nov 2024
Sarabangla | Breaking News | Sports | Entertainment

ধর্মপ্রাণ মানুষদের রাখা হয়েছিল উৎকণ্ঠায়: তারেক রহমান

স্পেশাল করেসপন্ডেন্ট
২৯ অক্টোবর ২০২৪ ২১:৩৫

লন্ডন থেকে ভার্চুয়ালি যুক্ত হয়ে মন্তব্য দেন তারেক রহমান। ছবি: সারবাংলা।

ঢাকা: বিগত সরকারের আমলে ধর্মপ্রাণ মানুষদের উদ্বেগ-উৎকণ্ঠায় রাখা হয়েছিল বলে মন্তব্য করেছেন বিএনপির ভারপ্রাপ্ত চেয়ারম্যান তারেক রহমান।

মঙ্গলবার (২৯ অক্টোবর) সন্ধ্যায় রাজধানী ইস্কাটন লেডিস ক্লাবে আয়োজিত এক শুভেচ্ছা বিনিময় অনুষ্ঠানে লন্ডন থেকে ভার্চুয়ালি যুক্ত হয়ে তিনি এ মন্তব্য করেন।

হিন্দু সম্প্রদায়ের শারদীয় দূর্গোৎসব উপলক্ষে এ শুভেচ্ছা বিনিময় অনুষ্ঠান আয়োজন করে হিন্দু, বৌদ্ধ ও খ্রিষ্টান ঐক্য পরিষদ।

তারেক রহমান বলেন, ‘নিজেদের স্বার্থ হাসিল করতে পতিত পরাজিত শক্তি দেশে সাম্প্রদায়িক পরিস্থিতি সৃষ্টি করত। সারাদেশে হিন্দু সম্প্রদায়ের ওপর নির্যাতনের কোনো একটি ঘটনার বিচার করেনি তারা। গত ১৫ বছরে তাবেদার সরকারের সময় আমরা দেখেছি সন্ত্রাসীদের নিরাপত্তা নিশ্চিত করা হয়েছে, যারা অপকর্মের সাথে জড়িত তাদের নিরাপত্তা নিশ্চিত করা হয়েছে আর ধর্মপ্রাণ মানুষদের রাখা হয়েছিল উদ্বেগ ও উৎকণ্ঠায় ।

তিনি বলেন, ৫ আগস্ট ছাত্রজনতার গণঅভ্যুত্থানের পর দেশের মুসলমান, হিন্দুসহ সকল ধর্মের মানুষ এখন আয়না ঘরের ভীতিমুক্ত। আজ আমরা স্বাধীনভাবে একত্রিত হতে পেরেছি। কোনো ধর্মকে ব্যবহার করে পলাতক স্বৈরাচারের রেখে যাওয়া দোসররা যাতে কোনো ষড়যন্ত্রের জাল বিস্তার করতে না পারে, সে ব্যাপারে সবাইকে সতর্ক থাকতে হবে।’

তারেক রহমান বলেন, ‘ভবিষ্যতে সকল ধর্মের মানুষ যাতে নিজ নিজ ধর্ম নিশ্চিন্তে উদযাপন করতে পারে তেমন একটি দেশ ও সমাজ বিনির্মাণে বাংলাদেশের পক্ষের শক্তি আজ ঐক্যবদ্ধ। ধর্ম যার যার, কিন্তু নিরাপত্তা পাওয়ায় অধিকার সবার।’

বিজ্ঞাপন

তিনি বলেন, ‘মাফিয়া সরকারের রেখে যাওয়া ভঙ্গুর রাষ্ট্রকে মেরামত করার জন্য অন্তবর্তী সরকার ইতিমধ্য বিভিন্ন সংস্কার কমিশন গঠন করেছে। ১৫ বছরের জঞ্জাল দূর করে সংস্কার কার্যক্রম শেষ করা সহজ না। একটি বিষয় খেয়াল রাখা জরুরি, এই বিশাল কর্মজজ্ঞ সম্পাদন করতে গিয়ে জনগণের দুর্দশা লাঘব করা না গেলে, জনগণের রাজনৈতিক ক্ষমতা নিশ্চিত করার বিষয়টি উপেক্ষিত থাকলে অন্তবর্তী সরকারের সংস্কার কার্যক্রম প্রশ্নের মুখে পড়বে। ফলে এই সরকারের কার্যক্রম এজেন্ডাভিত্তিক করা জরুরি।’

তারেক রহমান বলেন, ‘বর্তমান সরকারকে ব্যর্থ করে দিতে পরাজিত অপশক্তি এবং প্রশাসনে থাকা তাদের দোসররা নানা কৌশলে ষড়যন্ত্র করছে। এই কারণে প্রতিটি রাজনৈতিক দলের ভিন্ন ভিন্ন কর্মসূচি থাকলেও একটি বিষয় বিএনপিসহ সবাই একমত- মাফিয়া সরকারের বিনিফিয়িশারদের রাষ্ট্রীয় বিভিন্ন গুরুত্বপূর্ণ জায়গায় রেখে অন্তবর্তী সরকারের লক্ষ্য পৌছানো সহজ হবে না।’

বিএনপির মহাসচিব মির্জা ফখরুল ইসলাম আলমগীরের সভাপতিত্বে ও সহ ধর্ম বিষয়ক সম্পাদক অমলেন্দু অপু সঞ্চালনায় অনুষ্ঠানে অন্যদের মধ্যে বক্তব্য দেন বিএনপি স্থায়ী কমিটির সদস্য অধ্যাপক ডাক্তার এজেডএম জাহিদ হোসেন, চেয়ারপারসনের উপদেষ্টা অধ্যাপক ড সুব্রত বুড়ুয়া, বিজন কান্তি সরকার, আফরোজা খানম রিতা, বিএনপির ধর্ম বিষয়ক সম্পাদক রফিকুল ইসলাম জামাল, সহ- সাংগঠনিক সম্পাদক জয়ন্ত কুমার কুণ্ড, নির্বাহী সদস্য সুশীল বড়ুয়া, হিন্দু বৌদ্ধ খৃষ্টান কল্যাণ ফ্রন্ট উপদেষ্টা তপন দে, মহাসচিব তরুণ দে, সিনিয়র যুগ্ম মহাসচিব মিল্টন বৈদ্য গণফোরাম সাধারণ সম্পাদক এডভোকেট সুব্রত চৌধুরী, বাংলাদেশ পূজাঁ উৎযাপন পরিষদ সাধারণ সম্পাদক সন্তোষ শর্মা প্রমুখ।

বিজ্ঞাপন

সারাবাংলা/এজেড/এসআর

উদ্বেগ-উৎকণ্ঠায় তারেক রহমান বিএনপি শুভেচ্ছা বিনিময়

বিজ্ঞাপন

আরো

সম্পর্কিত খবর