৫০ টন মাছের খাবারে ৭ টন শুটকি, অবৈধ চালান জব্দ
৩০ অক্টোবর ২০২৪ ২২:১৭
যশোর: বেনাপোল বন্দরে ঘোষণাবহির্ভূত বিপুল পরিমাণ শুটকি মাছের চালান জব্দ করেছে কাস্টমস কর্তৃপক্ষ। ৫০ টন ফিশ মিল বা মাছের খাবারের মধ্যে ঘোষণাবহির্ভূত প্রায় সাত টন শুটকি মাছ পাওয়া গেছে।
বুধবার (৩০ অক্টোবর) দুপুরে বেনাপোল বন্দরের ৩১ নম্বর সেড থেকে শুটকিগুলো জব্দ করা হয়।
কাস্টমস সূত্রে জানা গেছে, শামীম এন্টারপ্রাইজ নামে আমদানিকারক একটি প্রতিষ্ঠান ভারত থেকে ৫০ মেট্রিক টন ফিশ মিল ঘোষণা দিয়ে পণ্য চালানটি আমদানি করেন। রফতানি করেন ভারতের ইনোভেটিভ নামে এক রফতানিকারক প্রতিষ্ঠান। পণ্য চালানটি কাস্টম থেকে ছাড় করতে প্যারেন্টস ইন্টারন্যাশনাল বিজনেস সেন্টার নামে সি অ্যান্ড এফ এজেন্ট বিল অব অ্যান্ট্রি দাখিল করেছেন। ভারতীয় তিনটি ট্রাকে বেনাপোল বন্দরে মঙ্গলবার সন্ধ্যার দিকে পণ্য চালানগুলো প্রবেশ করে।
বেনাপোল কাস্টমসের পরীক্ষণ কর্মকর্তা সুপারেনটেনডেন্ট জাহিদুর রহমান জানান, বুধবার দুপুরে জাতীয় নিরাপত্তা গোয়েন্দা সংস্থার (এনএসআই) তথ্যের ভিত্তিতে জেলা প্রশাসকের নিদের্শে ফিশ মিল ঘোষণা দিয়ে আমদানি করা পণ্য চালানটি পরীক্ষা করা হয়। তখন তিনটি গাড়িতে ৫০ টন ফিশ মিলের মধ্যে ঘোষণাবহির্ভূত প্রায় সাত টন শুটকি মাছ পাওয়া যায়। মিথ্যা ঘোষণা দিয়ে ফিশ মিলের ভিতরে শুটকি মাছ আমদানি করায় পণ্য চালানটি সাময়িক জব্দ করা হয়েছে। এ ব্যাপারে কাস্টমস আইন অনুযায়ী ব্যবস্থা নেওয়া হবে।
জানা গেছে, ফিশ মিলের কোনো শুল্ক কর দিতে হয় না। তবে শুটকি মাছের শুল্ককর ৫৮ শতাংশ। বেনাপোল কাস্টমস হাউজে প্রতিকেজি শুটকি মাছের শুল্কায়ন মূল্য ২ ডলার এবং শুল্কহার ৫৮ শতাংশ। ঘোষণা বহির্ভূত শুটকি মাছের মূল্য ১৬ লাখ ৮০ হাজার টাকা। পণ্য চালানটিতে ডিউটি ফাঁকি দেওয়া হচ্ছিল প্রায় ৯ লাখ ৮৫ হাজার টাকা।
এ ব্যাপারে সি অ্যান্ড এফ এজেন্ট প্রতিনিধি তারেক বাবুল জানান, আমদানিকৃত পণ্য চালানটি ফিশ মিল। এখানে কোনো শুটকি মাছ নেই । ল্যাবে পরীক্ষা করলেই প্রমাণ হবে। এখানে কারও কোনো অপরাধ নেই। আমদানিকৃত পণ্যচালানে শুল্ক ফাঁকি দেওয়ার প্রবণতাও আমাদের নেই।
সারাবাংলা/পিটিএম