Thursday 21 Nov 2024
Sarabangla | Breaking News | Sports | Entertainment

বর্ষ পদ্ধতিতে ফিরতে রাবি আইন অনুষদের শিক্ষার্থীদের আমরণ অনশন

রাবি করেসপন্ডেন্ট
৩০ অক্টোবর ২০২৪ ১৭:২২

বুধবার আমরণ অনশন শুরু করেন রাবি আইন অনুষদের দুই বিভাগের ৪০ শিক্ষার্থী। ছবি: সারাবাংলা

রাজশাহী বিশ্ববিদ্যালয়ের আইন অনুষদে সেমিস্টার পদ্ধতি বাতিল করে পুনরায় বর্ষ পদ্ধতি চালুর দাবিতে আমরণ অনশন কর্মসূচি পালন করেছেন অনুষদের শিক্ষার্থীরা। আইন বিভাগ এবং আইন ও ভূমি প্রশাসন বিভাগের ২০২২-২৩ ও ২০২৩-২৪ শিক্ষাবর্ষের শিক্ষার্থীরা এই কর্মসূচিতে অংশ নেন।

বুধবার (৩০ অক্টোবর) সকাল সাড়ে ১১টায় বিশ্ববিদ্যালয়ের প্রশাসন ভবনের সামনে অবস্থান নিয়ে এ কর্মসূচি পালন করেন শিক্ষার্থীরা।

বিজ্ঞাপন

দুই বিভাগের দুই শিক্ষাবর্ষ থেকে ২০ জন ছেলে ও ২০ জন মেয়ে মিলে ৪০ জন শিক্ষার্থী অনশনে বসেন। দাবি আদায় না হওয়া পর্যন্ত অনশন চালিয়ে যাবেন বলে জানিয়েছেন তারা।

কমর্সূচিতে শিক্ষার্থীরা ‘দফা এক দাবি এক, ইয়ারে কামবাক’, ‘জেগেছে রে জেগেছে, আইন অনুষদ জেগেছে’, ‘সেমিস্টারের বিরুদ্ধে ডাইরেক্ট অ্যাকশন’, ‘আমাদের দাবি মানতে হবে, মানতে হবে মানতে হবে’ প্রভৃতি স্লোগান দেন।

আইন ও ভূমি প্রশাসন বিভাগের ২০২২-২৩ শিক্ষাবর্ষের শিক্ষার্থী মো. মাহবুব হাসান বলেন, আইন অনুষদের ওপর আগের প্রশাসন জোর করে সেমিস্টার পদ্ধতি চাপিয়ে দিয়েছে। আমাদের পাঠ্যসূচি অনেক বড়। সেটা পড়ার জন্য সেমিস্টারের তিন-চার মাস যথেষ্ট সময় না। এ ছাড়া আমাদের সেমিস্টারে যাওয়ার জন্য যথেষ্ট শিক্ষক ও অবকাঠামো প্রয়োজন, যেটা আমাদের নেই। এ জন্য সেমিস্টার থেকে বর্ষ পদ্ধতিতে ফিরতে চাচ্ছি। এ দাবি আদায়ের জন্য আজ (বুধবার) থেকে আমরা আমরণ অনশনে বসছি। যতদিন পর্যন্ত না আমাদের দাবি আদায় হচ্ছে, অনশন চালিয়ে যাব।

আইন ও ভূমি প্রশাসন বিভাগের ২০২৩-২৪ শিক্ষাবর্ষের শিক্ষার্থী সাদিয়া আফরিন লিপু বলেন, সেমিস্টার পদ্ধতিতে বছরে দুটি সেমিস্টার শেষ করতে হয়। তবে যে পরিমাণ পাঠ্যসূচি দেওয়া হয়, তা মাত্র ছয় মাসে শেষ করা সম্ভব নয়। রাবি আইন অনুষদের সুনাম দেশব্যপী রয়েছে। কিন্তু হঠাৎ করে সেমিস্টার পদ্ধতিতে ছয় মাসে যা শেখানো হয়, তার কিছুই পেশাগত জীবনে প্রয়োগ করা সম্ভব না। এর ফলে আমাদের যথাযথ শিক্ষা থেকে আমরা বঞ্চিত হচ্ছি। ভবিষ্যতে আমাদের অনুষদের সুনাম বজায় রাখতে পারব কি না, এ বিষয়ে আমরা সন্দিহান। তাই আমরা সেমিস্টারে নয়, বর্ষ পদ্ধতিতে পড়তে চাই।

বিজ্ঞাপন

এ বিষয়ে জানতে চাইলে রাবি উপাচার্য অধ্যাপক সালেহ্ হাসান নকীব বলেন, আমি দ্রুত সময়ের মধ্যে একটি জরুরি একাডেমিক কাউন্সিল ডাকব বলে অনশরত শিক্ষার্থীদের আশ্বস্ত করেছি। একাডেমিক কাউন্সিলে বিষয়টি আবারও উত্থাপন করব। তারপর কাউন্সিল থেকে সিদ্ধান্ত নেওয়া হবে তাদের দাবির বিষয়ে। এ বিষয়ে আমার পক্ষ থেকে যথা সাধ্য চেষ্টা করব।

সারাবাংলা/টিআর

আইন অনুষদ আমরণ অনশন রাজশাহী রাজশাহী বিশ্ববিদ্যালয় রাবি রাবি আইন অনুষদ

বিজ্ঞাপন

আরো

সম্পর্কিত খবর