৩ সন্তানের পর দগ্ধ বাবার মৃত্যু
৩১ অক্টোবর ২০২৪ ১১:২১ | আপডেট: ৩১ অক্টোবর ২০২৪ ১২:৪৯
ঢাকা: নারায়ণগঞ্জের রূপগঞ্জে গ্যাস লাইন লিকেজ থেকে বিস্ফোরণে শিশুসহ একই পরিবারের ছয়জন দগ্ধের ঘটনায় দুই ভাই ও বোনের পর এবার চিকিৎসাধীন বাবা বাবুল মিয়ার (৪০) মৃত্যু হয়েছে। এ ঘটনায় এ নিয়ে চারজনের মৃত্যু হলো।
বৃহস্পতিবার (৩১ অক্টোবর) ভোর পৌনে ৫টার দিকে শেখ হাসিনা জাতীয় বার্ন ও প্লাস্টিক সার্জারি ইনস্টিটিউটে চিকিৎসাধীন অবস্থায় মারা যান।
এর আগে, মঙ্গলবার (২৯ অক্টোবর) সন্ধ্যায় তাসলিমা মেয়ে (৯), ভোর পৌনে ৬টার দিকে ছেলে ইসমাইল (১১) ও সকাল ৯টার দিকে অপর ছেলে সোহেল মিয়া (২০) চিকিৎসাধীন মারা যায়।
জাতীয় বার্ন ইনস্টিটিউটের আবাসিক সার্জন তরিকুল ইসলাম বাবুল মিয়ার মৃত্যুর বিষয়টি নিশ্চিত করে জানান, রুপগঞ্জ থেকে আসা একই পরিবারের ছয়জনের মধ্যে বাবুল মিয়া নামে আরও একজন মারা গেছেন। তার শরীরের ৬৬ শতাংশ দগ্ধ হয়েছিল।
বর্তমানে সেলি বেগম ৩০ শতাংশ ও সোহেলের স্ত্রী মুন্নি ২০ শতাংশ দগ্ধ নিয়ে ভর্তি আছেন। তবে তাদের দুইজনের অবস্থাও আশংকাজনক বলে জানান সার্জন তরিকুল ইসলাম।
এর আগে গত শুক্রবার (২৫ অক্টোবর) রাত পৌনে ১১টার দিকে রূপগঞ্জ ডহরগাঁও গ্রামে গ্যাস লাইন লিকেজ থেকে বিস্ফোরণের ঘটনাটি ঘটে। এতে দগ্ধ হয় মো. বাবুল মিয়া (৪০), তাঁর স্ত্রী সেলি বেগম (৩৫) ছেলে মো. সোহেল মিয়া (২০), মো. ইসমাইল হোসেন (১১) মেয়ে তাসলিমা আক্তার (৯) ও সোহেলের স্ত্রী মুন্নি খাতুন (১৮)।
গ্ধ বাবুলের চাচাতো ভাই এনামুল হক বলেন, তাদের গ্রামের বাড়ি হবিগঞ্জ জেলার নবীগঞ্জ থানার সুজাপুর গ্রামে। বর্তমানে নারায়ণগঞ্জ রূপগঞ্জ থানার ডহরগাঁও এলাকার ওই বাসায় নিচতলায় ভাড়া থাকতেন। বাবুল রাজমিস্ত্রি। স্ত্রী সেলি একটি পোশাক কারখানায় কাজ করেন। সোহেল ফকির ফ্যাশন নামে একটি পোশাক কারখানায় কাজ করতেন। সোহেলের স্ত্রী মুন্নি গৃহিণী এবং ইসমাইল ও তাসলিমা বাসাতেই থাকত।
সারাবাংলা/এসএসআর/ইআ