পোষ্য কোটা বাতিল চায় রাবি শিক্ষার্থীরা
৩১ অক্টোবর ২০২৪ ১৪:৪৫
রাবি: পোষ্য কোটা সম্পূর্ণ বাতিলসহ তিন দাবিতে উপাচার্য বরাবর স্মারকলিপি দিয়েছে রাজশাহী বিশ্ববিদ্যালয়ের (রাবি) শিক্ষার্থীরা।
বৃহস্পতিবার (৩১ অক্টোবর) সকালে বিশ্ববিদ্যালয়ের উপাচার্য অধ্যাপক সালেহ্ হাসান নকীবের হাতে স্মারকলিপি তুলে দেন বৈষম্য বিরোধী ছাত্র-আন্দোলনের সমন্বয়ক সালাউদ্দিন আম্মারসহ কয়েকজন শিক্ষার্থী।
শিক্ষার্থীদের অন্য দুটি দাবি- মুক্তিযোদ্ধাদের নাতি-নাতনি কোটা বাতিল করা। সন্তান কোটা থাকলেও তা সর্বোচ্চ এক শতাংশ করা অপরটি ভর্তি পরীক্ষার আবেদন ফি কমানোর দাবি।
স্মারকলিপিতে শিক্ষার্থীরা উল্লেখ করেছেন, ‘বিশ্ববিদ্যালয় জীবনে আমরা বিভিন্ন ধরনের বৈষম্যের শিকার হয়েছি, যার মধ্যে অন্যতম হলো অযৌক্তিক কোটা পদ্ধতি। এই কোটা বৈষম্যের প্রতিবাদেই বিগত জুলাই বিপ্লবের ইতিহাস রচিত হয়েছে। তাই আমরা স্বাধীন বাংলাদেশের স্বাধীন ক্যাম্পাসে আর কোনো প্রকার অযৌক্তিক কোটা পদ্ধতি দেখতে চাই না।’
স্মারকলিপিতে তারা আরও বলেছেন, ‘বিগত ২০২৩-২৪ শিক্ষাবর্ষে ৫৩৪ জন, ২০২২-২৩ শিক্ষাবর্ষে ৫৩৭ জন এবং ২০২১-২২ শিক্ষাবর্ষে ৬২১ জন শিক্ষার্থী কোটার মাধ্যমে রাজশাহী বিশ্ববিদ্যালয়ে ভর্তি হয়েছে। যার একটি বড় অংশ অযৌক্তিক পোষ্য কোটা ও মুক্তিযোদ্ধাদের নাতি-নাতনি কোটা। আমরা এই দুইটি সম্পূর্ণ অযৌক্তিক কোটা অবিলম্বে বাতিলের দাবি জানাই। পাশাপাশি, গত কয়েক বছর ধরে ভর্তি পরীক্ষার আবেদন ফি অস্বাভাবিকভাবে বৃদ্ধি পেয়েছে। এই ফি কমানোরও দাবি জানাচ্ছি।’
এ বিষয়ে বৈষম্য বিরোধী ছাত্র-আন্দোলনের সমন্বয়ক সালাউদ্দিন আম্মার বলেন, ‘বিশ্ববিদ্যালয় থেকে পোষ্য কোটাসহ সকল অযৌক্তিক কোটা বাতিলের দাবিতে উপাচার্যের কাছে স্মারকলিপি জমা দিয়েছি। তবে মুক্তিযোদ্ধার সন্তান কোটা যদি রাখাও হয় সেটা সর্বোচ্চ এক শতাংশ রাখতে হবে বলে জানিয়েছি। এছাড়া বিশ্ববিদ্যালয়ের ভর্তি পরীক্ষার আবেদন ফি কমানোর জন্য দাবি করেছি। উপাচার্য দ্রুত একাডেমিক কাউন্সিলের সভা ডেকে এ বিষয়টি উত্থাপন করবেন বলে আমাদের আশ্বস্ত করেছেন।’
বিশ্ববিদ্যালয়ের উপাচার্য অধ্যাপক সালেহ্ হাসান নকীব বলেন, ‘শিক্ষার্থীরা আমার কাছে পোষ্য কোটা বাতিলসহ কয়েকটি দাবিতে আমার কাছে স্মারকলিপি জমা দিয়েছে। আমি তাদের স্মারকলিপি গ্রহণ করেছি। এ বিষয়ে একটি জরুরি একাডেমিক কাউন্সিল সভা ডাকবো বলে তাদের জানিয়েছি। সভায় শিক্ষার্থীদের আবেদনের বিষয়টি তুলে ধরা হবে। আমি আশাবাদী, শিক্ষার্থীদের যাতে ভালো হয় এমন সিদ্ধান্তই আসবে।’
সারাবাংলা/এসআর