বিশাল হারে সিরিজে হোয়াইটওয়াশ হলো বাংলাদেশ
৩১ অক্টোবর ২০২৪ ১৬:৫৬
চট্টগ্রাম টেস্টের তৃতীয় দিনের মাঝপথে প্রথম ইনিংসে অলআউট হয়েছিল বাংলাদেশ। ১৫৯ রানে অলআউট হয়ে ফলো-অনে পড়ে আবারো ব্যাটিংয়ে নামেন শান্তরা। দ্বিতীয় ইনিংসেও দক্ষিণ আফ্রিকার বোলিং তোপে মাত্র ১৪৩ রানেই গুটিয়ে গেছে বাংলাদেশ। আর এতেই সিরিজের দ্বিতীয় টেস্টে ইনিংস ও ২৭৩ রানের বিশাল হারে ২ ম্যাচের সিরিজে হোয়াইটওয়াশ হলো বাংলাদেশ।
দ্বিতীয় ইনিংসে ৪১৬ রানে পিছিয়ে থেকে ব্যাটিংয়ে নেমেছিল বাংলাদেশ। প্রথম ইনিংসের মতো এবারও থিতু হতে পারেননি বাংলাদেশের ব্যাটাররা। প্রথম ইনিংসে বাংলাদেশের ব্যাটিং লাইনআপ ধসিয়ে দিয়েছিলেন প্রোটিয়া পেসাররা। তবে এবার বাংলাদেশের কাল হয়ে দাঁড়িয়েছেন কেশভ মহারাজ ও সেনুরান মুথুসামি। এই দুই বোলারই তুলে নিয়েছেন বাংলাদেশের ৯ উইকেট।
ওপেনার সাদমানকে ফিরিয়ে প্রথম আঘাত হানেন ড্যান প্যাটারসন। ৬ রান করা সাদমান ভেরেইনের হাতে ক্যাচ দিয়ে প্যাভিলিয়নে ফিরলে শুরু হয় বাংলাদেশের ব্যাটারদের যাওয়া আসার মিছিল। আরেক ওপেনার জয় ১১ রানে আউট হয়েছেন মুথুসামির বলে মার্করামের হাতে ক্যাচ দিয়ে।
প্রথম ইনিংসে ৮২ রান করা মোমিনুল হক এবার রানের খাতাই খুলতে পারেননি। শূন্য রানে মোমিনুলকে ফিরিয়েছেন মহারাজ। ৭ রানে ফিরেছেন জাকির, তিনি আউট হয়েছেন মুথুসামির বলে স্ট্যাম্পিং হয়ে। আগের ইনিংসে ব্যর্থ মুশফিকুর রহিম এবারও দুই অংক ছুঁতে পারেননি। ২ রান করা মুশফিক ফিরেছেন মুথুসামির বলে এলবিডব্লিউয়ের ফাঁদে পড়ে। ৪৭ রানে ৫ উইকেট হারিয়ে ধুঁকছিল বাংলাদেশ।
এক প্রান্ত আগলে রেখে লড়াইটা চালিয়ে যাচ্ছিলেন অধিনায়ক শান্ত। আগের ইনিংসে শূন্য রানে ফেরা মাহিদুল ইসলামও এবার বড় ইনিংসের আভাস দিচ্ছিলেন, তবে শেষ পর্যন্ত করেছেন ২৯ রান। তবে দলের সর্বোচ্চ স্কোর এসেছে ১০ নম্বরে নামা হাসান মাহমুদের ব্যাট থেকে। ১ চার ও ৪ ছক্কায় ৩০ বলে ৩৮ রানে অপরাজিত ছিলেন হাসান।
৩৬ রান করা শান্তকে ফিরিয়েছেন মুথুসামি, জর্জির হাতে ক্যাচ দিয়ে ফিরেছেন শান্ত। মাহিদুল ২৯ রানে আউট হয়েছেন মহারাজের বলে রাবাদার হাতে ক্যাচ দিয়ে। ৫৯ রানে ৫ উইকেট নিয়ে ইনিংসের সেরা বোলার মহারাজ। ৪৫ রানে ৪ উইকেট নিয়েছেন মুথুসামি।
শেষ পর্যন্ত দ্বিতীয় ইনিংসে ১৪৩ রানে গুটিয়ে গেছে বাংলাদেশ। ইনিংস ও ২৭৩ রানে ম্যাচ জিতে ২-০ ব্যবধানে সিরিজ নিশ্চিত করেছে দক্ষিণ আফ্রিকা। এটাই তাদের টেস্ট ইতিহাসের সবচেয়ে বড় জয়। বাংলাদেশের টেস্ট ইতিহাসে এটি দ্বিতীয় বড় হারের লজ্জার রেকর্ড।
সারাবাংলা/এফএম