১৪ দিন শেষ হয়নি ৮৪ দিনেও, অপেক্ষায় চট্টগ্রাম নগর বিএনপি
১ নভেম্বর ২০২৪ ১৩:২০
চট্টগ্রাম ব্যুরো: চট্টগ্রাম মহানগর বিএনপির পূর্ণাঙ্গ আহ্বায়ক কমিটি করতে তোড়জোড় চলছে। চলতি বছরের ৭ জুলাই কেন্দ্র থেকে দুই সদস্যবিশিষ্ট আহ্বায়ক কমিটি ঘোষণার পর ১৪ দিনের মধ্যে পূর্ণাঙ্গ করার নির্দেশনা ছিল। কিন্তু ৮৪ দিন পেরিয়ে গেলেও কমিটি না দেওয়ায় ক্ষোভ দেখা দিয়েছে দলটির নেতাকর্মীদের মাঝে। পূর্ণাঙ্গ কমিটির অপেক্ষায় তাই দিন গুণছেন নগর বিএনপির নেতাকর্মীরা।
নেতাকর্মীদের অভিযোগ, বিএনপির কেন্দ্রীয় কমিটির এক সিনিয়র নেতা কমিটি হতে দিচ্ছেন না। নিজের কাছের মানুষদের পদ পাইয়ে দিতে তিনি কমিটি আটকে রেখেছেন। নগর বিএনপির আহ্বায়ক এরশাদ উল্লাহ ও সদস্যসচিব নাজিমুর রহমানও তাদের বলয়ের নেতাকর্মীদের কমিটিতে আনতে তোড়জোড় চালাচ্ছেন। এজন্যই তারা কমিটি দিতে দেরি করছেন।
গত ৭ জুলাই নগর বিএনপির মেয়াদোত্তীর্ণ আহ্বায়ক কমিটি বিলুপ্ত করার পর দুই সদস্যের নতুন সংক্ষিপ্ত আহ্বায়ক কমিটি গঠন করা হয় কেন্দ্র থেকে। এতে আহ্বায়কের দায়িত্ব পান বিলুপ্ত কমিটির সদস্য এরশাদ উল্লাহ। আর সদস্য সচিব করা হয় নাজিমুর রহমানকে, যিনি নগর ছাত্রদলের সাবেক সভাপতি ও বিলুপ্ত কমিটির যুগ্ম আহ্বায়ক ছিলেন। এর আগে ১৩ জুন বিলুপ্ত ঘোষণা করা হয় ডা. শাহাদাত হোসেন ও আবুল হাশেম বক্করের নেতৃত্বাধীন ৩৯ সদস্যের আহ্বায়ক কমিটি।
নাম প্রকাশ করতে অনিচ্ছুক নগর বিএনপির এক নেতা সারাবাংলাকে বলেন, ‘যাদের বিরুদ্ধে আগে থেকে বিভিন্ন অভিযোগ আছে তাদের বাদ দেওয়ার চেষ্টা হচ্ছে। এছাড়া, কেন্দ্রীয় বিএনপির এক সিনিয়র নেতা কমিটি আটকে রেখেছেন। তিনি চাচ্ছেন তার অনুসারীদের কমিটিতে স্থান দিতে। কমিটির আহ্বায়ক ও সদস্য সচিবও নিজেদের লোককে কমিটিতে রাখতে চাচ্ছেন।’
বিএনপির ওই নেতা আরও বলেন, ‘দুঃসময়ে যারা রাজপথে থেকে বিএনপির রাজনীতি করেছেন তাদেরকেও বাদ দেওয়ার ষড়যন্ত্র চলছে। তাছাড়া চট্টগ্রামের মতো জায়গায় ৫১ জনের কমিটি মিলাতেও হিমশিম খেতে হচ্ছে। তাই কমিটি দিতে দেরি হচ্ছে।’
অভিযোগ অস্বীকার করে নগর বিএনপির সদস্য সচিব নাজিমুর রহমান সারাবাংলাকে বলেন, ‘ব্যক্তিগত কারও অনুসারী কমিটিতে জায়গা পাবে না। শুধুমাত্র জিয়াউর রহমানের অনুসারীদের জায়গা হবে কমিটিতে। দুঃসময়ে যারা বিএনপির পাশে ছিল তাদের কমিটিতে জায়গা হবে।’
নাজিমুর রহমান আরও বলেন, ‘আহ্বায়ক কমিটিকে পূর্ণাঙ্গ করতে আমাদের ১৪ দিন সময় দিলেও বিভিন্ন সমস্যার কারণে সেটা করতে পারেনি। তার মধ্যে অন্যতম ছিল বৈষম্যবিরোধী ছাত্র-আন্দোলন ও ৫ আগস্ট স্বৈরাচারী আওয়ামী লীগ সরকারের পতন। এর পর দেশে বন্যা দেখা দেয়। দলের ভেতরেও কিছু সমস্যা ছিল। সব মিলিয়ে কমিটি করা যায়নি। তবে খুব শিগগিরই কমিটি দেওয়া হবে।’
সারাবাংলা/আইসি/পিটিএম