ব্যক্তিগত কাজে বাইরে পাট উন্নয়ন কর্মকর্তা, তালাবদ্ধ কার্যালয়
১ নভেম্বর ২০২৪ ০৮:৩৭
সিরাজগঞ্জ: দুপুরে অফিস তালা দিয়ে পাট অধিদপ্তরের সিরাজগঞ্জের বেলকুচি উপজেলা অফিসের দায়িত্বে থাকা উপ-সহকারী পাট উন্নয়ন কর্মকর্তা এরশাদ আলী দুই উপজেলা ফাঁকে সলঙ্গা থানার হাটিকুমরুল গোলচত্বর এলাকায় গেছেন তার নিজের ব্যক্তিগত কাজে। অকপটে সেই কথা স্বীকারও করলেও অফিস তালা দিয়ে যাওয়ার কথা অস্বীকার করেছেন তিনি।
বৃহস্পতিবার (৩১ অক্টোবর) দুপুর সোয়া ১টার দিকে পাট অধিদপ্তরের সিরাজগঞ্জের বেলকুচি উপজেলা অফিসের দায়িত্বে থাকা উপ-সহকারী পাট উন্নয়ন কর্মকর্তার কার্যালয়ে গিয়ে এই দৃশ্য দেখা যায়। এসময়ে স্বাভাবিকভাবেই অফিসে এসে তালাবদ্ধ দেখে ফিরে যান সেবাপ্রার্থীরা।
এব্যাপারে ওই কার্যালয়ের অফিস সহকারী জয় কুমার মাহাতো মুঠোফোনে বলেন, ‘স্যার আর আমি একসঙ্গেই অফিস তালা দিয়ে বের হই। স্যার সিরাজগঞ্জ রোডে চলে যান এবং আমি উপজেলা কৃষি অফিসে একটা কাজে যাই। এরপরে কৃষি অফিসের কাজ শেষ করে দুপুরের খাবার খেয়ে এসে শুনি আপনারা এসেছিলেন। জনবল কম থাকায় তখন অফিস তালাবদ্ধ ছিল।’
এব্যাপারে জানতে চাইলে পাট অধিদপ্তরের সিরাজগঞ্জের বেলকুচি উপজেলা কার্যালয়ের দায়িত্বে থাকা উপ-সহকারী পাট উন্নয়ন কর্মকর্তা এরশাদ আলী মুঠোফোনে বলেন, আমি ব্যাক্তিগত একটা কাজে সিরাজগঞ্জ রোডে (হাটিকুমরুল গোলচত্বর) এসেছি।’
অফিস টাইমে অফিস তালাবদ্ধ রাখার বিষয়ে জানতে চাইলে তিনি বলেন, ‘আমি একটা ব্যক্তিগত কাজে এখানে আসলেও অফিস খোলা থাকার কথা। হয়তো যে দায়িত্বে আছে সে কৃষি অফিসে গিয়েছে।’
তথ্য আছে আপনার বাড়ি পাবনা জেলায় এবং আপনি অফিস ফাঁকি দিয়ে বাড়ি চলে যাচ্ছেন এমন প্রশ্নের উত্তরে তিনি বলেন, আমি বাড়ি যাব তবে সন্ধ্যায়।
এব্যাপারে বেলকুচি উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তা (ইউএনও) আফিয়া সুলতানা কেয়া বলেন, ‘বিষয়টি আমি জানিনা, তবে প্রত্যেকটা কর্মকর্তারই সরকারি যে নিয়মগুলো আছে সেটা মেনে চলা উচিৎ।’
এব্যাপারে জেলা পাট উন্নয়ন কর্মকর্তা মো. নাজমুল হক বলেন, ‘তাকে নির্ধারিত সময় পর্যন্ত অফিস করতে হবে এটাই নিয়ম এবং তিনি সেটা করতে বাধ্য। যদি এর ব্যত্যয় হয় তাহলে তিনি অপরাধ করেছেন। এছাড়াও অফিস টাইমে কার্যালয় বন্ধ রাখার কোনো সুযোগ নেই। আমি অসুস্থ থাকায় ছুটিতে আছি। বিষয়টি খোঁজ নিয়ে ব্যবস্থা নিব।’
সারাবাংলা/এনজে