৫০ বছরে হ্যালো কিটি: কিউটনেসের রাজত্ব
১ নভেম্বর ২০২৪ ১৩:২৪
বাচ্চাদের মতো দেখতে হলেও, হ্যালো কিটি এখন পঞ্চাশ বছরে পা দিয়েছে। মাত্র তিনটি আপেলের ওজন ও পাঁচটি আপেলের সমান উচ্চতা—এই ছোট্ট বিড়াল কিটি হোয়াইট বা হ্যালো কিটি।
শুক্রবার (০১ নভেম্বর) জাপানি পণ্য প্রস্তুতকারী প্রতিষ্ঠান সানরিওর জনপ্রিয় চরিত্র হ্যালো কিটির ৫০তম জন্মদিন পালিত হচ্ছে।
১৯৭৪ সালে সানরিও কোম্পানিই প্রথম হ্যালো কিটি তৈরির মাধ্যমে ‘কাওয়াই’ বা জাপানি কিউটনেস ধারণাকে প্রতিষ্ঠিত করে। হ্যালো কিটির পুরো নাম কিটি হোয়াইট।
বিগত কয়েক দশকে হ্যালো কিটি ইউনিসেফের দূত, জাপানের পররাষ্ট্র মন্ত্রণালয়ের বিশেষ দূত এবং রেস্তোরাঁ, ক্যাফে, পার্ক, এমনকি একটি মাতৃত্ব হাসপাতালের আইকন হয়ে উঠেছে।
হ্যালো কিটি এই পর্যন্ত তার কোম্পানি সানরিওর জন্য আনুমানিক ৮০ বিলিয়ন ডলার আয় করেছে যা বাংলাদেশি প্রায় ৯ লাখ ৫৪ হাজার কোটি টাকার সমতুল্য। যা তাকে পোকেমন, মিকি মাউস এবং উইনি দ্য পুহ-এর মতো জনপ্রিয় ফ্র্যাঞ্চাইজিগুলোর কাতারে স্থান দিয়েছে।
প্রথমে শিশুদের সামগ্রী ও স্টেশনারির জন্য তৈরি করা হয়েছিল এই চরিত্রটি। তবে, কিটি শিগগিরই জনপ্রিয়তার শীর্ষে উঠে আসে। কিটির প্রাথমিক ডিজাইনার ইউকো শিমিজু ছিলেন, যিনি তাকে একটি কিউট বিড়ালছানা হিসেবে প্রথম অঙ্কন করেন। পরবর্তীতে ইউকো ইয়ামাগুচি প্রায় ৪৫ বছর ধরে চরিত্রটির নকশার দায়িত্ব পালন করেন এবং হ্যালো কিটিকে বিভিন্ন রূপে উপস্থাপন করেন, যা তাকে একটি সাংস্কৃতিক আইকনে পরিণত করে।
হ্যালো কিটির জনপ্রিয়তা ১৯৮০-এর দশকে জাপানের কিশোর-কিশোরীদের মধ্যে ব্যাপকভাবে ছড়িয়ে পড়ে। তারপর থেকে সে শুধু শিশুদের জন্য নয় বরং প্রাপ্তবয়স্কদের জন্যও বিভিন্ন পণ্যে স্থান পায়। এমনকি ৯০-এর দশকে জাপানের অর্থনীতিতে স্থবিরতার পর সানরিও আন্তর্জাতিকভাবে তার ব্যবসা প্রসারিত করে এবং আমেরিকাসহ বিভিন্ন দেশে তার জনপ্রিয়তা ছড়িয়ে দেয়।
আজকের দিনে, হ্যালো কিটি শুধুমাত্র সানরিওর আয়ের একটি অংশ হিসেবেই নয়, বরং বৈশ্বিক কিউটনেসের এক চিরন্তন প্রতীক হিসেবে উপস্থাপিত হয়। শিল্পী ইউকো ইয়ামাগুচি আশা করেন, হ্যালো কিটি একদিন তার ১০০তম জন্মদিন উদযাপন করবে এবং বিশ্বজুড়ে তার বন্ধুদের আনন্দ দান করবে।