মিসাইলে নতুন রেকর্ড উ.কোরিয়ার, আঘাত হানতে পারে যুক্তরাষ্ট্রেও
১ নভেম্বর ২০২৪ ১৪:১৩
উত্তর কোরিয়ার নিক্ষেপ করা দীর্ঘ আন্তঃমহাদেশীয় ক্ষেপণাস্ত্র নতুন রেকর্ড গড়েছে। এই ক্ষেপণাস্ত্র রেকর্ড ৮৬ মিনিট আকাশে থেকে দেশের পূর্বাঞ্চলের সাগরে পতিত হয়েছে। বিশেষজ্ঞরা বলছেন, এমন দূরপাল্লার ক্ষেপণাস্ত্র যুক্তরাষ্ট্রের ভূখণ্ডে পর্যন্ত আঘাত হানতে সক্ষম।
বিবিসির খবরে বলা হয়েছে, দক্ষিণ কোরিয়া ও জাপান এই ক্ষেপণাস্ত্রের নতুন রেকর্ড গড়ার তথ্য নিশ্চিত করেছ। দেশ দুটি বলছে, এর আগে, ২০২৩ সালের ডিসেম্বরে উত্তর কোরিয়া তাদের আন্তঃমহাদেশীয় ক্ষেপণাস্ত্র পরীক্ষা করেছিল, যা প্রায় ৭৩ মিনিট আকাশে ছিল এবং এক হাজার কিলোমিটার দূরত্ব অতিক্রম করেছিল। এবারের ক্ষেপণাস্ত্রটি কিছুটা উঁচু কোণ থেকে নিক্ষেপ করা হয়, যা প্রায় সাত হাজার কিলোমিটার উচ্চতা অতিক্রম করেছে। আরেকটু নিচু কোণে নিক্ষেপ করা হলে এটি আরও দীর্ঘ পথ অতিক্রম করতে পারত।
এর আগে ২০২৩ সালের ডিসেম্বরে উত্তর কোরিয়া আরেকটি আন্তঃমহাদেশীয় ক্ষেপণাস্ত্র পরীক্ষা চালিয়েছিল। সেবার ক্ষেপণাস্ত্রটি প্রায় ৭৩ মিনিট আকাশে ছিল এবং এক হাজার কিলোমিটার দূরত্ব অতিক্রম করেছিল।
দক্ষিণ কোরিয়া পূর্বেই আশঙ্কা প্রকাশ করেছিল, যুক্তরাষ্ট্রের নির্বাচনের সময়ে উত্তর কোরিয়া বড় ধরনের মিসাইল পরীক্ষা চালাতে পারে।
দক্ষিণ কোরিয়ার প্রতিরক্ষা মন্ত্রণালয়ের মতে, উত্তর কোরিয়ার এ ধরনের পরীক্ষার উদ্দেশ্য এমন এক ধরনের অস্ত্র তৈরি করা যা অধিক উচ্চতা থেকে অনেক দূর পর্যন্ত আঘাত হানতে সক্ষম। মিসাইল পরীক্ষার পর উত্তর কোরিয়ার নেতা কিম জং-উন রাষ্ট্রীয় টেলিভিশনে এই পদক্ষেপকে ‘শত্রুদের প্রতি শক্ত জবাব’ হিসেবে উল্লেখ করেছেন এবং সামরিক শক্তি আরও শক্তিশালী করার প্রতিশ্রুতি ব্যক্ত করেছেন।
বিশ্লেষকরা বলছেন, উত্তর কোরিয়া তাদের মিসাইল ভাণ্ডার আরও সমৃদ্ধ করতে চায়। ইউনিভার্সিটি অব নর্থ কোরিয়ান স্টাডিজ-এর অধ্যাপক কিম ডং ইয়াপ মনে করেন, ‘উত্তর কোরিয়া এমন মিসাইল তৈরি করছে যা আমেরিকার মূল ভূখণ্ডে আঘাত হানতে সক্ষম হবে।’
যুক্তরাষ্ট্র উত্তর কোরিয়ার এই কর্মকাণ্ডের সমালোচনা করে বলেছে, ‘এই ক্ষেপণাস্ত্র পরীক্ষা প্রমাণ করে যে তারা নিষেধাজ্ঞা অমান্য করে জনকল্যাণের পরিবর্তে অবৈধ অস্ত্র উন্নয়নে আগ্রহী।’
দক্ষিণ কোরিয়া উত্তর কোরিয়ার এই পদক্ষেপের জবাবে নতুন নিষেধাজ্ঞার হুমকি দিয়েছে এবং জাতিসংঘ মহাসচিব অ্যান্তনিও গুতেরেসও এই পরীক্ষার নিন্দা জানিয়েছেন।
সারাবাংলা/এনজে