যুক্তরাষ্ট্রে আগাম ভোট দিয়েছেন ৬ কোটির বেশি মানুষ
১ নভেম্বর ২০২৪ ১৫:৫৮
যুক্তরাষ্ট্রের প্রেসিডেন্ট নির্বাচন আগামী ৫ নভেম্বর হলেও এরই মধ্যে ছয় কোটিরও বেশি মানুষ আগাম ভোট দিয়েছেন।
যুক্তরাষ্ট্রের প্রতিটি রাজ্যে ভোটের দিন ভিড় কমাতে ও ভোটারদের সুবিধার্থে আগাম ভোটের ব্যবস্থা রাখা হয়েছে। ইউনিভার্সিটি অফ ফ্লোরিডার ইলেকশন ল্যাবের তথ্য অনুযায়ী, এই সুবিধা কাজে লাগিয়ে ব্যাপক সংখ্যক ভোটার আগাম ভোটে অংশ নিয়েছেন।
ইলেকশন ল্যাবের দায়িত্বপ্রাপ্ত অধ্যাপক মাইকেল ম্যাকডোনাল্ড জানিয়েছেন, তিনি কলোরাডো, জর্জিয়া, মিশিগান, নর্থ ক্যারোলিনা, ভার্জিনিয়া সহ ছয়টি রাজ্যের ডেটা বিশ্লেষণ করে দেখেছেন যে এবারের নির্বাচনে প্রায় ছয় কোটি ২০ লাখ ভোটার আগাম ভোট দিয়েছেন। ২০২০ সালের নির্বাচনের তুলনায় এবার আর্লি ভোটিংয়ে ভোটারদের অংশগ্রহণ ৪০ শতাংশ বেশি।
নর্থ ক্যারোলিনা ও জর্জিয়া সহ গুরুত্বপূর্ণ সুইং স্টেটগুলোতে প্রায় ৪৫ শতাংশ নিবন্ধিত ভোটার ইতোমধ্যেই ভোট দিয়েছেন। যুক্তরাষ্ট্রের এই সুইং স্টেটগুলো সাধারণত নির্বাচন নির্ধারণে বড় ভূমিকা পালন করে, কারণ এ রাজ্যগুলোর ভোটের ফলে প্রার্থীদের জয়-পরাজয়ের সম্ভাবনা বাড়ে।
এবারের নির্বাচনে প্রার্থীদের মধ্যে কড়া প্রতিযোগিতা চলছে। বিশেষ করে ট্রাম্প ও হ্যারিসের মধ্যে হাড্ডাহাড্ডি লড়াইয়ের আভাস পাওয়া যাচ্ছে। আগাম ভোটিংয়ের অংশগ্রহণ থেকে বোঝা যাচ্ছে, ভোটারদের মধ্যে এই নির্বাচন নিয়ে বিশেষ আগ্রহ রয়েছে।
জর্জিয়ার সেক্রেটারি অফ স্টেট ব্র্যাড রাফেন্সপার্জার সংবাদমাধ্যম সিএনএনকে জানিয়েছেন, ‘দুই দলের ভোটাররা অত্যন্ত উৎসাহী। আমরা ভোটিং প্রক্রিয়াটি সঠিক ও ন্যায্য নিশ্চিত করতে চাই।’ বিশেষজ্ঞদের মতে, আগাম ভোটদানকারীদের মধ্যে ৫৫ শতাংশ নারী ও ৪৫ শতাংশ পুরুষ রয়েছেন।
ইউরোপের দেশগুলোতেও এ নির্বাচনের প্রতিক্রিয়া পাওয়া যাচ্ছে। যদি ইউরোপের মানুষ মার্কিন নির্বাচনে ভোট দিতে পারত, তবে পশ্চিম ইউরোপের ৬৯ শতাংশ এবং পূর্ব ইউরোপের ৪৯ শতাংশ মানুষ হ্যারিসকে সমর্থন করতেন। ট্রাম্প পশ্চিম ইউরোপে ১৬ শতাংশ এবং পূর্ব ইউরোপে ৩৬ শতাংশ ভোট পেতেন বলে নোভাস ও গ্যালাপের জরিপে উঠে এসেছে।
ডেনমার্ক ও ফিনল্যান্ডে হ্যারিসের জনপ্রিয়তা সবচেয়ে বেশি আর অন্যদিকে সার্বিয়া ও হাঙ্গেরিতে ট্রাম্পের সমর্থক বেশি।
হাঙ্গেরির প্রেসিডেন্ট অরবান ইতিমধ্যেই ট্রাম্পকে শুভকামনা জানিয়েছেন, যা ইউরোপে ট্রাম্পের অনুগামীদের মধ্যে তার অবস্থানকেও প্রতিফলিত করে।
সারাবাংলা/এনজে