ভাই-বোন-বাবার পর মারা গেলেন মা
১ নভেম্বর ২০২৪ ১৫:৫৮
ঢাকা: নারায়ণগঞ্জের রূপগঞ্জে গ্যাস লাইন লিকেজ থেকে বিস্ফোরণে শিশুসহ একই পরিবারের ছয়জন দগ্ধের ঘটনায় দুই ভাই, বোন, ও বাবার মৃত্যুর পর মা শেলী বেগম (৩৫) চিকিৎসাধীন অবস্থায় বার্ন ইনস্টিটিউটে মারা গেছেন। এই ঘটনায় পাঁচজন মারা গেল।
শুক্রবার (১নভেম্বর) দুপুর ১টার দিকে বার্ন ইনস্টিটিউটের নিবিড় পরিচর্যা কেন্দ্রে মারা যান শেলী বেগম। এরআগে বৃহস্পতিবার ভোর পৌনে ৬টার দিকে মারা যান বাবুল মিয়া (৪০), মঙ্গলবার সন্ধ্যায় তাসলিমা (৯), ভোর পৌনে ৬টার দিকে ইসমাইল (১১) ও সকাল ৯টার দিকে সোহেল মিয়া (২০) মারা যান।
জাতীয় বার্ন ইউনস্টিটিউটের আবাসিক সার্জন ডা. তরিকুল ইসলাম মৃত্যুর বিষয়টি নিশ্চিত করে বলেন, রুপগঞ্জ থেকে আসা একই পরিবারের ছয়জনের মধ্যে শেলী বেগম নামে আরও এক নারী মারা গেছে। তার শরীরের ৩০শতাংস দগ্ধ হয়েছিল। বর্তমানে সোহেলের স্ত্রী মুন্নি ২০ শতাংশ দগ্ধ নিয়ে ভর্তি আছেন। তার অবস্থাও আশঙ্কাজনক।
এরআগে শুক্রবার (২৫ অক্টোবর) রাত পৌনে ১১টার দিকে রুপগঞ্জ ডহরগাঁও গ্রামে ঘটনাটি ঘটে। এতে দগ্ধ হয় মো. বাবুল মিয়া (৪০), স্ত্রী শেলী বেগম (৩৫) ছেলে মো. সোহেল মিয়া (২০), মো. ইসমাইল হোসেন (১১) মেয়ে তাসলিমা আক্তার (৯) ও সোহেলের স্ত্রী মুন্নি খাতুন (১৮)।
দগ্ধ বাবুলের চাচাত ভাই এনামুল হক বলেন, তাদের গ্রামের বাড়ি হবিগঞ্জ জেলার নবীগঞ্জ থানার সুজাপুর গ্রামে। বর্তমানে নারায়ণগঞ্জ রূপগঞ্জ থানার ডহরগাঁও এলাকার ওই বাসায় নিচতলায় ভাড়া থাকতেন। বাবুল রাজ মিস্ত্রীর করতেন। স্ত্রী শেলী এনজেড নামে পোশাক কারখানায় কাজ করে। সোহেল ফকির ফ্যাশন নামে একটি পোশাক কারখানায় কাজ করে। সোহেলের স্ত্রী মুন্নি গৃহীনি। ইসমাইল ও তাসলিমা বাসাতেই থাকত।
তিনি আরো বলেন, তারা ওই বাসার পাশাপাশি রুমে ছিল। ঘরে সরকারি গ্যাসলাইন থাকলেও চাচা বাবুলের ঘরে গ্যাস টেনে আনার জন্য একটি কম্প্রেসার মেশিন আছে। রাতে তারা খাওয়া দাওয়া করে ঘুমিয়ে পড়েন। হঠাৎ কম্প্রেসার মেশিনে বিকট শব্দে বিস্ফোরণ ঘটে। এতে তারা ছয়জন দগ্ধ হন। পরে প্রতিবেশীরা তাদেরকে বার্ন ইনস্টিটিউটে নিয়ে যায়। তবে কি কারণে বিস্ফোরন ঘটেছে সে বিষয়ে বিস্তারিত জানা যায়নি।
সারাবাংলা/এসএসআর/এমপি