ইসরায়েলের লেজার প্রতিরক্ষা ব্যবস্থা চালুর পরিকল্পনা
২ নভেম্বর ২০২৪ ১২:১৩
ইসরায়েল ‘আয়রন বিম’ লেজার প্রতিরক্ষা ব্যবস্থা আগামী এক বছরের মধ্যে চালু করার পরিকল্পনা করছে, যা তাদের মতে যুদ্ধের ক্ষেত্রে একটি নতুন সূচনা আনবে এবং ক্ষেপণাস্ত্র প্রতিরোধে সহায়তা করবে।
ইসরায়েল চলতি সপ্তাহে রাফায়েল অ্যাডভান্সড ডিফেন্স সিস্টেমস এবং এলবিট সিস্টেমসের সাথে চুক্তিতে ৫০০ মিলিয়ন ডলারেরও বেশি ব্যয় করেছে লেজার প্রতিরক্ষা প্রযুক্তি দ্রুত চালু করার জন্য। এই আয়রন বিম ব্যবস্থাটি উচ্চ-ক্ষমতাসম্পন্ন লেজার ব্যবহার করে ক্ষেপণাস্ত্র, ড্রোন, রকেট এবং মর্টার সহ বিভিন্ন আক্রমণ থেকে সুরক্ষা দেওয়ার জন্য তৈরি করা হয়েছে।
ইসরায়েলের প্রতিরক্ষা মন্ত্রণালয়ের মহাপরিচালক এয়াল জামির বলেন, ‘এটি যুদ্ধের ক্ষেত্রে একটি নতুন যুগের সূচনা করে। ভূমিভিত্তিক এই লেজার ব্যবস্থাটি আগামী এক বছরের মধ্যে সক্রিয় হবে বলে আমরা আশা করছি।’
ইসরায়েল প্রথম ২০২১ সালে আয়রন বিমের একটি প্রোটোটাইপ উন্মোচন করে এবং এর পর থেকে এটি চালু করার লক্ষ্যে কাজ চালাচ্ছে।
এই সিস্টেমটি লেজার রশ্মি ব্যবহার করে লক্ষ্যেবস্তুর গায়ে তাপ সৃষ্টি করে সেটিকে ধ্বংস করতে পারে। আয়রন ডোমের তুলনায়, লেজার ভিত্তিক এই প্রতিরক্ষা ব্যবস্থা আরও দ্রুত, কার্যকরী এবং ব্যয় সাশ্রয়ী হবে বলে বিশেষজ্ঞরা মনে করছেন।
ইসরায়েলের রাফায়েল কোম্পানির মতে, প্রতিটি লেজার ভিত্তিক আক্রমণের খরচ প্রায় শূন্য। লেজার প্রতিরক্ষা ব্যবস্থা ক্ষুদ্র ড্রোন এবং ছোট আক্রমণ প্রতিরোধে বেশি কার্যকর হবে বলে বিশেষজ্ঞদের মত।
বিশেষজ্ঞরা মনে করছেন, আয়রন বিম ইসরায়েলের প্রতিরক্ষার একটি শক্তিশালী স্তর হতে পারে এবং এটি ইরান ও তার মিত্রদের আক্রমণকে বাধা দিতে পারে।
সারাবাংলা/এনজে