৬ বছরেও শেষ হয়নি সেতুর কাজ
৩ নভেম্বর ২০২৪ ০৮:০০
সুনামগঞ্জ: সুনামগঞ্জের তাহিরপুর উপজেলার সীমান্ত এলাকায় মানুষের যাতায়াতের সুবিধা, পর্যটন ও ব্যবসা-বাণিজ্যের প্রসারের লক্ষ্যে যাদুকাটা নদীর ওপর একটি সেতু নির্মাণের কাজ শুরু হয় ২০১৮ সালের ডিসেম্বর মাসে।
ছয় বছর আগে শুরু হলেও এখন পর্যন্ত শেষ হয়নি সেতুটির নির্মাণ কাজ। এই নিয়ে কাজের সময় বাড়ানো হয়েছে চার বার। যেখানে সেতু নির্মাণে সময় লাগে সাধারণত আড়াই বছর। সেখানে ছয় বছরেও এর কাজ শেষ হয়নি।
ভারতের মেঘালয় পাহাড় আর অপরুপ সৌন্দর্যের যাদুকাটা নদী ঘিরে জমে উঠেছে সুনামগঞ্জের পর্যটন শিল্প। সেই শিল্পকে আরোও চাঙ্গা করতে সুনামগঞ্জ ঢাকা-নেত্রকোনার যোগাযোগ ব্যবস্থার উন্নয়নের লক্ষ্যে ২০১৮ সালে শুরু হয় সেতুর নির্মাণ কাজ। এটি তাহিরপুর উপজেলার বাদাঘাট ইউনিয়নের গড়কাটি ও বিন্নাকুলী গ্রামের মধ্য দিয়ে প্রবাহিত যাদুকাটা নদীর ওপর শাহ আরেফিন (র.) ও অদ্বৈত মহাপ্রভু মৈত্রী সেতু।
এই সেতুটি নির্মাণ হলে পর্যটনখাতের নতুন দুয়ার উন্মোচিত হবে এ ভাটির জেলায়। কিন্তু সেতুর কাজ শেষ হয়েও যেন, হচ্ছে না শেষ।
স্থানীয় সরকার প্রকৌশল অধিদফতরের (এলজিইডি) ‘পল্লী সড়কে গুরুত্বপূর্ণ সেতু নির্মাণ’ প্রকল্পের আওতায় প্রায় ৮৬ কোটি ব্যয়ে এই সেতুটি নির্মাণ হচ্ছে।
তমা কনস্ট্রাকশন নামের একটি ঠিকাদারি এই কাজটি করছে। ২০১৮ সালের ৪ ডিসেম্বর সেতু নির্মাণের কাজ শুরু হয়। ৭৫০মিটার দৈর্ঘ্যের এই সেতুর নির্মাণ কাজ শেষ হলে এটি হবে জেলার সবেচেয় দীর্ঘতম সেতু।
তবে সেতুতে ইতোমধ্যে ৭৫টি গার্ডারের মধ্যে ৩টি এবং ১৫টি স্লাবের মধ্যে ১০টির নির্মাণ কাজ শেষ হয়েছে। মাঝখানের ১৮টি গার্ডার ও ৫টি স্লাবের কাজ এখনও বাকি। গত জুন মাসের বন্যার সময়ে বালু ভর্তি বাল্কহেডের ধাক্কায় দুটি গার্ডার ভেঙে পড়েছে।
এদিকে, কাজে ঠিকাদারী প্রতিষ্ঠানের অবহেলা ও ঢিলেমি রয়েছে বলে মনে করছেন স্থানীয় বাসিন্দারা। ধীরগতির কাজ নিয়ে ক্ষোভ প্রকাশ করেছেন অনেকে।
সেই সঙ্গে সেতুটির নির্মাণ কাজ শেষে চলাচলের উপযোগী হলে একদিকে যেমন এখানকার পর্যটন শিল্প জমে উঠবে অন্যদিকে ব্যবসা বাণিজ্যের প্রসার ঘটবে।
ঠিকাদারি প্রতিষ্ঠান জানায়, বার বার বন্যা আর প্রাকৃতিক দুর্যোগের কারণে বিলম্ব হচ্ছে নির্মাণ কাজ তবে আগামী বছর জুনের মধ্যেই শেষ হবে কাজ।
এলজিইডি’র নির্বাহী প্রকৌশলী মো. আনোয়ার হোসেন জানান, প্রাকৃতিক দুর্যোগ ও ঠিকাদারদের অবহেলার কারণেই বিলম্ব হচ্ছে নির্মাণ কাজ। দ্রুত কাজ শেষ করতে ঠিকাদারি প্রতিষ্ঠানকে তাগিদ দিয়ে চিঠি দেওয়া হয়েছে।
সারাবাংলা/এসডব্লিউআর/এসআর