গণঅভ্যুত্থানের সুফল থেকে সংখ্যাগরিষ্ঠ মানুষ বঞ্চিত: আনু মুহাম্মদ
২ নভেম্বর ২০২৪ ২০:০২ | আপডেট: ২ নভেম্বর ২০২৪ ২৩:০৪
চট্টগ্রাম ব্যুরো: জাহাঙ্গীরনগর বিশ্ববিদ্যালয়ের অর্থনীতি বিভাগের সাবেক অধ্যাপক আনু মুহাম্মদ বলেছেন, ‘এদেশে বার বার অভ্যুত্থান সংঘটিত হয়েছে। কিন্তু কোনোবারই সংখ্যাগরিষ্ঠ মানুষের আকাঙ্ক্ষিত পরিবর্তন আসেনি। একাত্তর-নব্বইয়ের মতো এবারের গণঅভ্যুত্থানের পরও সত্যিকারের আকাঙ্ক্ষিত কোনো পরিবর্তনের সম্ভাবনা দেখছি না। এবারও গণঅভ্যুত্থানের সুফল থেকে সংখ্যাগরিষ্ঠ জনগণ বঞ্চিত।
শনিবার (২ নভেম্বর) বিকেলে চট্টগ্রামে ‘গণতান্ত্রিক অধিকার আন্দোলনের’ এক আলোচনা সভায় তিনি এসব কথা বলেন। নগরীর থিয়েটার ইনস্টিটিউট মিলনায়তনে ‘গণঅভ্যুত্থানের আকাঙ্ক্ষা, পর্যালোচনা ও করণীয়’ শীর্ষক এ আলোচনা সভা হয়েছে।
আনু মুহাম্মদ বলেন, ‘গণঅভ্যুত্থানের মাধ্যমে দায়িত্ব নেওয়া অন্তর্বর্তী সরকারের একটা গুরুত্বপূর্ণ কাজ ছিল আইনশৃঙ্খলা নিয়ন্ত্রণ করা, সর্বস্তরের জনগণের নিরাপত্তা নিশ্চিত করা। কিন্তু আমরা দেখলাম শ্রমিকদের ওপর গুলি, জাতিগত ও ধর্মীয় সংখ্যালঘুদের ওপর সাম্প্রদায়িক আক্রমণ, মাজার ভাঙা, মব জাস্টিস, ভিন্নমতের ওপর আক্রমণ এবং মতামত, লেখা, বক্তব্য ও পরিচয়ের কারণে নির্যাতন-নিরাপত্তাহীনতা।’
তিনি আরও বলেন, ‘গণঅভ্যুত্থানে শত শত শ্রমিক জীবন দিয়েছে, অথচ আজ তারা তাদের বকেয়া বেতনের দাবি জানাতে গেলে সরকার গুলি করছে। শ্রমজীবী মানুষের ওপর গুলি চালনা গণঅভ্যুত্থানের আকাঙ্ক্ষার সম্পূর্ণ বিপরীত। গত ১৫ বছরে সিন্ডিকেট ব্যবসায়ীদের কারণে দ্রব্যমূল্য বৃদ্ধিতে জনগণ চরম দুর্ভোগে ছিল। এখন সেই দুর্ভোগ কমেনি, বরং বেড়েছে। সিন্ডিকেট ভাঙ্গার জন্য তিনমাস যথেষ্ট, কিন্তু সে জায়গায় সরকারকে আমরা হাত দিতে দেখিনি।’
এ অবস্থায় সংখ্যাগরিষ্ঠ সাধারণ মানুষের সংগঠিত শক্তি ও অবস্থান গড়ে তোলার বিকল্প নেই বলে মন্তব্য করেন আনু মুহাম্মদ।
গণতান্ত্রিক অধিকার আন্দোলনের আহবায়ক অধ্যাপক তহুরিন সবুরের সভাপতিত্বে ও যুগ্ম আহবায়ক দীপা মজুমদারের পরিচালনায় অনুষ্ঠিত আলোচনা সভায় আরো বক্তব্য রাখেন- চট্টগ্রাম বিশ্ববিদ্যালয়ের শিক্ষক জি এইচ হাবীব ও মুনমুন নেসা চৌধুরী, সুফী স্পিরিচুয়াল ফাউন্ডেশনের খাজা ওসমান ফারুকী, অ্যাডভোকেট হাফিজ আহমদ, শহীদ ওয়াসিম আকরামের পরিবারের সদস্য মো. জোবায়ের, আন্দোলনকারী শিক্ষার্থী প্রতিনিধি পুষ্পিতা নাথ ও সিয়াম এলাহী।
সারাবাংলা/আরডি/এমপি