Sunday 03 Nov 2024
Sarabangla | Breaking News | Sports | Entertainment

ধৈর্যের ‘মিষ্টি ফল’ পেলেন শাহাদাত

স্পেশাল করেসপন্ডেন্ট
৩ নভেম্বর ২০২৪ ২০:২১

শাহাদত হোসন, মেয়র, চট্টগ্রাম সিটি করপোরেশন। ছবি: সারাবাংলা

চট্টগ্রাম ব্যুরো: ১৪ বছর আগে তরুণ নেতা হিসেবে চট্টগ্রাম মহানগর বিএনপিতে উত্থান ছাত্ররাজনীতির পরিচিত মুখ ডা. শাহাদাত হোসেনের। আওয়ামী লীগের আমলে বৈরী পরিস্থিতির মুখোমুখি হয়ে বন্দরনগরীতে দলকে সংগঠিত রাখতে গুরুত্বপূর্ণ ভূমিকা রেখে তিনি নিজের গ্রহণযোগ্য ভাবমূর্তি গড়ে তোলেন। বিএনপিতে উত্থানের সময় থেকেই চট্টগ্রামের নগরপিতার আসনে নিজেকে প্রতিষ্ঠিত করার আগ্রহ পরিলক্ষিত হয় শাহাদাতের মধ্যে।

বিজ্ঞাপন

২০১০ ও ২০১৫ সালে চট্টগ্রাম সিটি করপোরেশনের মেয়র পদে বিএনপির সম্ভাব্য মনোনয়নের তালিকায় শাহাদাতের নাম উচ্চারিত হলেও শেষ মুহূর্তে হাতছাড়া হয়ে যায়। আওয়ামী লীগ ছেড়ে যাওয়া এম মনজুর আলম বিএনপির মনোনয়ন পেয়ে ২০১০ সালে জেতেন এবং ২০১৫ সালে হেরে যান। মনোনয়ন না পেলেও দমে যাননি শাহাদাত। ২০২১ সালে বিএনপি তাকেই মেয়র প্রার্থী হিসেবে বেছে নেয়। তবে বিতর্কিত সেই নির্বাচনে শাহাদাতকে পরাজিত ঘোষণা করা হয়।

বিজ্ঞাপন

এরপরও ‘ধৈর্যহারা’ না হয়ে তিনি আদালতের দ্বারস্থ হয়েছিলেন। গত ৫ আগস্ট ছাত্র-জনতার আন্দোলনে আওয়ামী লীগ সরকার ক্ষমতাচ্যুত হওয়ার পর সেই মামলার রায় আসে শাহাদাতের পক্ষে। আদালত তাকে চসিকের মেয়র হিসেবে ঘোষণা করেন। এর পরও আইনি জটিলতায় শপথ নিয়ে অনিশ্চয়তা দেখা দেয়। তবে সব বাধা কাটিয়ে শেষ পর্যন্ত শপথ নিয়ে মেয়রের চেয়ারে বসতে যাচ্ছেন তিনি। বিএনপির নেতাকর্মীদের বিবেচনায়, ধৈর্যের মিষ্টি ফল পেয়েছেন চট্টগ্রামের সজ্জন রাজনীতিক হিসেবে পরিচিত শাহাদাত হোসেন, যিনি পেশায় ফিজিক্যাল মেডিসিন বিষয়ে একজন বিশেষজ্ঞ চিকিৎসক।

সম্মিলিত পেশাজীবী পরিষদের আহ্বায়ক সিনিয়র সাংবাদিক জাহিদুল করিম কচি সারাবাংলাকে বলেন, ‘শাহাদাত হোসেনকে বিগত সিটি করপোরেশন নির্বাচনে জোর করে পরাজিত দেখানো হয়েছিল। কিন্তু জনতা সেটা মেনে নেয়নি। সেজন্য তিনি চট্টগ্রামসহ সারাদেশের মানুষের অভূতপূর্ব সহযোগিতা ও সহমর্মিতা পেয়েছেন। আক্ষরিক অর্থে তিনি হয়ে উঠেছিলেন জনতার মেয়র। শাহাদত হোসেন নিজেও বিচার বিভাগের প্রতি সম্মান জানিয়ে আদালতের দ্বারস্থ হয়েছিলেন। উনি অপেক্ষায় ছিলেন, আদালত সুবিচার করেছেন। অবশেষে তিনি শপথ নিয়েছেন।’

‘বর্তমানে শাহাদাত হোসেন চট্টগ্রামে সর্বাধিক জনপ্রিয় রাজনীতিবিদ। তিনি হুট করে রাজনীতিতে আবির্ভূত হননি। ছাত্ররাজনীতি করেছেন। ১/১১-এর সময় রাজপথে উনার দুঃসাহসিক ভূমিকা আমরা দেখেছি। এরপর স্বৈরাচার সরকারের মামলা-হামলা, দমন-পীড়ন উপেক্ষা করে তিনি সবসময় মাঠে ছিলেন। শেষ পর্যন্ত তিনি এ সাহসিকতার প্রতিদান পেয়েছেন। এ প্রাপ্তি তার রাজনৈতিক জীবনে একটি সফলতার ইতিহাস হয়ে থাকবে বলে আমি মনে করি,’ – বলেন জাহিদুল করিম কচি।

চসিকের জনসংযোগ শাখার বিজ্ঞপ্তিতে জানানো হয়েছে, ১৯৬৬ সালের ২ জুন চট্টগ্রামের চন্দনাইশ উপজেলার হরলা গ্রামে শাহাদাত হোসেনের জন্ম। আশির দশকে তিনি ছাত্রদলের রাজনীতিতে যোগ দেন। নব্বইয়ের স্বৈরাচার এরশাদবিরোধী আন্দোলনে গুরুত্বপূর্ণ ভূমিকা রাখেন। পরবর্তী সময়ে তিনি চট্টগ্রাম মেডিকেল কলেজ ছাত্রদলের সভাপতি হন।

ছাত্র রাজনীতি শেষে তিনি বিএনপির পেশাজীবী সংগঠন ডক্টরস অ্যাসোসিয়েশন অব বাংলাদেশ-ড্যাবের রাজনীতিতে সক্রিয় হন। এক-এগারোর রাজনৈতিক পটপরিবর্তনের পর তিনি চট্টগ্রাম নগরীর বাকলিয়া থানা বিএনপির সাধারণ সম্পাদক ও পরবর্তীতে সভাপতি হয়েছিলেন। তাকে কেন্দ্রীয় বিএনপির চট্টগ্রাম বিভাগীয় সাংগঠনিক সম্পাদকের দায়িত্বও দেওয়া হয়েছিল।

মূলত এক-এগারোর জরুরি অবস্থার সময় চট্টগ্রামের বিএনপির অধিকাংশ নেতাকর্মী যখন ‘ঘরছাড়া’ তখনই তারেক রহমানের ঘনিষ্ঠজন হিসেবে পরিচিত শাহাদাত হোসেন সামনে এসেছিলেন। এর পর ২০১০ সালে তিনি নগর বিএনপির শীর্ষ নেতৃত্বের কাতারে আসেন।

২০১০ সালে বিএনপির বর্তমান স্থায়ী কমিটির সদস্য আমীর খসরু মাহমুদ চৌধুরীকে সভাপতি ও ডা. শাহাদাত হোসেনকে সাধারণ সম্পাদক করে চট্টগ্রাম মহানগর কমিটি গঠন করা হয় কেন্দ্র থেকে। ২০১৬ সালের ৬ আগস্ট সেই কমিটি ভেঙে দিয়ে শাহাদাত হোসেনকে সভাপতি ও আবুল হাশেম বক্করকে সাধারণ সম্পাদক করে একটি কমিটি গঠন করা হয়। পরের বছর ২৭৫ সদস্যের পূর্ণাঙ্গ কমিটি অনুমোদন দেয় কেন্দ্র। ২০২০ সালের ২৩ ডিসেম্বর সেই কমিটি ভেঙ্গে শাহাদাতকে আহ্বায়ক এবং আবুল হাশেম বক্করকে সদস্য সচিব করে ৩৯ সদস্যের একটি কমিটি ঘোষণা করা হয়। সেই কমিটি চলতি বছরের গত ১৩ জুন পর্যন্ত বহাল ছিল।

বর্তমানে দলের কোনো উচ্চপদে না থাকলেও মেয়র হিসেবে ডা. শাহাদাত হোসেনকে ঘিরেই চট্টগ্রাম মহানগর বিএনপির রাজনীতি আবর্তিত হবে, এমনটাই মনে করছেন দলটির নেতাকর্মীরা। এ কারণে আদালত মেয়র ঘোষণার পর থেকেই চট্টগ্রামে শাহাদাতের অনুসারীদের মধ্যে ব্যাপক প্রাণচাঞ্চল্য তৈরি হয়েছে। নগরীর বিভিন্ন অলিগলি, সড়ক শাহাদাতের জন্য নেতাকর্মীদের তৈরি করা ব্যানারে ছেয়ে গেছে।

‘চট্টগ্রাম বাঁচলে বাংলাদেশ বাঁচবে’

শপথ নেওয়ার পর বন্দরনগরী চট্টগ্রামকে নিয়ে নিজের চিন্তাভাবনা তুলে ধরেন নতুন মেয়র ডা. শাহাদাত হোসেন। তিনি মন্তব্য করেন, চট্টগ্রাম বাঁচলে বাংলাদেশ বাঁচবে। এর আগে, রোববার (৩ নভেম্বর) সকালে স্থানীয় সরকার মন্ত্রণালয়ের স্থানীয় সরকার বিভাগের সম্মেলন কক্ষে চসিকের মেয়র হিসেবে ডা. হোসেনকে শপথবাক্য পাঠ করান অন্তর্বর্তী সরকারের স্থানীয় সরকার উপদেষ্টা এ এফ হাসান আরিফ। শপথ নিয়েই নেতাকর্মীদের নিয়ে শাহাদত ঢাকায় দলের প্রতিষ্ঠাতা ও সাবেক রাষ্ট্রপতি জিয়াউর রহমানের মাজারে গিয়ে ফুল দিয়ে শ্রদ্ধা জানান।

শপথ নেয়ার পর শাহাদাত হোসেন বলেন, ‘চট্টগ্রাম ভৌগোলিকভাবে এমন একটি জায়গায় রয়েছে, যেখানে পাহাড়, সমুদ্র, পর্যটন, স্পেশাল ইকোনমিক জোন থেকে শুরু করে প্রতিটিতে এই চট্টগ্রাম নগরীর ওপর দিয়ে যেত হয়। বাংলাদেশকে বাঁচানোর যে চিন্তা, দেশ নিয়ে যে চিন্তা, কাজেই চট্টগ্রাম বাঁচলে বাংলাদেশ বাঁচবে। এটা অস্বীকার করার উপায় নেই।’

‘আমরা দেখেছি বাংলাদেশের জিডিপিতে গার্মেন্টস খাত, মানবসম্পদ, কৃষিখাত; শহিদ প্রেসিডেন্ট জিয়াউর রহমানের হাত ধরে এসেছিল। আর এ তিনটি খাত এখনো পর্যন্ত জিডিপিতে অবদান রাখতে পারলেও চতুর্থ আরেকটি খাত জিডিপিতে অবদান রাখতে পারছে না, সেটি হলো পর্যটন খাত। যেই পর্যটন শিল্পকে ব্যবহার করে সার্কভুক্ত দেশগুলো এগিয়ে যাচ্ছে। শুধুমাত্র বাংলাদেশে জঙ্গি ও সন্ত্রাসের কথা বলে এ খাতকে পিছিয়ে দেওয়া হয়েছে। এ খাতটিকে ঠিকমতো ব্যবহার করতে পারেনি।’

শাহাদাত আরও বলেন, ‘চট্টগ্রাম এমন একটি জায়গায় আছে, যেখানে দেশে ভ্রমণের ক্ষেত্রে সবার প্রথমেই কক্সবাজারের কথা আসে। এরপর চিন্তা করেন বান্দরবান, রাঙামাটি, খাগড়াছড়ি। এসব জায়গায় চট্টগ্রাম শহরের ওপর দিয়ে যেতে হবে। এ শহরের অবকাঠামোগত উন্নয়ন করতে হবে তাহলে বাংলাদেশের ক্ষেত্রে এটি কাজে দেবে। আশা করি, প্রধান উপদেষ্টা এদিকে নজর দেবেন। নগরের অনেক রাস্তাঘাটের অবস্থা বেসামাল, দায়িত্ব নিয়ে রাস্তাঘাটের সমস্যা দ্রুতই ঠিক করা হবে।’

চট্টগ্রাম নগরীর জলাবদ্ধতা সমস্যার বিষয়ে তিনি বলেন, ‘জলাবদ্ধতার প্রকল্প যেটি চসিকের মাধ্যমে হওয়ার কথা ছিল, সেটি ২০১৬ সাল থেকে সিডিএর মাধ্যমে হচ্ছে। ১১ হাজার কোটি টাকার এ প্রকল্প ২০২৬ সালে শেষ হবে। তখনই জলাবদ্ধতার একটি রেজাল্ট পাব। আর নগর সরকার এ প্রকল্প নিয়ে কাজ করলে সেবা ও উন্নয়ন আরও পরিকল্পিতভাবে হবে।’

মেয়র শাহাদত বলেন, ‘চসিকের মেয়র হিসেবে আমার দায়িত্ব আছে। তাই আমি মনে করি, এখানে যারা সেবা প্রদানকারী সংস্থা আছে সিডিএ, ওয়াসা, পানি উন্নয়ন বোর্ড, পুলিশ কমিশনারসহ সবাইকে সঙ্গে নিয়ে কাজ করে চট্টগ্রামকে একটি ‘প্লেয়িং সিটি’ করার চেষ্টা করব। সেক্ষেত্রে সবার সহগযোগিতা কামনা করছি। কারণ, এটা একটা সিস্টেমের ব্যাপার।’

শাহাদাত বলেন, ‘অন্যান্য করপোরেশনের চেয়ে চট্টগ্রাম সিটি করপোরেশনের নাগরিক বেশি। এখানে প্রায় ৭০ লাখ নাগরিক রয়েছেন। এটা একটা বড় শহর। এ শহরটা আমার একার নয়, এটা আমাদের। এটা মাথায় রেখে যদি সবাই কাজ করি তাহলে চট্টগ্রাম শুধু বাংলাদেশের জন্য নয়, পুরো দক্ষিণ এশিয়ার মধ্যে গর্ব করে বলতে পারব। ক্লিন সিটি, গ্রিন সিটি, হেলদি সিটি — এটা আমার নির্বাচনি ইশতেহারে ছিল। এ ইশতেহার পূরণ করার জন্য আপ্রাণ চেষ্টা করব।’

এর আগে, শাহাদাত হোসেন সারাবাংলাকে বলেছিলেন- নিজে বদলাও, অপরকে বদলে দাও; নিজে শুদ্ধ হও, অপরকে শুদ্ধ কর– নগরজুড়ে এমন প্রচার শুরু করবেন।

‘গণসচেতনতা তৈরির একটা কর্মসূচি, এটাকে আমি খুব বেশি প্রায়োরিটি দিচ্ছি। এটা আমি জোরেশোরে শুরু করব। এ শহর আমার একার নয়, শহরে যারা বসবাস করেন এটা সবার শহর। এ শহরকে ক্লিন, গ্রিন ও হেলদি হিসেবে আমি একা গড়তে পারব না, সবাই মিলে গড়তে পারব। এটা মানুষকে বুঝতে হবে, বোঝাতে হবে। সবার মধ্যে এ উপলব্ধিটা আসতে হবে যে, এটা আমার প্রাণের শহর। এ শহরে আমি নিজে শুদ্ধ হব, অপরকে শুদ্ধ করব,’– বলেছিলেন শাহাদাত।

প্রসঙ্গত. ২০২১ সালের ২৩ ফেব্রুয়ারি রেজাউল করিম চৌধুরীর নেতৃত্বাধীন চট্টগ্রাম সিটি করপোরেশনের ষষ্ঠ নির্বাচিত পরিষদের প্রথম সাধারণ সভা অনুষ্ঠিত হয়েছিল। আইন অনুযায়ী, প্রথম সভার তারিখ থেকে পাঁচ বছর নির্বাচিত পরিষদের মেয়াদ। সে হিসেবে ২০২৬ সালের ২২ ফেব্রুয়ারি মেয়াদ শেষ হওয়ার কথা।

সংশ্লিষ্টদের মতে, চলতি অক্টোবরে শপথ নিলে শাহাদাত হোসেনের মেয়র হিসেবে দায়িত্ব পালনের মেয়াদ হবে ১৬ মাস। যদি পরবর্তী নির্বাচনে প্রতিদ্বন্দ্বিতা করেন, তাহলে তিন মাস আগে তাকে পদ ছাড়তে হবে। সেক্ষেত্রে মেয়াদ হবে ১৩ মাস।

২০২১ সালের ২৭ জানুয়ারি ব্যাপক কারচুপির অভিযোগ ওঠা এক নির্বাচনে আওয়ামী লীগের প্রার্থী রেজাউল করিম চৌধুরীকে ৩ লাখ ৬৯ হাজার ২৪৮ ভোটে বিজয়ী দেখিয়ে চট্টগ্রাম সিটি করপোরেশনের মেয়র ঘোষণা করা হয়েছিল। তার প্রধান প্রতিদ্বন্দ্বী বিএনপির ডা. শাহাদাত হোসেনের প্রাপ্ত ভোট দেখানো হয়েছিল ৫২ হাজার ৪৮৯।

নির্বাচনে কারচুপির অভিযোগে ওই বছরের ২৪ ফেব্রুয়ারি নির্বাচনি ট্রাইব্যুনালে রেজাউল করিমসহ নয় জনকে বিবাদী করে মামলা করেন চট্টগ্রাম মহানগর বিএনপির তৎকালীন আহ্বায়ক শাহাদাত হোসেন। মামলা চলমান থাকা অবস্থায় মেয়রের দায়িত্ব পালন করছিলেন রেজাউল করিম চৌধুরী।

গত ৫ আগস্ট ছাত্র-জনতার প্রবল আন্দোলনে শেখ হাসিনার নেতৃত্বাধীন আওয়ামী লীগ সরকারের পতনের পর আত্মগোপনে চলে যান চসিক মেয়র রেজাউল করিম চৌধুরী। অন্তর্বর্তী সরকার ১৯ আগস্ট দেশের ১২টি সিটি করপোরেশনের মেয়রদের অপসারণ করে সরকারি কর্মকর্তাদের প্রশাসক হিসেবে নিয়োগ দেয়। চট্টগ্রাম সিটি করপোরেশনের প্রশাসক হিসেবে বিভাগীয় কমিশনার তোফায়েল ইসলামকে দায়িত্ব দেওয়া হয়।

এর মধ্যে, গত ১ অক্টোবর শাহাদাত হোসেনকে মেয়র ঘোষণা করে রায় দেন আদালত। আদালতের রায়ের সাতদিন পর গত ৮ অক্টোবর শাহাদাত হোসেনকে মেয়র ঘোষণা করে সংশোধিত প্রজ্ঞাপন জারি করে নির্বাচন কমিশন।

সারাবাংলা/আরডি/পিটিএম

চট্টগ্রাম সিটি করপোরেশন চসিক মেয়র শাহাদত হোসেন

বিজ্ঞাপন

ফিরছেন তামিম ইকবাল
৩ নভেম্বর ২০২৪ ২১:০৮

আরো

সম্পর্কিত খবর