সাফজয়ী নারী দলের কোচের ভবিষ্যৎ কী?
৩ নভেম্বর ২০২৪ ২২:০১
নেপালকে হারিয়ে টানা দ্বিতীয়বার সাফ নারী চ্যাম্পিয়নশিপের শিরোপা জিতেছে বাংলাদেশ। সাবিনা-ঋতুপর্নাদের এই সাফল্যের ‘ট্যাকটিক্যাল মাস্টারমাইন্ড’ কোচ পিটার বাটলার। যদিও টুর্নামেন্ট চলাকালীন এই ইংলিশ কোচের সাথে সিনিয়র ফুটবলারদের দ্বন্দ্বের কথা সামনে এসেছিল। এসবের মধ্যেও সেরা পারফরম্যান্সটা বাটলার আদায় করে নিয়েছেন ফুটবলারদের থেকে। কিন্ত দলের সাথে দেশে ফিরে বলেছিলেন, নিজের ভবিষ্যত নিয়ে কথা বলতে চান বাফুফের সঙ্গে।
তবে তার এই সাফল্যের পর নারী ফুটবল উইংয়ের প্রধান মাহফুজা আক্তার আজ (০৩ নভেম্বর, রবিবার) জানিয়েছেন, বাটলারকে কোচের দায়িত্বে রেখে দিতে আগ্রহী তারা। তিনি বলেন, ‘আমরা বাটলারকে রেখে দিতে চাই, তাকে ফুটবলের জন্যই দরকার। এখন পর্যন্ত বাংলাদেশে যত কোচ এসেছেন, বাটলারকেই আমাদের সেরা মনে হয়েছে।’
সাফ চলাকালীন পাকিস্তানের বিপক্ষে গ্রুপ পর্বের পর সংবাদমাধ্যমের সঙ্গে কথা বলতে গিয়ে মনিকা চাকমা জানান, কোচ বাটলার সিনিয়র ফুটবলারদের পছন্দ করেন না। বাটলারও তখন চুপ থাকেননি। পাল্টা অভিযোগ করে বলেন, নারী দলের অনেকেই টিকটক নিয়ে ব্যস্ত থাকেন। আরো বলেন, টুর্নামেন্ট চলাকালীন খেলোয়াড়দের এমন আচরণও দলীয় শৃঙ্খলা বিরোধী।
কোচ-ফুটবলারদের পাল্টাপাল্টি বক্তব্যের সেই প্রসঙ্গ টেনে বাফুফে নারী উইংয়ের প্রধান আজ বলেছেন, ‘আমি ওই সময় কোচের সঙ্গে কথা বলেছি, খেলোয়াড়দের সঙ্গেও কথা বলেছি। সবাইকে বুঝিয়েছি। আমি মনে করি, বিষয়টা একটা ভুল বোঝাবুঝি ছিল। কোচ নিজের মতো করে দল গোছাতে চেয়েছিলেন। পরীক্ষা–নিরীক্ষায় গেছেন। এটিতে সিনিয়র খেলোয়াড়েরা মনে করেছে ওদের বাদ দিতে চাচ্ছেন বাটলার।’
এলিট একাডেমির কোচ হিসেবে এক বছরের চুক্তিতে বাটলারকে নিয়োগ দিয়েছিল বাফুফে। চুক্তির মেয়াদ আগামী বছরের জানুয়ারি পর্যন্ত। এলিট একাডেমির হয়ে কাজ করার কথা থাকলেও গত এপ্রিল থেকে তিনি কাজ করছেন জাতীয় নারী ফুটবল দলের সঙ্গে। মূলত সাবেক সভাপতি কাজী সালাহউদ্দিনের সিদ্ধান্তেই সাবিনাদের ডাগ আউটে দাঁড়িয়েছিলেন এই কোচ।
সারাবাংলা/এফএম