Tuesday 19 Nov 2024
Sarabangla | Breaking News | Sports | Entertainment

ড. ইউনূসকে রাষ্ট্রপতি করার দাবি গণঅধিকার পরিষদ নেতা ফারুখ হাসানের

স্পেশাল করসপন্ডেন্ট
৪ নভেম্বর ২০২৪ ১৩:০৪

‘বিপ্লবী সরকার: আজকের বাংলাদেশ শীর্ষক’ আলোচনা সভা

ঢাকা: নবাব সলিমুল্লাহ একাডেমী আয়োজিত ‘বিপ্লবী সরকার: আজকের বাংলাদেশ শীর্ষক’ আলোচনা সভায় বক্তরা বলেছেন, বর্তমান রাষ্ট্রপতি সাহাবুদ্দিন আহমেদকে সরিয়ে ড. ইউনূসকে রাষ্ট্রপতি করতে হবে। এখন ড. ইউনূসের নেতৃত্বে বিপ্লবী সরকার গঠন করা প্রয়োজন।

সোমবার (৪ নভেম্বর) জাতীয় প্রেসক্লাবে অনুষ্ঠিত সভায় সভাপতিত্ব করেন মুহাম্মদ আব্দুল জব্বার। সভায় বক্তব্য রাখেন সুপ্রীম কোর্টের সিনিয়র আইনজীবী আ্যাডভোকেট মহাসীন রশিদ, গণঅধিকার পরিষদের নেতা ফারুখ হাসান, জাগপা নেতা রাশেদ প্রধান এবং জাতীয় হিন্দু মহাজোটের গোবিন্দ চন্দ্র পরমানিক প্রমুখ।

বিজ্ঞাপন

আলোচনা সভায়, গণঅধিকার পরিষদের নেতা ফারুখ হাসান বলেন, ‘ড. মুহাম্মদ ইউনূসকে রাষ্ট্রপতি করে বিপ্লবী সরকার গঠন করতে হবে। এ দাবি এখন সময়ের দাবি।’

তিনি বলেন, ‘৫ আগস্টের পর সরকার গঠন নিয়ে অনেক ষড়যন্ত্র হয়েছে। ওই সময় সেনাপ্রধান ৫ জন ছাত্রকে নিয়ে ক্যান্টনমেন্টে বসে কী আলাপ করেছে? তা আজ জাতির সামনে তুলে ধরতে হবে। ৫ আগস্ট সরকার পতনের পর কথা ছিল দেশে বিপ্লবী সরকার গঠন করার। কিন্তু তা হয়নি। অন্তর্বর্তীকালীন সরকার ফরমুলা ভারতের দেওয়া।’

তিনি আরও বলেন, ‘অন্তর্বর্তীকালীন সরকার গঠনের সময় উপদেষ্টা আসিফ নজরুলও এর বিরোধীতা করেননি। এর পেছনে রহস্য রয়েছে। তাই বর্তমান রাষ্ট্রপতিকে সড়িয়ে ড. মুহ্ম্মদ ইউনূসকে রাষ্ট্রপতি করে বিপ্লবী সরকার গঠন করতে হবে।’

আলোচনা সভায় নবাব সলিমুল্লা একাডেমীর পক্ষ থেকে লিখিত বক্তব্যে বলা হয়, বিগত ৫ আগস্ট জাতীয় জীবনে এক মহান বিপ্লব সংঘটিত হয়। এখন প্রশ্ন হল এটি কি শুধুই বিপ্লব? না কী আরও মহৎ কিছু? মানব সভ্যতার ইতিহাসে দেখা যায় যে, বিপ্লব সংঘটিত হয় শুধুমাত্র দেশীয় অত্যাচারী শাসকগোষ্ঠীর বিরুদ্ধে। আবার স্বাধীনতা হয় ভিনদেশি শক্তিকে উৎখাত করে স্বদেশি শক্তি দ্বারা ইনসাফের ভিত্তিতে দেশ পরিচালনা করার জন্য। যা ১৯৪৭ সালে আমরা ব্রিটিশ হতে স্বাধীনতা অর্জন করি স্বজাতি দ্বারা দেশ পরিচালনা করার জন্য।

বিজ্ঞাপন

লিখিত বক্তব্যে আরও বলা হয়, ৫ আগস্ট হল স্বাধীনতা ও বিপ্লব দিবস। এখন প্রশ্ন হল, কী জন্য স্বাধীনতা ও বিপ্লব দিবস হিসেবে আখ্যায়িত করব? এর উত্তর হল যে, বাংলাদেশ নামক দেশটি হল পৃথিবীর একমাত্র মুসলিম দেশ যার সীমানা কোন মুসলিম দেশের সাথে সংযুক্ত নয়। এর মূল উপাদান হল ইসলাম। ইসলামী মূল্যবোধ এই দেশে প্রাধান্য না পেলে এই দেশ কখনোই ভারত হতে আলাদা হয়ে একটি স্বতন্ত্র রাষ্ট্র হিসেবে আবির্ভূত হতে পারত না। আমাদের স্বাধীনতার মূল উপাদান হলো ইসলাম এবং আমাদের স্বাধীনতার জন্য প্রথম বাধা হল ভারত। এই ভারত বিগত ১৬ বছর যাবৎ তার এদেশীয় দোসর আওয়ামী লীগ এর মাধ্যমে এই দেশকে গ্রাস করে রেখেছিল। বলতে গেলে এই সময়টা ছিল এই দেশে দ্বৈত শাসন। এর একটি হল ভারতের অপরটি হল আওয়ামী দুঃশাসন। এই স্বাধীনতা ও বিপ্লবের মূল মন্ত্র হল ভারতীয় আধিপত্যবাদ হতে মুক্তি ও দেশীয় দুঃশাষনের অবসান।

লিখিত বক্তব্যে বলা হয়, বাংলাদেশের এই সরকারকে এই দুইটি কাজই করতে হবে। পতিত স্বৈরশাসকের হাতিয়ারগুলো বিলুপ্তির জন্য এই সরকারকে নিন্মোক্ত কাজ করতে হবে:

প্রথমত, নিজদেরকে বিপ্লবী সরকার ঘোষণা দেওয়া। দ্বিতীয়ত, পূর্বের সংবিধান বাতিল করা। তৃতীয়ত, পূর্বের নিয়োগকৃত রাষ্ট্রপতিকে অপসারণ করা। চতুর্থত, স্বৈরশাসনের জন্য দায়ী সকল ব্যক্তিদের বিচারের মুখামুখি করা এবং বিচার কাজ সম্পন্ন করা। পঞ্চমত, ভারতের সাথে সকল বৈষম্যমূলক চুক্তি বাতিল করার জন্য পদক্ষেপ নেওয়া। সবশেষ, মুসলিম বিশ্বের সাথে সম্পর্ক গভীর করা।

সারাবাংলা/এএইচএইচ/এইচআই

গণঅধিকার পরিষদ নবাব সলিমুল্লাহ একাডেমী

বিজ্ঞাপন

চমকে উঠলেন অমিতাভ
১৯ নভেম্বর ২০২৪ ২৩:৩৬

একা একা কান্না করতেন শাহরুখ
১৯ নভেম্বর ২০২৪ ২৩:২১

আরো

সম্পর্কিত খবর