বিক্ষোভ করায় নাইজেরিয়ার ২৯ শিশুর বিরুদ্ধে মামলা
৪ নভেম্বর ২০২৪ ১৩:৫৮
নাইজেরিয়ায় নিত্যপণ্যের ঊর্ধ্বগতির প্রতিবাদে বিক্ষোভে অংশ নেওয়ায় ২৯ শিশুর বিরুদ্ধে রাষ্ট্রদ্রোহ, সম্পত্তি ধ্বংস, জনবিশৃঙ্খলা সৃষ্টি, বিদ্রোহসহ ১০টি গুরুতর মামলায় অভিযুক্ত করা হয়েছে। যাতে তাদের মৃত্যুদণ্ড পর্যন্ত হতে পারে।
বিক্ষোভে অংশ নেন মোট ৭৬ জন। এর মধ্যে ২৯ জনই শিশু যাদের বয়স ১৪ থেকে ১৭ বছরের মধ্যে।
জীবনযাত্রার ব্যয় বেড়ে যাওয়ায় গত কয়েক মাস ধরেই দফায় দফায় গণবিক্ষোভ চলছে নাইজেরিয়ায়। আগস্টে কর্মসংস্থান ও তরুণদের জন্য ভালো সুযোগ-সুবিধার দাবিতে বিক্ষোভে গুলি চালানো হয়। এতে অন্তত ২০ জন নিহত হন, গ্রেফতার হন শতাধিক বিক্ষোভকারী।
নাইজেরিয়ায় মৃত্যুদণ্ডের বিধান চালু হয়েছে গত শতকের সত্তর দশকে। তবে ২০১৬ সাল থেকে এ দণ্ড কার্যকরের নজির নেই।
আবুজাভিত্তিক আইনজীবী আকিনতায়ো বালোগুন বলেন, ‘শিশু অধিকার আইন অনুযায়ী, কোনো শিশুকে ফৌজদারি মামলায় আদালতে হাজির করা কিংবা মৃত্যুদণ্ড দেওয়ার সুযোগ নেই। অভিযুক্তদের বয়স ১৯ বছরের বেশি-এটি সরকার যদি প্রমাণ করতে না পারে, তাহলে অপ্রাপ্ত বয়স্কদের ফেডারেল হাই কোর্টের সামনে নিয়ে যাওয়া বৈধ নয়।’
কয়েকজন কিশোরের আইনজীবী মার্শাল আবুবকর বলেন, ‘আদালত শেষ পর্যন্ত আসামিদের প্রত্যেককে এক কোটি নায়রার (৫ হাজার ৯০০ ডলার) মুচলেকায় কঠোর শর্তে জামিন দিয়েছে। একটি দেশের দায়িত্ব যেখানে শিশুদের শিক্ষিত করা, সেখানে তারা শিশুদের শাস্তি দেওয়ার সিদ্ধান্ত নিতে যাচ্ছে। এসব শিশুকে ৯০ দিন ধরে না খাইয়ে আটকে রাখা হয়েছে।’
সুশাসনের জন্য কাজ করা নাগরিক সমাজের সংগঠন এনাফ ইজ এনাফের নির্বাহী পরিচালক ইয়েমি আদামোলেকুন বলেন, ‘শিশুদের বিরুদ্ধে বিচার করার অধিকার কর্তৃপক্ষের নেই। প্রধান বিচারপতির লজ্জা হওয়া উচিৎ, তিনি একজন নারী ও মা।’
উল্লেখ্য, আফ্রিকার শীর্ষ তেল উৎপাদনকারী দেশ হওয়া সত্ত্বেও পরও বিশ্বে দরিদ্র দেশের তালিকায় রয়ে গেছে নাইজেরিয়া। দেশটির রাজনীতিবিদ ও আইনপ্রণেতাদের দীর্ঘস্থায়ী দুর্নীতি, স্বল্প বেতনের প্রতিবাদে স্বাস্থ্য কর্মীরা সেখানে প্রায়ই ধর্মঘট করেন।
সারাবাংলা/এসডব্লিউআর