চসিকের নতুন মেয়রের কাছে নাগরিক প্রত্যাশা
৫ নভেম্বর ২০২৪ ১১:০৩
চট্টগ্রাম ব্যুরো: তিন মাস ধরে অভিভাবকহীন থাকার পর চট্টগ্রাম সিটি করপোরেশনের মেয়র হিসেবে দায়িত্ব নিতে যাচ্ছেন বিএনপি নেতা ডা. শাহাদাত হোসেন। ধারাবাহিক অনিয়ম-অবহেলা এবং এরপর মেয়রবিহীন থাকায় চট্টগ্রাম নগরীর অবস্থা ক্রমশ শোচনীয় হয়ে পড়েছে— এমনটাই বলছেন নাগরিকরা। সড়কের বেহাল অবস্থা, ফুটপাতে হাঁটার জায়গা নেই। সড়কবাতি, ময়লা-আবর্জনা অপসারণ, জলাবদ্ধতা- মোটামুটি সবক্ষেত্রেই শৃঙ্খলার অভাব দেখছেন এ শহরের বাসিন্দারা।
এ অবস্থায় নতুন মেয়রের কাছে জনপ্রত্যাশা কী?— এ নিয়ে সারাবাংলা’র সঙ্গে কথা বলেছেন সাবেক মেয়র, নগর পরিকল্পনাবিদ, সাংবাদিক, প্রকৌশলী, সংগঠকসহ বিশিষ্ট নাগরিকরা। প্রত্যাশা জানানোর পাশাপাশি নাগরিকরা নতুন মেয়রকে বিভিন্ন পরামর্শও দিয়েছেন।
সড়ক-ফুটপাত চলাচলের উপযোগী করতে হবে— সিকান্দার খান
অর্থনীতিবিদ অধ্যাপক মুহাম্মদ সিকান্দার খান মেয়র শাহাদাত হোসেনকে নতুন সড়ক-ফুটপাত বানানোর দিকে না ঝুঁকে বিদ্যমান স্থাপনাগুলোর রক্ষণাবেক্ষণে জোর দেওয়ার পরামর্শ দিয়েছেন। সেটা না করলে নাগরিকরা উনাকে দোষারোপ করতে পারেন বলেও সতর্ক করেছেন প্রবীণ এ শিক্ষাবিদ।
তিনি বলেন, ‘আমাদের প্রত্যাশা হচ্ছে, স্বায়ত্ত্বশাসিত একটি প্রতিষ্ঠানের দায়িত্বপ্রাপ্ত প্রধান হিসেবে মেয়র যেন শহরের বিদ্যমান স্থাপনাগুলোর রক্ষণাবেক্ষণ করে সাধারণ নাগরিকদের ব্যবহারের জন্য উন্মুক্ত রাখেন। শহরে এখন রাস্তাঘাট দিয়ে মানুষের হাঁটাচলা দায় হয়ে পড়েছে, ফুটপাতগুলো দখল হয়ে গেছে। মেয়রকে নতুন রাস্তা কিংবা ফুটপাত বানাতে বলব না। বিদ্যমান রাস্তা-ফুটপাত যেন মানুষের চলাচলের উপযোগী হয়, সেই ব্যবস্থা উনাকে করতে হবে। এর পর আলোকায়নের বিষয়টি আসবে। অনেক জায়গায় ঠিকমতো লাইট জ্বলে না, দ্রুত সেগুলোর সংস্কারের উদ্যোগ নিতে হবে।’
তিনি আরও বলেন, ‘ময়লা-আবর্জনা অপসারণের বিষয়টিও বেহাল অবস্থায় আছে। আবর্জনা সংগ্রহ করে রাস্তার একপাশে রেখে দেওয়া হয়। বর্ষায় সেগুলো আবার রাস্তায় গিয়ে পড়ে। শুকনো মৌসুমে বাতাসে উড়ে সেগুলো মানুষের নাকে-মুখে ঢুকে যায়। ঠিকভাবে তদারকের উদ্যোগ নিতে হবে। লাইট কেন জ্বলছে না, ফুটপাত কেন দখল হয়ে আছে, ময়লা কেন ঠিকভাবে পরিষ্কার হচ্ছে না— এগুলো তদারক করে যারা এর জন্য দায়ী, তাদের জবাবদিহিতা ও আইনের আওতায় আনতে হবে। তাহলে নাগরিক সুবিধার বিষয়টা একটা সঠিক জায়গায় পৌঁছবে বলে আমি মনে করি।’
সিকান্দার খান আরও বলেন, ‘নাগরিক সুবিধাটা পুরোপুরি নিশ্চিত হওয়ার পর নগর সৌন্দর্যকরণ, পার্ক কিংবা মাঠের জন্য মেয়র উদ্যোগ নিতে পারেন। সরকারের সঙ্গে দেনদরবার করে নাগরিক সুবিধা আরও কিভাবে বাড়ানো যায়, সেই পদক্ষেপও মেয়র নিতে পারেন। কিন্তু নাগরিক সুবিধাটুকু নিশ্চিত না করে মেয়র যদি পরবর্তী কাজগুলোতে হাত দেন বা বেশি আগ্রহী হন, তাহলে নাগরিকদের দোষারোপের মধ্যে উনি পড়ে যেতে পারেন।’
ওয়ার্ডে-ওয়ার্ডে গিয়ে মানুষের কথা শুনতে হবে— এম মনজুর আলম
২০১০ সালে বিএনপির মনোনয়ন পেয়ে চট্টগ্রাম সিটি করপোরেশনের মেয়র নির্বাচিত হয়েছিলেন একাধিকবারের ওয়ার্ড কাউন্সিলর এম মনজুর আলম। ২০১৫ সালেও মনোনয়ন পেয়েছিলেন। কিন্তু বিতর্কিত ওই নির্বাচনে আওয়ামী লীগের আ জ ম নাছির উদ্দীনের কাছে হেরে যান।
উত্তরসূরী শাহাদাতের জন্য প্রত্যাশা ও পরামর্শ কী?- এমন প্রশ্নের জবাবে এম মনজুর আলম সারাবাংলাকে বলেন, ‘চট্টগ্রাম সিটি করপোরেশনে দীর্ঘসময় ধরে একটা শূন্যতা বিরাজ করছিল। মানুষের কথা বলার কোনো জায়গা ছিল না। এখন শাহাদাত সাহেব মেয়র হিসেবে দায়িত্ব নিচ্ছেন। তিনি একদিকে রাজনীতিবিদ, চট্টগ্রাম শহরের ৪১ ওয়ার্ডের সঙ্গে উনার যোগাযোগ আছে। উনার দায়িত্ব গ্রহণের মধ্য দিয়ে শূন্যতাটা কাটবে বলে আমি মনে করি।’
‘আমার পরামর্শ হচ্ছে, দায়িত্ব নিয়েই শাহাদাত সাহেব ৪১ ওয়ার্ডে যাবেন, সরাসরি মানুষের কথা শুনবেন। এটা শুনে তারপর উনি সিদ্ধান্ত নেবেন। সমস্যা যা আছে সেগুলো সমাধান করবেন। মানুষের সঙ্গে নিবিড় যোগাযোগের মধ্য দিয়ে কাজ করলে আশা করি উনি কামিয়াব হবেন। উনার জন্য আমার শুভকামনা থাকল।’
বিক্ষিপ্তভাবে কোনো কাজ করা যাবে না— জেরিনা হোসাইন
আগের মেয়রদের আমলের অভিজ্ঞতায় নতুন মেয়রকে পরিকল্পনা ছাড়া নিজের ইচ্ছেমতো কোনো কাজ না করার পরামর্শ দিয়েছেন স্থপতি জেরিনা হোসাইন।
সারাবাংলাকে তিনি বলেন, ‘মেয়র হিসেবে উনি (শাহাদাত) নগরের সেবা প্রদানের দায়িত্ব নিচ্ছেন। সেবাটা যেন উনি সঠিক পরিকল্পনা মতো দেন- সেটাই চাওয়া। যখন ইচ্ছে হলো একটা কাজ করে ফেললেন, সৌন্দর্যবর্ধন করে ফেললেন; এভাবে বিক্ষিপ্তভাবে কোনো কাজ করা যাবে না। প্ল্যানিং ডিপার্টমেন্টের মাধ্যমে করতে হবে। নগরবাসীর মতামত শুনতে হবে।’
সিডিএসহ সব সেবা সংস্থাকে সঙ্গে নিয়ে একটা টেকনিক্যাল কো-অর্ডিনেশন সেল করতে পারলে সুফল পাওয়া যাবে– এমন মত দিয়েছেন দীর্ঘসময় ধরে নগর পরিকল্পনায় যুক্ত জেরিনা হোসাইন।
শৃঙ্খলা ফেরানো হোক প্রথম কাজ— জাহিদুল করিম কচি
সম্মিলিত পেশাজীবী পরিষদের আহ্বায়ক জ্যেষ্ঠ সাংবাদিক জাহিদুল করিম কচি’র মতে, আগের মেয়রদের ব্যর্থতার কারণে চট্টগ্রাম সিটি করপোরেশন একটি বিশৃঙ্খল ও অকার্যকর প্রতিষ্ঠানে পরিণত হয়েছে। চসিককে কঠোর শৃঙ্খলার মধ্যে আনার তাগিদ দিয়েছেন তিনি।
সারাবাংলাকে তিনি বলেন, ‘মেয়র শাহাদাত সাহেবের প্রথম কাজ হবে চট্টগ্রাম সিটি করপোরেশনকে কঠোর শৃঙ্খলার মধ্যে এনে ঢেলে সাজানো এবং আমলাতন্ত্রের হাত থেকে মুক্ত করা। এ সিটি করপোরেশনকে অতীতের দায়িত্ব পালনকারীরা একটা বিশৃঙ্খল, অকার্যকর প্রতিষ্ঠানে পরিণত করেছেন। একমাত্র মেয়র হিসেবে মনজুর আলম ছাড়া বাকি সবাই ছিলেন দুর্নীতিবাজ, ব্যর্থ। তারা সিটি করপোরেশনকে দুর্নীতির আখড়া বানিয়েছিলেন।’
‘সর্বশেষ যিনি ছিলেন, সেই রেজাউল করিমের বাসা থেকে বস্তা, বস্তা টাকা উদ্ধার হয়েছে। কী মারাত্মক ঘটনা! নতুন মেয়রের কাছে প্রত্যাশা, তিনি প্রতিষ্ঠানটিকে দুর্নীতিমুক্ত করবেন। সিটি করপোরেশন একটা সম্পূর্ণভাবে অকার্যকর প্রতিষ্ঠানে পরিণত হয়েছে। এখানে ময়লা-আবর্জনা পরিষ্কারটাও ঠিকভাবে হয় না। আমার বিশ্বাস, নতুন মেয়র প্রতিষ্ঠানটিকে কার্যকর করতে সক্ষম হবেন’,– বলেন জাহিদুল করিম কচি।
খেলাধূলা, বিনোদন, সংস্কৃতি চর্চার দিকেও নজর দিতে হবে— দেলোয়ার মজুমদার
নগর পরিকল্পনাবিদ প্রকৌশলী দেলোয়ার মজুমদার জোর দিয়েছেন চট্টগ্রাম নগরবাসীর মানসিক স্বাস্থ্য রক্ষার ওপর। একজন চিকিৎসক হওয়ায় নতুন মেয়র শাহাদাত হোসেনের কাছে এ বিষয়ে তার প্রত্যাশা বেশি।
ইঞ্জিনিয়ার্স ইনস্টিটিউশন, চট্টগ্রাম কেন্দ্রের সাবেক সভাপতি দেলোয়ার মজুমদার বলেন, ‘স্থানীয় সরকার ব্যবস্থায় সিটি করপোরেশনের মতো স্বায়ত্ত্বশাসিত প্রতিষ্ঠানগুলো জনপ্রতিনিধি দ্বারা পরিচালিত হওয়া বাঞ্ছনীয়। জনপ্রতিনিধি না থাকলে প্রতিষ্ঠানগুলো অভিভাবকহীন হয়ে যায়। বর্ষার পর সাধারণত সড়ক মেরামতের একটা বিষয় থাকে। অভিভাবকহীন থাকায় চট্টগ্রাম সিটি করপোরেশন এবার সেই কাজটা করেনি। নতুন মেয়র দায়িত্ব নেওয়ার পর উনার প্রথম কাজ হবে সড়ক মেরামত করা। এরপর ময়লা-আবর্জনা অপসারণ নিয়ে নগরবাসীর অভিযোগ আছে। পরিচ্ছন্নতা কার্যক্রমটা উনাকে বিশেষ গুরত্ব দিয়ে দেখতে হবে। এগুলো হচ্ছে প্রাথমিক অগ্রাধিকার।’
‘এর পর চট্টগ্রাম শহরের কিছু পুঞ্জীভূত সমস্যা আছে। এর মধ্যে এক নম্বরে আছে জলাবদ্ধতা। যদিও জলাবদ্ধতা নিরসনের কাজটা সিটি করপোরেশন থেকে হাইজ্যাক করে সিডিএ নিয়ে গেছে। তারপরও মেয়রকে জলাবদ্ধতা নিরসনের ক্ষেত্রে ভূমিকা রাখতে হবে।’
মানসিক স্বাস্থ্যের বিষয়ে তিনি বলেন, ‘আরেকটি বিষয় হচ্ছে, এটা খুবই গুরুত্বপূর্ণ যে, নগরবাসীর মানসিক স্বাস্থ্য রক্ষা করা। নতুন মেয়র একজন বিশেষজ্ঞ চিকিৎসক। উনি মানসিক স্বাস্থ্যের বিষয়টি ভালো বুঝবেন। চট্টগ্রাম শহরে ভালো পার্ক নেই, বিনোদন কেন্দ্র নেই, খেলার মাঠের অভাব, সংস্কৃতি চর্চা করার জায়গা নেই। মানসিক স্বাস্থ্য রক্ষা করতে হলে মেয়রকে এসব সুযোগ তৈরি করতে হবে। না হলে মাদকসহ নানা আসক্তিতে তরুণরা বিপথে যাবে, বিকলাঙ্গ প্রজন্ম তৈরি হবে। এসব সমস্যার সম্মুখীন অলরেডি হচ্ছি।’
আ জ ম নাছিরের পথে যেন না হাঁটেন— হাসান মারুফ রুমী
ঘরভাড়ার ভিত্তিতে গৃহকর মূল্যায়ন নিয়ে আওয়ামী লীগ দলীয় সাবেক মেয়র আ জ ম নাছির উদ্দীনের আমলে নেওয়া সিদ্ধান্ত রুখে দাঁড়িয়েছিল ‘চট্টগ্রাম করদাতা সুরক্ষা পরিষদ’। আন্দোলন-সংগ্রামে উত্তাল হয়ে উঠেছিল বন্দরনগরী। সেই আন্দোলন অব্যাহত ছিল মেয়র হিসেবে দায়িত্ব পালন করা রেজাউল করিম চৌধুরীর সময়েও।
সংগঠনটির মুখপাত্রের দায়িত্ব পালন করে আসছেন রাজনীতিক হাসান মারুফ রুমী। ঘরভাড়ার ভিত্তিতে গৃহকর নিয়ে আ জ ম নাছির কিংবা রেজাউল করিম চৌধুরীর মতো বিতর্কিত পথে যেন শাহাদাত হোসেন না হাঁটেন, সে বিষয়ে সতর্ক করেছেন তিনি।
হাসান মারুফ রুমী সারাবাংলাকে বলেন, ‘সাবেক মেয়র আ জ ম নাছির উদ্দীনের আমলে ১৯৮৬ সালের যে বিতর্কিত আইনের মাধ্যমে কর পুনর্মূল্যায়নের সিদ্ধান্ত হয়েছিল, নতুন মেয়রকে প্রথমে সেই সিদ্ধান্ত বাতিল করতে হবে। উনি (নাছির) যখন সিদ্ধান্তটা নেন, তখন আমরা আন্দোলন শুরু করি। নগরবাসী এ আন্দোলনে শরিক হয়েছিল, আপনারা দেখেছেন। এরপর রেজাউল করিম সাহেব মেয়র হয়ে আসেন। উনিও বিতর্কিত পথেই হাঁটলেন। আমরা সাবেক মেয়রদের সঙ্গে কথা বলেছিলাম। উনারা আমাদের জানিয়েছিলেন, তাদের আমলে কখনোই সেই বিতর্কিত আইনবলে গৃহকর আদায় করা হয়নি। কারণ সেটাকে আ জ ম নাছিরের আগের সব মেয়রই আমলাদের উর্বর মস্তিষ্কপ্রসূত একটি আইন হিসেবে অভিহিত করেছিলেন, যা প্রয়োগযোগ্য নয়।’
‘সুতরাং শাহাদাত সাহেব মেয়র হিসেবে দায়িত্ব নিয়ে যেন আ জ ম নাছিরের পথে না হাঁটেন, সেই প্রত্যাশা আমাদের থাকবে। গণঅভ্যুত্থানের পর সবকিছু যখন নতুনভাবে শুরু হচ্ছে। সেক্ষেত্রে উনার কাছেও আমাদের প্রত্যাশা থাকবে নগরবাসীর দাবি বিবেচনায় নিয়ে ঘরভাড়ার পরিমাণের পরিবর্তে আগের মতো বর্গফুট হিসেবে গৃহকর আদায়ের পদক্ষেপ নেবেন। সেটাই উনার প্রথম কাজ হওয়া উচিত বলে আমরা মনে করি। কিন্তু পুরনো পথে হাঁটতে চাইলে আ জ ম নাছির ও রেজাউল করিমের আমলের মতো নগরবাসী আবারও বিক্ষুব্ধ হয়ে উঠতে পারেন,’ – বলেন হাসান মারুফ রুমী।
উল্লেখ্য, ২০২১ সালের ২৭ জানুয়ারি ব্যাপক কারচুপির অভিযোগ ওঠা এক নির্বাচনে আওয়ামী লীগের প্রার্থী রেজাউল করিম চৌধুরীকে ৩ লাখ ৬৯ হাজার ২৪৮ ভোটে বিজয়ী দেখিয়ে চট্টগ্রাম সিটি করপোরেশনের মেয়র ঘোষণা করা হয়েছিল। তার প্রধান প্রতিদ্বন্দ্বী বিএনপির ডা. শাহাদাত হোসেনের প্রাপ্ত ভোট দেখানো হয়েছিল ৫২ হাজার ৪৮৯।
নির্বাচনে কারচুপির অভিযোগে ওই বছরের ২৪ ফেব্রুয়ারি নির্বাচনি ট্রাইব্যুনালে রেজাউল করিমসহ নয়জনকে বিবাদী করে মামলা করেন চট্টগ্রাম মহানগর বিএনপির তৎকালীন আহ্বায়ক শাহাদাত হোসেন। মামলা চলমান থাকা অবস্থায় মেয়রের দায়িত্ব পালন করছিলেন রেজাউল করিম চৌধুরী।
গত ৫ আগস্ট ছাত্র-জনতার প্রবল আন্দোলনে শেখ হাসিনার নেতৃত্বাধীন আওয়ামী লীগ সরকারের পতনের পর আত্মগোপনে চলে যান চসিক মেয়র রেজাউল করিম চৌধুরী। অন্তর্বর্তী সরকার ১৯ আগস্ট তাকে অপসারণ করে। এর মধ্যে গত ১ অক্টোবর শাহাদাত হোসেনকে মেয়র ঘোষণা করে রায় দেন আদালত।
২০২১ সালের ২৩ ফেব্রুয়ারি রেজাউল করিম চৌধুরীর নেতৃত্বাধীন চট্টগ্রাম সিটি করপোরেশনের ষষ্ঠ নির্বাচিত পরিষদের প্রথম সাধারণ সভা অনুষ্ঠিত হয়েছিল। আইন অনুযায়ী, প্রথম সভার তারিখ থেকে পাঁচ বছর নির্বাচিত পরিষদের মেয়াদ। সে হিসেবে ২০২৬ সালের ২২ ফেব্রুয়ারি মেয়াদ শেষ হওয়ার কথা।
সংশ্লিষ্টদের মতে, চলতি অক্টোবরে শপথ নিলে শাহাদাত হোসেনের মেয়র হিসেবে দায়িত্ব পালনের মেয়াদ হবে ১৬ মাস। যদি পরবর্তী নির্বাচনে প্রতিদ্বন্দ্বিতা করেন, তাহলে তিন মাস আগে তাকে পদ ছাড়তে হবে। সেক্ষেত্রে মেয়াদ হবে ১৩ মাস।
সারাবাংলা/আরডি/পিটিএম