দুই অর্থবছরে বিআরটিসির লোকসান ৪৭৩ কোটি টাকা
১০ জুন ২০১৮ ১৩:০৪
।। স্পেশাল করেসপন্ডেন্ট।।
ঢাকা: সড়ক পরিবহন ও সেতুমন্ত্রী মন্ত্রী ওবায়দুল কাদের বলেছেন, জাতীয় স্কেল, ২০১৫ এর বাস্তয়নের আগে বিআরটিসি অপারেটিং লাভে ছিল। কিন্তু পরিবর্তী নতুন পে স্কেল বাস্তবায়নের ফলে ২০১৬-১৭ অর্থ বছরে ৪৭৩ কোটি টাকা লোকসান হয়েছে।
রোববার (১০ জুন) জাতীয় সংসদের সেলিম উদ্দিনের তারকা চিহ্নিত প্রশ্নের জবাবে একথা বলেন তিনি।
মন্ত্রী বলেন, সেবাই আদর্শ এ মুলমন্ত্র ধারণ করে বিআরটিসি জনগণকে স্বপ্নমূল্যে যাত্রী ও পণ্য পরিবহন সেবা দেয়ার জন্য কার্যক্রম পরিচালনা করে। বিআরটিসিতে কর্মরত কর্মকর্তা-কর্মচারীদের বেতনভাতাদি পেনশন/গ্রাচুটির যাবতীয় খরচ করপোরেশন নিজস্ব আয় থেকে বহন করে থাকে। সরকারের নিকট থেকে এ বাবদ কোন অর্থ নেয় না। এ সময় মন্ত্রী লোকসানের কারণ তুলে ধরেন।
মন্ত্রী বলেন, পে স্কেল,২০১৫ বাস্তবায়নের ফলে বিআরটিসির বেতনভাতা আগের চেয়ে তুলনায় প্রতিমাসে ২ দশমিক ৮ কোটি টাকা বেড়েছে। অবসরপ্রাপ্ত শ্রমিক কর্মকর্তা ও কর্মচারীর নতুন পে স্কেল অনুযায়ী গ্র্যাচুইটি পরিশোধ;
গাড়ির ভাড়া না বাড়ানো; গাড়িগুলো ধীরে ধীরে পুরাতন হয়ে যাওয়ায় রক্ষণাবেক্ষণসহ পরিচালনা ব্যয় বৃদ্ধি ও চালক, কারিগর ও কন্ডাক্টর পদে লোকবলের সংকট। এই প্রতিষ্ঠানকে লাভজনক করে তোলার জন্য বিভিন্ন পদক্ষেপ তুলে ধরেন সংসদে তিনি।
মন্ত্রী বলেন, পে-স্কেল বাস্তবায়নের ফলে সরকার থেকে বিআরটিসি বকেয়া বেতনভাতা এবং গ্র্যাচুইটি খাতে ২১ কোটি টাকা সুদ মুক্ত ঋণ হিসেবে পেয়েছে। ভারতীয় লাইন অব ক্রেডিট এর আওতায় বিআরটিএ’র জন্য ৪০০টি বাস, ৫০০ টি ট্রাক কেনার প্রক্রিয়া শেষ পর্যায়ে। এছাড়া, শিগগিরই আরো ২০০ টি এসি বাস কেনার দরপত্র আহ্ববান করা হবে। চালকসহ বিভিন্ন পদে লোক নিয়োগ কার্যক্রম প্রক্রিয়াধীন এবং ডিপোগুলোতে স্বচ্ছলতা আনার জন্য ডিজিটাইজড করা হচ্ছে।
সারাবাংলা/এএইচএইচ/জেএএম