কক্সবাজার: কক্সবাজারের টেকনাফের নাফ নদীতে মাছ ধরার সময় নৌকাসহ ধরে নিয়ে যাওয়া ২০ বাংলাদেশি জেলেকে ফেরত আনতে মিয়ানমারের সশস্ত্র বিদ্রোহী গোষ্ঠি আরাকান আর্মির সংশ্লিষ্টদের সঙ্গে যোগাযোগ চলছে বলে জানিয়েছে বিজিবি।
বুধবার (৬ নভেম্বর) বেলা ১২ টায় এ তথ্য নিশ্চিত করেছেন বিজিবির টেকনাফ ২ ব্যাটালিয়নের অধিনায়ক লেফটেন্যান্ট কর্নেল মো. মহিউদ্দীন আহমেদ।
এর আগে মঙ্গলবার বিকালে টেকনাফে নাফ নদী ও বঙ্গোপসাগরের মোহনা সংলগ্ন নাইক্ষ্যংদিয়ার কাছাকাছি এলাকা থেকে এসব জেলেকে ধরে নিয়ে যাওয়া হয়েছিল। এসব জেলেদের সকলেই টেকনাফের সাবরাং ইউনিয়নের শাহপরীরদ্বীপ জালিয়াপাড়ার বাসিন্দা।
এরা হলেন, মৃত সোলতান আহমেদের ছেলে মো. হাসিম (৩০), মোহাম্মদ আলমের ছেলে মো. হোছেন (২০), ইলিয়াসের ছেলে মহি উদ্দিন (২২), মো. ইউনুছের ছেলে এনায়েত উল্লাহ (৩২), হাসান শরীফের ছেলে আব্দুল শুক্কুর (৩৫), মৃত মোহাম্মদ ইউনুছের ছেলে নুর হাফেজ (২২), মৃদ মছন আলীর ছেলে মো. ইয়াছিন (৩০), আমির সাদুর ছেলে আবদুর রহিম (২৪), মৃত বাঁচা মিয়ার ছেলে হাসান আলি (৩৩), আবদুস শুক্কুরের ছেলে ওসমান গনি (৩০), আলি আহমদের ছেলে শাহ আলম (২২), শফি উল্লাহর ছেলে আসমত উল্লাহ (২০), নুরুল আলমের ছেলে আব্দুল শুক্কুর (২৬), মৃত নজু মিয়ার ছেলে আবুল হোছেন (১৭), মৃত নজির হোসেনের ছেলে আয়ুব খান (৩০), মৃত মোহাম্মদ ইউসুফের ছেলে নুর হোছন (২২), মৃত বশির আহমেদের ছেলে মো. বেলাল (১৮), মৃত নুর আমিনের ছেলে সলিম (২৭), মৃত জাকারিয়ার ছেলে আবদুল কাদের (২২) ও নাছির উদ্দিনের ছেলে ইবনে আমিন (৩৫)।
ঘটনার পরপরই সাবরাং ইউনিয়নের ৭ নম্বর ওয়ার্ডের ইউপি সদস্য আবদুস সালাম জানান, ‘মঙ্গলবার বিকালে ২ টি ইঞ্জিন চালিত নৌকা এবং ১৩ টি হস্তচালিত নৌকায় নাফ নদীর মোহনায় মাছ ধরার সময় এই ২০ জেলেকে ধরে নিয়ে যায় আরাকান আর্মির সদস্যরা। প্রতিটি নৌকায় এক থেকে দুজন জেলে মাছ ধরছিল। আরাকান আর্মির সদস্যরা বড় ট্রলারে এসে অস্ত্রের মুখে এদের নিয়ে যায়। জেলেদের সকলের বাড়ি টেকনাফের সাবারং ইউনিয়নের শাহাপরীরদ্বীপের জালিয়াপাড়ার।’
এ নিয়ে টেকনাফের ইউএনও মো. আদনান চৌধুরী বলেন, বিষয়টি জনপ্রতিনিধিসহ স্থানীয়দের কাছ থেকে অবহিত হয়েছেন। পরে প্রশাসনের উর্ধ্বতন কর্মকর্তাসহ বিজিবির সংশ্লিষ্টদের কাছে অবহিত করা হয়েছে।
বিজিবি টেকনাফ ২ ব্যাটালিয়নের অধিনায়ক লে. কর্নেল মো. মহিউদ্দীন আহমেদ বলেন, মঙ্গলবার সন্ধ্যার দিকে ঘটনাটি বিজিবির সংশ্লিষ্টরা অবহিত হয়েছেন। এরপরই মিয়ানমারের বিদ্রোহী গোষ্টি আরাকান আর্মির সঙ্গে বিজিবি যোগাযোগ শুরু করে।
ধরে নিয়ে যাওয়া জেলেরা আরাকান আর্মির হেফাজতে রয়েছে। তারা সেখানে ভাল আছেন। এসব জেলেদের ফেরত আনতে আরাকান আর্মির সঙ্গে বিজিবি আলাপ-আলোচনা অব্যাহত রেখেছে।’